শরণখোলা
সুন্দরবনের খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শরণখোলা উপজেলাধীন সুন্দরবনের কচিখালী এলাকার একটি খাল থেকে বাঘটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে বাঘটি কি কারণে মারা গেছে তা জানাতে পারেনি বন বিভাগ। মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবার বনের কচিখালী কার্যালয়ে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গত ৫ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে জানান, বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়া বাঘটির শরীরে কোন আঘাত বা গুলির চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বন কর্মকর্তার ধারণা করছেন যে- বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বাঘটি।
বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছাহেব আলী জানান, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুন্দরবনের কচিখালী স্টেশনে গিয়ে মৃতবাঘটির ময়নাতদন্ত করেছে। সংগ্রহ করা বাঘের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করার পর বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছে রুপার খাল থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করেছিল বন বিভাগ।
২০২১ সালের মার্চে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভোলা নদীর ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মাত্র সাড়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে সুন্দরবন পূর্ব এবং পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন এলাকায় বনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল দুইটি বাঘ। পরে বন বিভাগের সদস্যরা ওই মৃত বাঘ দু’টি উদ্ধার করে।
১০ মাস আগে
শরণখোলায় বসত ঘর থেকে ৬ ফুট লম্বা সাপ উদ্ধার, বনে অবমুক্ত
বাগেরহাটের শরণখোলায় বসত ঘর থেকে ছয় ফুট লম্বা একটি একটি দাঁড়াশ সাপ (বিষাক্ত) উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার চালরায়েন্দা গ্রামের কালাম জমাদ্দারের বসত ঘরের বাড়ান্দা থেকে সাপটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে সাপটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
সুন্দরবন পুর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাড়ির মালিকের খবরে স্থানীয় সামসু সাপুড়ে নামের এক ব্যক্তি সাপটি আটক করেন। পরে বনরক্ষী, ওয়াইল্ড টিম ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা সাপটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয় সাপটিকে। দাড়াস সাপটি প্রায় ছয় ফুট লম্বা।
তিনি আরও বলেন, দাড়াশ সাপ সাধারণত ধানখেতে থাকে। এরা ঈদুর খেয়ে জীবন-যাপন করে। সাপগুলো মানুষের তেমন কোন ক্ষতি করে না। আমরা সাপটিকে বনে অবমুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ ফুট ও ১৭ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ২টি অজগর সাপ অবমুক্ত
১ বছর আগে
বাগেরহাটে ভবনের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে ওই দেয়াল ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহত লিজা আক্তার (৮) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আমুরবুনিয়া গ্রামের মিলন খানের মেয়ে। লিজা কয়েক দিন আগে তার দাদীর সঙ্গে নানা দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
নিহত লিজার নানা দেলোয়ার হোসেন জানান, বাড়িতে তার নাতী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। খেলার ফাঁকে সে নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল বেয়ে উঠতে যায়। এসময় দেয়াল ধসে তার মাথার উপর পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় শিশু নিহত, চালক গ্রেপ্তার
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিয়া নওরীন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
শরণখোলায় অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
বাগেরহাটের শরণখোলায় পুকুর থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে বন সুরক্ষা বিষয়ক ওয়াইল্ড টিম ও ভিটি আরটির সদস্যরা ওই অজগরটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় অজগরটিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
পুকুর থেকে উদ্ধার করা অজগরটির দৈর্ঘ ১০ ফুট এবং ওজন প্রায় ১০ কেজি।
স্থানীয়রা জানান, তারা উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের জীতেন গাইনের বাড়ির পুকুরে বিশাল আকৃতির ওই অজগরটিকে দেখতে পায়। এরপর ওয়াইল্ড টিম ও ভিটি আরটির সদস্যদের খবর দেয়। তারা এসে অজগরটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে ১৫ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সামছুল আরিফিন জানান, ওই অজগরটি সুন্দরবন ছেড়ে ভোলা নদী পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে আসে। পুকুর থেকে অজগরটি উদ্ধার করার পর সন্ধ্যায় সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এক বছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জ সংলগ্ন লোকালয় থেকে শতাধিক অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায়ই নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগর লোকালয়ে আসছে।
ডিএফও বলেন, সুন্দরবনে অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর সঙ্গে অজগরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মাঝে মধ্যে অজগর এবং হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে আসছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এলে না মেরে বন বিভাগকে খবর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর শরণখোলা উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে বিশাল আকৃতির একটি অজগর উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
২ বছর আগে
বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে বিশাল আকৃতির একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন খুড়িয়াখালী গ্রাম থেকে ২০ ফুট দীর্ঘ ও ৪০ কেজি ওজনের ওই অজগরটি উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার সকালে অজগরটি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
শরণখোলা উপজেলা ওয়াইল্ড টিমের সমন্বয়কারী আলম হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে তারা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের জামাল গাজীর ঘরের পাশ থেকে বিশাল আকৃতির ওই অজগরটি উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় অক্ষত অবস্থায় অজগরটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে সুন্দরবন থেকে একের পর এক অজগর লোকালয়ে চলে আসায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত এক বছরে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে প্রায় ১০০টি অজগর উদ্ধর করা হয় বলে জানায় বন বিভাগ।
বন সংলগ্ন গ্রামের জামাল গাজী,আলম হোসেন, ডালিম আকনসহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, প্রায়ই সুন্দরবন ছেড়ে নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি লোকালয়ে আসছে। বিশাল আকৃতির ওই অজগরটি ঘরের পাশে ছিল। রাতে হঠাৎ করে তারা ঘরের পাশে ওই অজগরটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এত বড় অজগর আগে তারা দেখেননি বলেও জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটন: সেবা কার্যক্রম উন্নত করতে অটোমেশনের দিকে নজর
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বিশাল ওই অজগরটি ভোলা নদী পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে আসে। খুড়িয়াখালী গ্রাম থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে ওই অজগরটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
ডিএফও মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরও জানান, এক বছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জ সংলগ্ন লোকালয় থেকে প্রায় ১০০টি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায়ই নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগর লোকালয়ে আসছে।
ডিএফও মনে করেন, সুন্দরবনে অন্যান্য বন্যপ্রাণির সঙ্গে অজগরের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মাঝে মধ্যে অজগর এবং হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে আসছে। এ সময় বন্যপ্রাণি লোকালয়ে এলে না হত্যা করে বন বিভাগকে খবর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
সাত মাসেও আলোর মুখ দেখেনি ‘সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প’
৩ বছর আগে
বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটের শরণখোলায় পুকুর ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার বড় রাজাপুর সাভারের পাড় গ্রামের একটি পুকুর ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহত দুই শিশু হলো পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আরজি গ্রামের এনামুল হাওলাদারের ছেলে মাহিম (৮) এবং একই জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার পশ্চিম বালিয়াপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহান (৮)। সম্পর্কে তারা দুজন মামতো-ফুফাতো ভাই।
নিহত দুই শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে সোহান তার মায়ের সাথে শরণখোলা উপজেলার বড় রাজাপুর সাভারের পাড় গ্রামে দাদা মিন্টু হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আর মাহিম তার মায়ের সাথে একই গ্রামে নানা সৈয়দ হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পাশাপাশি এবং দুজন আত্মীয় হওয়ায় ওই দুই শিশু মিন্টু হাওলাদারের পুকুর পাড়ে দুপুরে খেলা করছিল। হঠাৎ তারা দুজন নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখোঁজি করে ভাসমান অবস্থায় পুকুর থেকে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
পড়ুন: পানিতে ডুবে শিশুসহ ৫ মৃত্যু, নিখোঁজ ৭
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমি আক্তার জানান, হাসপাতালে আসার আগেই দুই শিশু মারা গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাঈদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শিশু দুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
৩ বছর আগে
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে; তদন্ত কমিটি গঠন
সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় লাগা আগুন অবশেষে মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে দমকল বাহিনী কাজ করছে।’
শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার বলেন, ‘আমরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পানিছিটানো শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকরী কৌশলপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে: মন্ত্রী
শরণখোলা, মোংলা এবং বাগেরহাট থেকে তিনটি ইউনিট আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ইতোমধ্যে বন বিভাগ আগুনের ঘটনা তদন্তের জন্য শরণখোলা রেঞ্জের প্রধান বন সংরক্ষণকারী মোহাম্মদ জয়নালকে প্রধান করে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে: ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন
এর আগে সোমবার দুপুরে দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাজ বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ৫ একর বনজুড়ে আগুন জ্বলছিল বলে জানায় এলাকাবাসী।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স শরণখোলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার জানান, সোমবার দুপুরে সুন্দরবনে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই এলাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক তেমন ভালো না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পারস্পারিক যোগাযোগ করতে পারছিল না। পরে বাগেরহাট থেকে আরও একটি ইউনিট আসে।
এর আগে মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ‘সুন্দরবনের দাসের ভারানি এলাকায় অল্প কিছু জায়গায় আগুন লেগেছে। যে এলাকায় আগুন লেগেছে ওই এলাকায় সুন্দরী গাছের পরিমাণ কম। ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আগুন যাতে বনে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য ফায়ার লাইন কেটে তাতে পানি ভরে দেয়া হচ্ছে।’
অপরদিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের তথ্য মতে, গত ২০ বছরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগে ২৫ বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে সুন্দরবনের প্রায় ৭৫ একর বনভূমির গাছ, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, লতাপাতা পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনে ২০০২ সালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায়, ২০০৪ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্প এলাকায় ও আড়ুয়াবের খালে এবং ২০০৫ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের আড়ুয়াবের খালের পশ্চিমে তুলাতলা ও খুটাবাড়ি এলাকায় আগুন লাগে। এর পরের বছর ২০০৬ সালে তেরাবেকা খালের পাড়ে, আমুরবুনিয়া, কলমতেজিয়া, পচাকুড়ালিয়া বিল ও ধানসাগর স্টেশন এলাকায় মোট ৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও ২০০৭ সালে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী নলবন, পচাকুড়ালিয়া বিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১০ সালে ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী, ২০১১ সালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলী, ২০১৪ সালে আবারও ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন বনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালেও ধানসাগর স্টেশনের নাংলী, পচাকুড়ালিয়া, তুলাতলী এবং ২০১৭ সালে একই স্টেশনের মাদরাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধানসাগার স্টেশন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৩ বছর আগে
বাগেরহাটে হরিণের ১৯টি চামড়াসহ ২ পাচারকারি আটক
বাগেরহাটের শরণখোলায় হরিণের ১৯টি চামড়াসহ বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচারকারি সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে
বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ ‘শিকারি’ আটক
বাঘের বিচারণভূমি সুন্দরবনের নিকটবর্তী জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে বাঘের একটি চামড়াসহ ‘বাঘ শিকারি’ চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্কে শরণখোলার গ্রামবাসী
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
৩ বছর আগে