তারা হলেন- শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং একই উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮)।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরণখোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ শিকারি চক্রের এক সদস্যকে আটক করে বন বিভাগ ও র্যাব সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ ‘শিকারি’ আটক
বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্কে শরণখোলার গ্রামবাসী
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাগেরহাট ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। ডিবি পুলিশের সদস্যরা মো. মনিরুল ইসলামের বাড়ির কাছে পৌঁছালে আসামিরা পালানো চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে মনিরুল এবং ইলিয়াসকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের তথ্য অনুযায়ী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মনিরুল ইসলামের কাঠের দোতালা ঘরের পাটাতন থেকে ছোট বড় ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
আরও পড়ুন: বাঘ আতঙ্ক শেষে পঞ্চগড়ে বনবিড়াল আটক
সুন্দরবনে বাঘ স্থানান্তর করতে চায় বন বিভাগ
পুলিশ সুপার জানান, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষা করতে বিগত সাত মাস ধরে বাগেরহাট পুলিশ সপ্তাহে সাত দিন সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুজনকে আটক করা হয়।
এ সময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মহামুদ জানান, আটক দুজন সুন্দরবনের হরিণ শিকার ও চামড়া পাচারকারি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা সিন্ডিকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বন্যপ্রাণি শিকার করার পর তার চামড়া বিক্রি করে আসছে। আটক ইলিয়াস হাওলাদারের বিরুদ্ধে এর আগেও হরিণ শিকারের মামলা রয়েছে। ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সাথে জড়িত।