কাস্টমস
আমদানি কমলেও বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমলেও প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। এর ফলে কমেছে বাণিজ্যের গতি। তবুও রাজস্ব আদায়ের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস।
চলতি অর্থবছরে এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ৭৫৭ কোটি টাকা বেশি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে।
সূত্র জানায়, যদিও এ সময়ে স্থলবন্দরটি দিয়ে আগের তুলনায় আমদানি ৬ শতাংশ কমেছে, তা সত্ত্বেও এই অর্জনের মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে পৌঁছে গেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার দ্বারপ্রান্তে। এই সময় (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩ হাজার ২২৫ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বছর জুড়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন: দুইদিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু
বেনাপোলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় দ্বিগুণ। তবে বছরের শেষে উচ্চ শুল্কহারে পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে বেনাপোল বন্দরের শূন্য রেখায় ৪১ একর জমিতে চালু হয়েছে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল, যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এই টার্মিনাল চালুর ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমদানি ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বছরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ব্যাংকে তারল্য সংকটে আমদানি কমলেও ডলারের বাড়তি দাম ও কাস্টমসের নানা পদক্ষেপে রাজস্ব থেকে আয় বেড়েছে। আমদানি কিছুটা কমলেও রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হয়েছে। সবার সহযোগিতায় রাজস্ব আয়ে সফলতা এসেছে।’
৮৩ দিন আগে
বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ও সংস্কারমূলক আইন প্রণয়নের কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে।
এছাড়া নতুন আইন প্রণয়ন করায় চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেড়েছে।
গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশে।
আরও পড়ুন: যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২১৮ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা এবং ৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেড়েছে।
কাস্টমস সূত্র আরও জানায়, এ পর্যন্ত মোট ১০টি আইটেমের পণ্য চালান থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ধরা পড়েছে। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার জরিমানা আদায় করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা, দ্রুত পণ্য খালাস ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার। তিনি বলেন, জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম।
কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার-১ মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে শুধু ১০টি আইটেমের পণ্য চালান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৫২ দশমিক ২১ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০টি আইটেমের পণ্য চালান থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬৭ দশমিক ২৫ কোটি টাকা। ৪১৫ দশমিক ১৪ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেড়েছে।
হাফিজুল ইসলাম আরও বলেন, রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর যাদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির কোনো অভিযোগ নেই, তাদের পণ্য চালান কম্পিউটারের সিলেকশনে হলুদ হয়ে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই খালাস দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য চালান কেমিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফলাফলের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করে খালাস দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
বন্দরে ওয়েইং স্কেলের ওজনের ভিওিতে পণ্যের শুল্কায়নের বিষয়ে বলা হয়, বন্দরে স্কেলগুলোতে বর্তমানে তেমন কোনো জটিলতা নেই।
কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে ওয়েইং স্কেল এটিকে পুঁজি করে স্বার্থ হাসিলের কোনো সুযোগ নেই।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, অতীতের তুলনায় ব্যাপক কড়াকড়ি করায় সুবিধাভোগী আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন অন্য বন্দরে। বেনাপোলের ন্যায় অন্যান্য বন্দরেও কড়াকড়ি করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপেল বন্দর দিয়ে ট্রেনযোগে কন্টেইনার কার্গো চালু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন যেখানে ৫০০-৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো, বর্তমানে ডলার সংকটে আমদানি কমে প্রতিদিন ৩৫০ ট্রাকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয় ভারতের সঙ্গে। বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
আব্দুল হাকিম বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অনিয়ম ধরা পড়েছে। তাদের রাজস্ব পরিশোধ করে ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
৩৯৮ দিন আগে
পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ৩ বাংলাদেশিকে আটক
বেনাপোল কাস্টমস পেরিয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি (এক কেজি) স্বর্ণের বার জব্দসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, শরীয়তপুরের চিকান্দী উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের রাজ্জাক মুন্সীর ছেলে আবু বক্কর মুন্সী, ঢাকার ওয়াদালোদী তুরাগ এলাকার রুস্তম শেখের মেয়ে পারভীন আক্তার ও মানিকগঞ্জের সদর এলাকার তারা গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোল ইমগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
পেট্রাপাল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, এই তিনজন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশ কাস্টমস পার হয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে আসে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে মেশিনে স্ক্যানিং করে তাদের পেটের মধ্যে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পায়ুপথ থেকে ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৬৫ লাখ রুপি।
আটক ব্যক্তিরা তাদের পায়ু পথে স্বর্ণের চালানটি বহন করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভারতের বনগাঁ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবির আইসিপি ক্যাম্পের কামান্ডার মিজানুর রহমান বলেন, পেট্রাপোল সীমান্তে স্বর্ণ জব্দসহ তিনজন আটকের বিষয়টি আমরাও শুনেছি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
৪৩৪ দিন আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা উধাও
ঢাকা বিমানবন্দরের ভেতরের কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনার বার নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই এলাকার ভিতরে বা আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) ভেতরের পুরো এলাকা সিসিটিভি কভারেজের আওতায় থাকলেও রহস্যজনকভাবে গুদামের ভেতরে এমন কোনো ক্যামেরা বসানো হয়নি। এমনকি গুদামের বাইরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া গেলেও সেটি নিষ্ক্রিয় পাওয়া গেছে। যার কারণে সোনা চুরির সঙ্গে কারা সরাসরি জড়িত তা খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
একটি শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, বিমানবন্দরের ভেতরের পুরো এলাকা চব্বিশ ঘন্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কভারেজের আওতায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সদস্যদের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে পুরো এলাকা।
এমন নিরাপত্তার মধ্যে গুদাম থেকে সোনা চুরি এবং গুদামে সিসিটিভি ক্যামেরার উপর কাস্টমস হাউসের নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি প্রশ্রেন জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, গত শনিবার সোনা চুরির ঘটনা ঢাকা কাস্টমস বিভাগের নজরে আসে। তবে পরের দিন রবিবার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসে। ঢাকা কাস্টমস হাউস সঠিকভাবে তালিকা করার পর নিশ্চিত হয় তার নিজস্ব বিমানবন্দরের গোডাউন থেকে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা চুরি হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের একটি সূত্র জানায়, গুদামে আনুমানিক ২০০ কেজির বেশি সোনা ছিল। পুরো ঘটনা তদন্তে ঢাকা কাস্টমস হাউস তাদের যুগ্ম কমিশনার (শুল্ক) মিনহাজ উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
এছাড়া, রবিবার রাতে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে গুদামের ভিতরে আলমারির তালা ভেঙে কেউ ৫৫ কেজি সোনা নিয়ে যায়।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুরি যাওয়া এই সোনার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
মামলার এজাহারে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে গুদাম থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন।
পরে রবিবার গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দেখতে পান যে আটক রসিদ (ডিএম) অনুসারে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জব্দ করা ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছিল।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-উত্তরা বিভাগ) মোরশেদ আলম ইউএনবিকে বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কাস্টমস হাউসের চার সিপাহী যারা বিমানবন্দর কাস্টমসের গুদামের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল তাদের এখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আরও বলেন, নিখোঁজ সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪৩৭ ডিটেনশন মেমো (ডিএম) এর অধীনে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছিল।
নিয়ম অনুযায়ী এই স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন নিয়ম মানা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেও জানান ডিসি।
তিনি আরও বলেন, তারা স্বর্ণের গুদাম পরিদর্শন করে দেখেন, এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভির আওতায় নেই। তাই কে স্বর্ণ চুরি করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন। গুদামে নজরদারির জন্য সক্রিয় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে কারা সোনা নিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করা সহজ হতো।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে আধা কেজি স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৬০৬ দিন আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসে কর্মবিরতি, শুল্কায়ন বন্ধ
কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) নেতারা। এ কর্মবিরতি চলবে আগামীকালও। সোমবার সকাল থেকে তারা কাস্টমস হাউসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
একই সঙ্গে তারা শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) দুপুরে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার অধিকার আছে,না করারও আছে। কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কর্মসূচি সারাদেশে চলছে। এটার মূল বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ১২ ঘন্টা
তিনি বলেন, বিধিমালায় কিছু বিষয় আমাদেরকে নিপীড়নের জন্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আমরা তাদের অনেক দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। এটা যাতে করতে না পারি আমাদেরকে সাইজ করার জন্য এগুলো করা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বসবেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান আছে। বিকালে ফেডারেশনের সভা হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে ফোন করা হলে মিটিংয়ে আছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, কাস্টমস হাউস খোলা রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন করছে। তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসের চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
এর আগে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তার কোটিপতি স্ত্রীরা দুদক আতঙ্কে
৮২৩ দিন আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ২৩
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহী পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিন্নজনকে দিয়ে কৌশলে তারা লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ১৮ জন ও বুধবার সকালে পাঁচজনকে পাহাড়তলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার দেখায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৩, মামলা ৬
এর আগে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন বুধবার দুপুরে বলেন, ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গ্রেপ্তার ২৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ জন সিপাহী পদে তিন হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী সোম, মঙ্গল ও বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান নিয়োগ পরীক্ষায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা দিতে আসা সাতজনকে আটক করা চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রথমিকভাবে আটককৃত ১৮ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের হাতের লেখা গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। একইসঙ্গে লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখা কোন প্রশ্নের জবাবও দিতে পরেননি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৌশলে লিখিত পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ২৩ মামলার আসামি, রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
৮৫৬ দিন আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ১২ ঘন্টা
চট্টগ্রাম কাস্টমসে পণ্যের শুল্কায়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের মাইগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১৪ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ কারণে কাস্টমসের শুল্কায়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিল অব এন্ট্রি দাখিল, শুল্কায়ন, ডিউটি পেমেন্ট ও বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সময় বাড়লে তখন সমস্যা হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফায়জুর রহমান বলেন, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ভার্সন ৪.৩.১ থেকে ৪.৩.৩ এ মাইগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তাই ১২ ঘণ্টা সিস্টেমের আওতায় থাকা সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষ থেকে সকল অংশীজনদের বিষয়টি ই-মেইল ও এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার জন্য ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির পর এর শুল্কায়ন থেকে শুরু করে সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দর এ সফটওয়্যারের আওতায় কাজ করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয় কাকরাইলের এনবিআরের কার্যালয় থেকে। কোনো চালান ছাড়তে না চাইলে এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেটা বন্ধ করারও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
চট্টগ্রামে অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তার ৮ বছর কারাদণ্ড
৯৪০ দিন আগে
বেনাপোল চেকপোস্টে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ আটক ২
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্ট এলাকা থেকে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ দুই জন ভারত ফেরত যাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে শুক্রবার কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের কমলঘাট এলাকার শাহ আলমের ছেলে সাগর হোসেন (৪০) ও একই জেলার টঙ্গীবিদ গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জসিম ঢালী (৩৫)।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে বন্দর টার্মিনাল এলাকায় অপেক্ষা করার সময় কাস্টমসের একটি দল তাদের আটক করে।
তাদের লাগেজ চেক করে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করে এবং তাদের আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি
আটকদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে এবং তাদেরকেও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
৯৫১ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা আমদানিকৃত, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলাম অযোগ্য ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে।
এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
ইতোমধ্যে ৬৩ কনটেইনার নষ্ট খাদ্যপণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্ধেকের মত কনটেইনারে থাকা পণ্য মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকিটা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৭ হাজার নিলাম অযোগ্য পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে ২৭৩ কনটেইনারে বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে। তবে প্রথম ধাপে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ৬৩ কনটেইনার পণ্য মাটিচাপা দেয়া হবে। পাশাপাশি রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য মাটি চাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য খালি করতে সময় লাগতে পারে ১৫-২০ দিন। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে পণ্য ধ্বংস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বলেন, পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়। এজন্য পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নষ্ট হওয়া পণ্যগুলো মাটিচাপা দেয়া হবে। যার ফলে কোনপ্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগও থাকবে না। আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করব।
উল্লেখ্য, জাহাজ থেকে নামার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয় আমদানিকারককে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না হলে কাস্টমস থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে ওইসব পণ্য খালাস না করলে নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস।
এর আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের চার হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
৯৬৭ দিন আগে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কোটি টাকা মূল্যের সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার অবৈধভাবে বিদেশ থেকে আনা ৭ হাজার ২৬২ কার্টন (১৪ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ পিস) সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ১০ লাখ টাকা।
বুধবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে ৪১৭ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে গেল
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ নামের একটি ফ্লাইটে করে অবৈধভাবে সিগারেটের চালানটি আসে। সাত হাজার ২৬২ কার্টনে সুপার স্লিম ইজি স্পেশাল গোল্ড, ইজি স্পেশাল লাইট, মন্ড স্ট্রবেরি ফ্লেভার, বেনসন লাইট ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। পণ্যের চালানটিতে শর্তসাপেক্ষে আমদানি যোগ্য ও উচ্চ শুল্ককর আরোপযোগ্য পণ্য অর্থাৎ সিগারেট নিয়ে আসার মাধ্যমে বিপুল রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১০৩১ দিন আগে