লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে নাশকতা ও অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে আরেক জেএমবি সদস্যকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার(২১ নভেম্বর) দুপুরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাংটেপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, পার্শ্ববর্তী সাহেবডাঙ্গা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে আপেল মিস্ত্রি ও কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতীর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
১৪ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে তফিজুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ আগষ্ট রাতে জেএমবি সদস্যরা পাটগ্রামের এমএম প্লাজা মার্কেটের সংলগ্ন একটি কাঠের ফার্নিচার দোকানে বৈঠক করেন। ওই সময় সেখানে রংপুর র্যাব-১৩ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় চারজন আটক হন। এ সময় দেহ তল্লাশি করে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এ ছাড়া এই তিনজনসহ একজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কয়েকটি ধারায় আরেকটি মামলা হয়। সেই মামলায় একজনকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা দায়রা জজ আদালতের (পিপি) আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, তারা মূলত সরকারকে উৎখাত করতে বিভিন্ন নাশকতার জন্য বৈঠক করছিল। এসব বিষয় সত্যতা পেয়ে তাদের তিনজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।