‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। দুর্নীতি অনিয়ম দূর করে জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের তাগিদ দেন তারা।
শনিবার (২ নভেম্বর) ‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বিএসআরএসফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন- বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আতিকুর রহমান।
এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যৎ এ প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। দুর্নীতি কমিয়ে উন্নয়নকে জনগণের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই এ সরকার কাজ করছে। বিশাল ঋণের বোঝা রেখে গেছে এ সরকারের ওপর। যা অন্তবর্তী সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছি। আমরা দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে সংস্কার করব।
তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এটা ব্যক্তিগত টাকা নয়, জনগণের টাকা। এটা মাথায় রাখা উচিত। এ সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সবাই ভাবেন আমাদের কাছে জাদুর কাঠি আছে। আসলে কিছু নেই আমাদের কাছে। ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা উসখুস করছেন কবে ক্ষমতায় আসবেন। আমরাও চাই নিজেদের কাজে ফিরে যাই।
ফাওজুল কবির বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি, গ্যাস বিদ্যুতের দাম নিয়ে ক্ষুদ্ধ মানুষ। আমরা এখানে একটা কাজ করেছি, দুর্নীতির কাঠামো ভেঙে দিয়েছি। বিইআরসির আগের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেট্রোতে সাবেক সচিব হতে হবে বলে যে বিধান ছিল, সে নিয়ম বাদ দিয়েছি। যার অভিজ্ঞতা আছে তিনিই এখানে কাজ করতে পারবেন। আবার পাওয়ার গ্রিডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে আমরা কাঠামোগত পরিবর্তন করতে শুরু করেছি।
আলোচনায় অংশ নেন মো. সারদার শাহদাত আলী, ড. মো. শামসুল হক, ড. শর্মিন্দ নীলর্মি, ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, মেহেদী এইচ ইমন, উমামা ফাতেমা ও মো. মাহিন সরকার।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী ফুটবলারদের দাবিগুলো লিখে জানাতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ২ বছরে সরকারি খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে: উপদেষ্টা আসিফ