মানবিক সহায়তা
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত ও নির্বিঘ্নে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যৌথভাবে আহ্বান জানানোর জন্য জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে ভারতের সভাপতিত্ব শেষ করার আগে দিল্লি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৯টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ফোরাম।
ফোরামে স্পেনকে স্থায়ী অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করে ভারত।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এবং ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ শিশুকে নির্মমভাবে গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, 'এই সব দানবীয় কর্মকাণ্ড বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, বৈশ্বিক দুর্দশাকে তীব্রতর করেছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ধীর করে দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আজকের বিশ্বায়নের যুগে মানুষের জীবন ও মানবতা রক্ষার জন্য সব যুদ্ধ ও সংঘাতকে দৃঢ়ভাবে 'না' বলা সহজ হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন , একটি ভাল শুরু হতে পারে সুপ্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিশ্বজুড়ে এটির প্রসার ঘটানো।
তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের চমৎকার সম্পর্কের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিবেশীদেশগুলো অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'আমাদের বৈশ্বিক পরিবারের সবার কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চেতনায় বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিককে (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমি আপনাদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো যে সব অঙ্গীকার করেছে তা ফলপ্রসূ হবে এবং তা বাস্তবায়িত হবে এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত' আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান,পৃথিবী গ্রহের যত্ন নিতে, সুরক্ষিত করতে এবং গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা, বিশেষ করে জলবায়ু পদক্ষেপ, প্রযুক্তিগত রূপান্তর, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন সম্পর্কিত দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা পূরণে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে নয়া দিল্লীতে নেতারা একমত হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত দিল্লি ঘোষণা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ভারত একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জি-২০ দেশগুলোর নেতারা, ৯টি অতিথি দেশ এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ভারত জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ভারত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের জি-২০ সম্মেলনে ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে জি-২০ ত্রয়ীকা গঠিত হবে।
আগামী মাসে ব্রাজিল যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তখন নতুন ত্রয়িকা গঠন করা হবে, যেখানে ভারতের সভাপতির মেয়াদ শেষ হবে দায়িত্ব নেবে ব্রাজিল এবং এর পরের মেয়াদে সভাপতি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জি-২০ সদস্যরা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
স্বাস্থ্যের অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক তলালেং মোফোকেং মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত সহিংস বাস্তুচ্যুতি ও হামলার হুমকি একটি বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
এই অঞ্চলে সহিংসতা বৃদ্ধির পর থেকে কমপক্ষে ১২জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত এবং ২৪ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জেরে তিনি এসব কথা বলেন।
মোফোকেং বলেন, ‘সংঘাতে জড়িত সব পক্ষ এবং তাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবশ্যই দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় মানবিক পরিষেবাগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গাজার চিকিৎসা অবকাঠামোগুলোর অপূরণীয়ভাবে ক্ষতি হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবাকারীরা চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবসহ একটি ভয়ানক পরিস্থিতিতে কাজ করছে।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘মানবতাবাদী কর্মী, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকরা এই অঞ্চলে বোমাবর্ষণের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোতে ১১১ টিরও বেশি হামলার নথিভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার মধ্যে গাজা উপত্যকায় ৪৮টি হামলা করা হয়েছে, এর ফলে কমপক্ষে ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
মোফোকেং বলেছেন, গাজায় খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকা ক্রমাগত বোমাবর্ষণ ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশটির স্বাস্থ্যখাত সহনসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
মোফোকেং মানবিক করিডোরের মাধ্যমে সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবি করে সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ করতে এবং সকলের স্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষা ও সম্মান করার জন্য অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য, পানীয়, আশ্রয়, জ্বালানি, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, মনোসামাজিক সহায়তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জরুরি সরবরাহ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক আগ্রাসন বৃদ্ধিকে অবশ্যই উপক্ষো করা উচিত নয়। দখলদারিত্বের পর থেকে প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের উপর চলমান স্থূল কাঠামোগত, পদ্ধতিগত ও দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতার একটি নিষ্পেষণ মুহূর্তকে প্রতিনিধিত্ব করে এটি।’
মোফোকেং বলেন, ‘আমি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সদস্য দেশগুলোকে যুদ্ধের দামামা বাজানো বন্ধ করার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি ৫৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক দখলে রয়েছে। এই দখলদারিত্বের ফলে জবাবদিহিতার অভাব, চলমান স্থানচ্যুতি ও ধ্বংস, চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এবং পদ্ধতিগত জাতিগত বৈষম্য প্রভৃতি ঘটেছে।’
এই বিশেষজ্ঞ স্মরণ করেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০০৯ থেকে ২০২৮ সালকে ‘শান্তির দশক’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সব দেশের সার্বভৌম সমতা এবং তাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বজায় রাখার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ঘোষণাটি সংঘাত প্রতিরোধ করে এবং এর মূল কারণগুলোকে সমাধান করে শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করাকে সমর্থন করে।
মোফোকেং বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের পদক্ষেপ তাদের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। আপনারা মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে নিভিয়ে দিতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে: আইএমএফ প্রধান
সিরিয়ার আলেপ্পো বিমানবন্দরে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
১ বছর আগে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
এতে আরও বলা হয়,ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাদ্য, তাঁবু, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ মোট ১২০ টন ত্রাণ সামগ্রী।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে শুক্রবার (০২ জুন ২০২৩) চট্টগ্রাম থেকে ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। জাহাজটি আগামী ০৫ জুন ২০২৩ তারিখে ইয়াংগুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে বন্যা এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারী এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসক দল প্রেরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ হতে এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন: বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো তুলে ধরতে এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়।
রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হওয়ার সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় আশ্রয় শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রাপ্য। এই মানবিক সহায়তা পরিকল্পনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন দরকার।’
বিবৃতিতে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যুতে ওআইসি ও ইইউকে তাদের নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রেজ্যুলেশনটিতে মিয়ানমারের প্রতি দেশটির মহাসচিবের বিশেষ দূত ও জাতিসংঘের সকল মানবাধিকার ব্যবস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থা যেমন আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই বিষয়ে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্যের দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজ্যুলেশনে চলমান ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
রেজ্যুলেশনটি বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ও বাংলাদেশের মানবিক প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য দায়বদ্ধ অংশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে সুখবর নেই: মোমেন
সদস্য দেশগুলোকে দায়িত্ব ও ভার ভাগাভাগির জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মনোয়ার বলেন যে তারা (বাংলাদেশ) মানবিক বিবেচনায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের বরাবরই মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে আমরা মিয়ানমারেরর পরিস্থিতির উন্নতি এবং তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় পক্ষে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়েছি।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, জাতিসংঘের এই রেজ্যুলেশন এবং তাদের উদ্দেশ্যও রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আন্ত-আঞ্চলিক সংহতির এক অনন্য উদাহরণ।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। যার ফলে রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হচ্ছে।
এই রেজ্যুলেশন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা দিবে।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর সদস্য দেশগুলোর যৌথভাবে পেশ করা এই রেজ্যুলেশনটি ১০৯টি দেশ সমর্থিত, যা ২০১৭ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
রেজ্যুলেশনের প্রাথমিক গুরুত্ব ছিল মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটসহ রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
২ বছর আগে
আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর সঙ্গে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া না দেয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
রবিবার (১০ অক্টোবর) কাতারের দোহায় আফগান-মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তালেবান এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘ভালো হয়েছে’। ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে মানবিক সহায়ত দেবে। তবে এর সাথে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টির কোনো সম্পর্ক নেই।
খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই আলোচনা কোনোভাবেই তালেবানদের স্বীকৃতির প্রস্তাবনা নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, তালেবানের সাথে হওয়া বৈঠকটি ছিল পেশাদার এবং প্রাণবন্ত।
পড়ুন: আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
চলতি বছরের ১৫ আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান দখল ও সেপ্টেম্বরে সরকার গঠনের পর থেকেই তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তালেবান সরকারকে অনেক দেশ সহায়তা করলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ।
কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালেবানের দুদিনের বৈঠক শুরু হয় শনিবার। প্রথম দফা বৈঠকের পর তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানান, তালেবান স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা তাদের দরকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে আফগানের মাটি কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে না।
খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে এখন তালেবানের প্রধান শত্রু আইএস। শুক্রবারের (৮ অক্টোবর) আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। ওয়াশিংটনও আইএসকে তালেবানের চেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে।
পড়ুন: ২৩ যাত্রী নিয়ে রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত
পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী কাদির খান আর নেই
৩ বছর আগে
ঘরের অভাবে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমায় মেয়েরা!
দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার জাহাঙ্গীর মোল্যা (৩৮)। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ভ্যান কিনেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ। গত এক মাস ঘরবন্দী হয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন।
আরও পড়ুন: একটি ঘরের অপেক্ষায় গৌরদাস
জাহাঙ্গীর মোল্লা মাগুরা সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আতিয়ার মোল্যার ছেলে। তার পরিবারে পাঁচ জন সদস্য। তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে রিনা খাতুন (১৭) মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারিরীক প্রতিবন্ধী। মিনজা খাতুন (১১) বিনোদপুর বিকে হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়ে মানছুরা খাতুন (১০), শিরিজদিয়া পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্ররিদ জাহাঙ্গীরের নিজের বলতে কোন জায়গা জমি নেই। মায়ের নামে আড়াই শতক জমি আছে। ওই জমিতে মা ও ছোট ভাইয়ের দুইটি ঘর আছে। কোন রকম পাশেই টিনের খুপড়ি ছাপড়া ঘর পেতে বসবাস করেন তিনি। পাটকাঠি ও পলিথিন দিয়ে জোড়াতালি দেয়া ঘরের বেড়া। ঘরের চালের টিনে ফুটো থাকায় বৃষ্টির দিনে ঘরে কাঁদাপানি। মেঝে ও স্যাঁতস্যাঁতে। রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় প্রতিবেশি মো: রাশেদ মন্ডলের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন ওই তিন মেয়ে।
আরও পড়ুন: একটি ঘরের অপেক্ষায় অসহায় কদবানু
জমি ও গৃহহীনতের জন্য আশ্রায়ন প্রকল্পে প্রধান মন্ত্রীর ঘর প্রদান কর্মসূচির একটি ঘর এই পরিবার চেয়েছেন। অসহায় এই পরিবারের ওপর সুদৃষ্টির জন্য মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসন ও মাগুরা জেলা প্রশাসকের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৩ বছর আগে
মানবিক সহায়তা পেল ফরিদপুরের ৫ শতাধিক অসহায় মানুষ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মানবিক সহায়তা পেয়েছে ফরিদপুরের ৫ শতাধিক অসহায় মানুষ।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সহায়তা হিসেবে প্রত্যেকের হাতে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও এক কেজি করে ডাল ও লবন তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
এ সময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আল আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বায়েজিদুর রহমান সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিনে সদর উপজেলার ৫ শত দরিদ্র মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। ইতোপূর্বে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার উদ্ভাবিত ‘মানবিক সহায়তা কার্ডের’ মাধ্যমে বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা জানান, করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চন্ডিপুরে অবস্থিত আশ্রায়ন কেন্দ্রের অসহায় মানুষের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মাচ্চর, কানাইপুর সহ আশ পাশের কয়েকটি আশ্রায়ন কেন্দ্রের ১১০ জন অসহায় মানুষকে চন্ডিপুর আশ্রায়ন কেন্দ্রে আনা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের হাতে চাল, ডাল, তেল, লবন সহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের একটি প্যাকেট তুলে দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা জেলার সকল দরিদ্র মানুষের হাতে পর্যায়ক্রমে তুলে দেয়া হবে। সোমবার সদর উপজেলার পাঁচ শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রায়ন কেন্দ্রে থাকা অসহায় মানুষের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে প্রদত্ত মানবিক সহায়তাকে একটি সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য মানবিক সহায়তা কার্ড প্রস্তুত করে প্রকৃত দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সহায়তা পেয়ে খুব খুশি রাবেয়া পারভীন। তিনি বলেন, এখন আর পরের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না। যা পেয়েছি তা দিয়েই আমার ১৫-২০ দিন চলে যাবে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনরকমে চলতাম। করোনাকালীন সময়ে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছিল। শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। করোনাকালীন সময়ে তিনি আমাদের গরীবের কথা মনে রেখেছেন।
৩ বছর আগে
করোনা: ভোলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার পরিবার পেলো মানবিক সহায়তা
ভোলায় করোনায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক হাজার পরিবারের মাঝে এসব সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রত্যেকটি প্যাকেটে ছিল ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, এক কেজি মশুর ডাল, স্যাভলন সাবান ও মাস্ক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
লকডাউনে কর্মহীন ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থ বাস শ্রমিক, লঞ্চ শ্রমিক, মুচি, হিজরা, বেদে সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণির অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা সামগ্রী তুলে দেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এদিকে, পৌরসভার আলগী, গাজীপুর এলাকার ৬০০ কর্মহীন পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তার প্যাকেট পৌঁছে দেন ভোলা পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহিম খোকন।
এ সময় বর্তমান পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহামানও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
খাদ্য প্যাকেটে ছিল ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ছোলা, একটি সাবান, মাস্কসহ নানা উপাদান। এর আগের দিন ভোলা সদর রোডে বিবার আয়োজনে মানবতার স্টোর থেকে দুস্থ পরিবারের মাঝে কাঁচা তরকারি বিতরণ করা হয়।
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে ৩১ সাংবাদিক পেলেন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেক
করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সারা দেশের মত মানিকগঞ্জে কর্মরত ৩১ সাংবাদিককে হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া মানবিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
মানিকগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ
মানিকগঞ্জে বন্যা দুর্গতদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
৪ বছর আগে