আব্দুল মোমেন
আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
অভিনন্দন বার্তায় ড. আবদুল্লাতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে এবং পারস্পরিক কল্যাণে সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে বাহরাইনের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, ‘আমাদের বিদ্যমান সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।’
অভিনন্দন বার্তায় বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
১ বছর আগে
আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ভুটান সরকারের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. তান্ডি দর্জি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. তান্ডি দর্জি সম্প্রতি ড. মোমেনকে প্রেরিত একটি অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশের মধ্যে অব্যাহত পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ থাকায় একটি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অটুট রয়েছে।’
তিনি অভিনন্দন বার্তায় উল্লেখ করেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বন্ধুত্বের এই বন্ধন আগামী বছরগুলোতে আরও দৃঢ় হবে।’
ড. তান্ডি দর্জি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহারে ভুটানকে অনুমোদন
১ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বড়বোন আয়েশা মোজাক্কির মারা গেছেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ও প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিতের বড় বোন আয়েশা মোজাক্কির মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেটে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আয়েশা মোজাক্কির তার আট মেয়ে, অনেক নাতি-নাতনি, ৯ ভাইবোন এবং অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার বাদ আছর মৌলবীবাজারে আগুনশি এলাকার হাজী মোজাফফর দাখিল মাদরাসার মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তার মরহুম স্বামী মোহাম্মদ মোজাক্কির সাহেবের কবরের পাশে নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা
সাংবাদিক আবদুর রহমান খান আর নেই
সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৪ চুক্তি-সমঝোতা সই
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে রবিবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের মধ্যে এক ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি সই হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তির বিস্তারিত পরে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা হবে।
এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় (নবায়ন) এবং সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি দেখে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুশি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
২ বছর আগে
পর্যটন খাতের জন্য সুপরিকল্পিত কর্মসূচি প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পর্যটন খাতের জন্য সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। এই খাতে একটি সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সক্ষমতা অর্জনে শুধু বৈচিত্র্যই আনবে না- অধিকন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতাও বাড়াবে।
শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে আয়োজিত দুবাই এক্সপো ২০২০ এর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘এক্সপ্লোর মুজিব বাংলাদেশ: এ হিডেন জেম অব ট্যুরিজম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের টেকসই অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের কথা তুলে ধরেন এবং স্বতন্ত্র বাংলাদেশি চায়ের ব্র্যান্ডের প্রচার করেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশের পর্যটনকে উন্নত করার জন্য দায়িত্বশীল সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি সমর্থন করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে দেশের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত করার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন যা বিশ্ব পর্যটকদের কাছে অনাবিষ্কৃত এবং অজানা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প যাতে টেকসই হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান।
ড. মোমেন বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে প্রতিবছর মোট পর্যটকের মাত্র ৩ শতাংশ বিদেশি এবং বাকি ৯৭ শতাংশই স্থানীয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, চলমান মেগা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন দেশের পর্যটন খাতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
তিনি আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে একচেটিয়া পর্যটন, সমুদ্র পর্যটন, থিম পার্ক ইত্যাদি নির্মাণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যার স্বীকৃতি: জেনোসাইড ওয়াচ, লেমকিন ইনস্টিটিউটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ
বাংলাদেশের সাফল্য এখন কারও কারও চক্ষুশূল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে: সের্গেই লাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার অংশীদারিত্ব আরও বর্ধিতকরণ দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থকে অক্ষুণ্ন রেখে এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।
রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে, আমাদের দুই দেশই একযোগে বন্ধুত্বের ঐতিহ্যবাহী বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক কিছু করেছে।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজনৈতিক সংলাপ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ও প্রাথমিকভাবে জাতিসংঘ এবং এর বিশেষ সংস্থাগুলোর মধ্যে গঠনমূলক বোঝাপড়া।
রাশিয়ার মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, মানবিক এবং অন্যান্য ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা ক্রমাগতভাবে বিকশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রূপপুর’ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন।
রুশ মন্ত্রী ড. মোমেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সকল সহকর্মীদের সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী: রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন
ভারত-রাশিয়ার মধ্যে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভাবমূর্তি উন্নয়নে বাংলাদেশ লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের স্বার্থে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটন এবং এর বাইরে লবিস্ট নিয়োগ করতে বাংলাদেশ পিছপা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে, আমরা একে ‘তদবির’ (লবিং) বলে থাকি। যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা লবিং করব। আমরা দেখব কীভাবে আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে এই কাজটি করতে পারি।’
শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ দেয়া সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ দাবি করে আব্দুল মোমেন বলেন,প্রত্যেকেরই লবিস্টকে নিয়োগ দেয়ার অধিকার আছে, এতে (অবৈধ) কিছু নেই।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির কথিত লবিস্টদের জড়িত করার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের মাথাব্যথা, আমার নয়।
আরও পড়ুন: এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মোমেন বলেন,বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপরিপূর্ণতা আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি। আমেরিকা পরিপক্বতা অর্জন করার মধ্যেও ধাক্কা খায়। এ ধরনের ধাক্কা আসে। কোথাও দুর্বলতা থাকলে আমরা অবশ্যই তা দূর করার চেষ্টা করব।
যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত পরিপক্ব জাতি হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদিও র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয় সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে।
আগের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর বিলিয়া অডিটোরিয়ামে ‘মহামারি এবং মহামারি পরবর্তী সময় আইন ও আইনি শিক্ষা’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিলিয়া চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন ডক্টর মো. রহমত উল্লাহ এবং বিলিয়ার পরিচালক মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কিছু দেশের অসন্তুষ্ট থাকার কারণ বের করে সমাধানের চেষ্টা করব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে ব্লিংকেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার’ করার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিংকেনকে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার ওয়াশিংটনের এক কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়,আব্দুল মোমেন তার চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে বড়দিন ও ২০২২ সালের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার, সংখ্যালঘু ও শ্রম অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে হওয়া আন্তরিক সংলাপ পারস্পরিক সম্মান ও সুবিধার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: এটি রাতারাতি সমাধান হবে না: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিশ্চিত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশ্বস্ত এবং অবদানকারী অংশীদার হিসেবে আমাদের জ্ঞান-ভিত্তিক, প্রযুক্তি-সচেতন ও উন্নত জাতি হিসেবে উদীয়মান হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে।
মোমেন বলেন, বছরের পর বছর ধরে র্যাব সরকারের সবচেয়ে দক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সন্ত্রাস, মাদক পাচার, মানব পাচার এবং অন্যান্য আন্তদেশীয় অপরাধ দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। অপরাধ দমনে র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নাগরিকদের মধ্যে অনেক বেশি আস্থা তৈরি করেছে।
মোমেন আরও জানিয়েছেন, র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা, মাদক পাচার ও দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার প্রচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকার তার 'জিরো টলারেন্স' নীতি অব্যাহত রাখবে।
ড. মোমেন মনে করেন, আমরা আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করি এমন বিষয়গুলো মোকাবিলায় র্যাবের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আমাদের উপকৃত করবে।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়াও চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর করা ফোনকলের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এই ধরনের খোলামেলা ও উন্মুক্ত আলোচনা সবসময় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সুসংহত করতে সহায়তা করে।
এসময় ড. মোমেন আবারও বলেন, র্যাবের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা অপ্রত্যাশিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এই ঘোষণাটি ‘আকস্মিক’ ও ‘বিস্ময়কর’, কারণ এমন সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে; যখন দুই দেশই পারস্পারিক সম্পর্কের পাঁচ দশক উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার সবসময় র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া মাত্র তার আইনানুগ বিচার করেছেন। এর জন্য কোনোভাবেই পুরো সংগঠনটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া যেতে পারে না।
ড.মোমেন তার চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কিছু এনজিও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের দেশের সরকার ও আরও বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া ও বিকৃত তথ্য প্রচার করে। যাতে করে বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদারেরা বিভ্রান্ত হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবতার কথা নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২ বছর আগে
সীমান্ত হত্যা বিব্রতকর: শ্রিংলাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সদিচ্ছা ও চমৎকার সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বিব্রতকর অবস্থায় রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বিষয়টি দেশটির প্রাসঙ্গিক সংস্থার কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
‘ভালো প্রতিবেশীর’ প্রমাণ হিসেবে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির সম বণ্টন চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে দু’দেশের সমঝোতার মাধ্যমে অনেক অসামান্য সমস্যার সমাধানের কথা স্মরণ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক সুবিধার জন্য দু’দেশের মধ্যে শক্তিশালী ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তিনি দু’দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মুজিবনগর থেকে কলকাতাকে সংযোগকারী ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: ভারত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতেও উভয় পক্ষই চলমান সহযোগিতা ও উচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
৩ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপনের অংশ হিসেবে লাউঞ্জটি স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত
লাউঞ্জটি উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লাউঞ্জটিতে বিভিন্ন বই, ছবি, প্রামাণ্য চিত্র ও গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। বহুপাক্ষিকতাবাদ, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি জাতির পিতার যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জের এই সংগ্রহ যেন তা-ই ফুটিয়ে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি লাউঞ্জটিতে জাতির পিতার ওপর আরও বই ও প্রদর্শনী সামগ্রী প্রদান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘গতবছর লাউঞ্জটির স্থাপনের কাজ শেষ হলেও কোভিড-১৯ জনিত কারণে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। এটি অত্যন্ত আনন্দের যে অবশেষে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাউঞ্জটি উদ্বোধনের জন্য পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, লাউঞ্জটি মিশনে আগত সুধিজনদের বিশ্ব শান্তির প্রতি জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে।’
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিশনে আসা জাতিসংঘ ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবর্গের বৈঠকের জন্য লাউঞ্জটি ব্যবহৃত হবে। এর ফলে তারা জাতির পিতার জীবনাদর্শ সমন্ধে ধারণা লাভের সুযোগ পাবেন।
জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই থেকে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
৩ বছর আগে