পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পর্যটন খাতের জন্য সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। এই খাতে একটি সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সক্ষমতা অর্জনে শুধু বৈচিত্র্যই আনবে না- অধিকন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতাও বাড়াবে।
শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে আয়োজিত দুবাই এক্সপো ২০২০ এর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘এক্সপ্লোর মুজিব বাংলাদেশ: এ হিডেন জেম অব ট্যুরিজম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের টেকসই অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের কথা তুলে ধরেন এবং স্বতন্ত্র বাংলাদেশি চায়ের ব্র্যান্ডের প্রচার করেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশের পর্যটনকে উন্নত করার জন্য দায়িত্বশীল সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি সমর্থন করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে দেশের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত করার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন যা বিশ্ব পর্যটকদের কাছে অনাবিষ্কৃত এবং অজানা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প যাতে টেকসই হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান।
ড. মোমেন বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে প্রতিবছর মোট পর্যটকের মাত্র ৩ শতাংশ বিদেশি এবং বাকি ৯৭ শতাংশই স্থানীয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, চলমান মেগা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন দেশের পর্যটন খাতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
তিনি আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে একচেটিয়া পর্যটন, সমুদ্র পর্যটন, থিম পার্ক ইত্যাদি নির্মাণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যার স্বীকৃতি: জেনোসাইড ওয়াচ, লেমকিন ইনস্টিটিউটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ