বিহার
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
শান্তি ও মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ৪৮তম কঠিন চীবর দানোৎসব রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে চীবর উৎসর্গের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে লাখো পূণ্যার্থী জমা হয়। প্রয়াত পার্বত্য ধর্মীয় গুরু বনভন্তে স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘণ্টায় প্রস্তুতকৃত চীবর দান করেন। রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে এসব চীবর উৎসর্গ করেন রাঙ্গামাটি সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় বন বিহারে কঠিন চীবর দান
চীবর উৎসর্গের সময় ভক্তদের সাধু, সাধু, সাধু কণ্ঠধ্বনিতে রাজবন বিহার এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
এর আগে রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে আসা পূণ্যার্থীদের সামনে প্রধান মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভন্তের অমৃত কথা অডিও উপস্থাপন করা হয়।
পরে দায়ক দায়িকার উদ্দেশে স্বধর্ম দেশনায় দেন রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
এ সময় তিনি কৌশল কর্ম, সৎ চেতনা ও জীবনযাপন করার জন্য হিতোপোদেশ দেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। প্রাচীন নিয়ম মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকালে বেইন ঘর উদ্বোধন ও চরকায় সুতা কাটার মধ্যদিয়ে রাজবন বিহারে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী ৪৮তম কঠিন চীবর দানোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
রাতভর তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে চীবর বুননের কাজ। দুপুরে ভিক্ষু সংঘকে সেই চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত রাজবন বিহারে দুই দিনের চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়।
রাজবন বিহার উপাসক পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, বৌদ্ধদের যত ধরনের দান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে পূণ্যের দান হলো কঠিন চীবর দান। এ জন্য কঠিন চীবর দানোৎসবকে দানোত্তম চীবর দান উৎসব বলা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর রাজবন বিহারে প্রায় ২০০ বেইন ও দেড় শতাধিক চরকার সাহায্যে ৬ শতাধিক দায়ক-দায়িকা চীবর বুননের কাজে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এখন পর্যন্ত ভারতে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আবার ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও শোচনীয় করে তুলেছে।
দেশটির সবচেয়ে জনবহুল দু’টি রাজ্যের হাসপাতালগুলো তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ রোগীতে পূর্ণ। এমনকি একটি মর্গ ধারণক্ষমতায় পৌঁছেছে।
স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে গত কয়েক দিনে তাপজনিত অসুস্থতায় ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে দেওরিয়া শহরের একটি লাশবাহী গাড়িরচালক জিতেন্দ্র কুমার যাদব অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘গরমে এত মানুষ মারা যাচ্ছে যে আমরা বিশ্রামের জন্য এক মিনিটও সময় পাচ্ছি না। রবিবার আমি ২৬টি লাশ বহন করেছি।’
আরও পড়ুন: তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
ওই এলাকার অন্য বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে তারা মধ্যসকালের পরে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার বৃহত্তম হাসপাতালটি নতুন আরও কোনো রোগীকে জায়গা দিতে পারছে না।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ৫৪ জন বৃদ্ধের মৃত্যুর পর মর্গটি পূর্ণ হয়ে যায়। কিছু পরিবারকে তাদের স্বজনদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, দুই সদস্যের একটি কমিটি কেন এত সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে তার কারণ খতিয়ে দেখবে এবং এর মধ্যে সরাসরি তাপপ্রবাহের কারণে এই মৃত্যুগুলো হয়েছে কি-না তাও তদন্ত করবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, গ্রীষ্মের সময় দেশটির উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড গরম পড়ে। তবে তাপমাত্রা এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, মোটামুটি ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমপক্ষে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হয় বা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তবে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্রমাগত তাপপ্রবাহের কারণে ওই অঞ্চলজুড়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পানির সংকট। ফলে এলাকাবাসীকে অধিকাংশ সময় ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই থাকতে হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি নাগরিকদের সহযোগিতা করার এবং পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
জরুরি বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার ডা. আদিত্য সিং বলেন, ‘আমাদের সমস্ত কর্মীরা এখানে টানা তিনদিন ধরে রয়েছেন এবং সবাই অতিরিক্ত কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে কোনো কার্যকর এয়ার কন্ডিশনার নেই এবং যেসব কুলিং ইউনিট রয়েছে সেগুলো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে কর্মচারীরা বই দিয়ে রোগীদের বাতাস করছেন।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিহারে বিষাক্ত মদ খেয়ে ২০ জনের মৃত্যু, বেশ কয়েকজন অসুস্থ
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে বিষাক্ত মদ খেয়ে শনিবার কমপক্ষে ২০জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়েছে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
বিহারের রাজধানী শহর পাটনা থেকে প্রায় ১৫১ কিলোমিটার উত্তরে পূর্ব চম্পারন (মতিহারি) জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে একটি ট্যাঙ্কে ভেজাল মদ বহন করে মতিহারিতে আনা হয়েছিল এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল, যার ফলে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
ভারতে বাস দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত
১ বছর আগে
মোদির মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে!
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী বছর পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই রদবদল হতে চলেছে।
যদিও এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবির পাওয়া তথ্য অনুসারে, মন্ত্রিসভায় কমবেশি নতুন ২৮ মুখ দেখা যাবে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও উপস্থিতি থাকছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
বর্তমানে মোদির মন্ত্রিসভায় ৫৩ জন সদস্য রয়েছেন। ২০১৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর এটাই মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায বর্ধনের উদ্যোগ হতে চলেছে।ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের তিন বিজেপি নেতা, জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুর এবং এন প্রামাণিকের নাম নতুন মন্ত্রীসভায় যুক্ত হবার কথা শোনা যাচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গে গত এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় ধরনের পরাজয়ের শিকার হয় মোদির বিজেপির। কেন্দ্রীয় অনেক নেতাসহ স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকবার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার পরও বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় বিজেপি।
আরও পড়ুন: চীনকে দমন করতে চাইলে মাথা থেতলে দেয়া হবে: জিনপিং
পশ্চিমবঙ্গের পরাজয়ের কথা মাথায় রেখেই আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বচান ও সাধারণ নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার মাধ্যমে নতুন পরিকল্পনা করছে বিজেপি।ইউএনবি’র পাওয়া তথ্যমতে, সাবেক কংগ্রেস সাংসদ জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিহারের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানের নাম নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারে।
এছাড়া, মন্ত্রিসভায় বর্ধনের লক্ষ্যে বর্তমান মন্ত্রিসভাযর পিয়ুস গোয়াল, স্মৃতি ইরানি সহ প্রায় নয়জন মন্ত্রীকে তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব ছাড়তে হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
দিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষক রামা শার্মা বর্তমান গুঞ্জন সম্পর্কে ইউএনবিকে বলেন, ‘আগামী বছর উত্তর প্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এক্ষেত্রে যেকোনও দলের জন্যই উত্তর প্রদেশ জয় করা জরুরি।’‘উত্তর প্রদেশ যার, ভারত তার।’- এমন কথার প্রচলন আছে উল্লেখ করে রামা শার্মা আরও বলেন, ‘যেহেতু উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ ৮০টি সংসদীয় আসন আছে, তাই সকলেই উত্তর প্রদেশের ওপর নজর রাখবে।’
৩ বছর আগে
বজ্রপাতে বিহার ও উত্তর প্রদেশে প্রাণ গেল ১০৭ জনের
ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশে বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে