উত্তর প্রদেশ
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এখন পর্যন্ত ভারতে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আবার ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও শোচনীয় করে তুলেছে।
দেশটির সবচেয়ে জনবহুল দু’টি রাজ্যের হাসপাতালগুলো তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ রোগীতে পূর্ণ। এমনকি একটি মর্গ ধারণক্ষমতায় পৌঁছেছে।
স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে গত কয়েক দিনে তাপজনিত অসুস্থতায় ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে দেওরিয়া শহরের একটি লাশবাহী গাড়িরচালক জিতেন্দ্র কুমার যাদব অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘গরমে এত মানুষ মারা যাচ্ছে যে আমরা বিশ্রামের জন্য এক মিনিটও সময় পাচ্ছি না। রবিবার আমি ২৬টি লাশ বহন করেছি।’
আরও পড়ুন: তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
ওই এলাকার অন্য বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে তারা মধ্যসকালের পরে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার বৃহত্তম হাসপাতালটি নতুন আরও কোনো রোগীকে জায়গা দিতে পারছে না।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ৫৪ জন বৃদ্ধের মৃত্যুর পর মর্গটি পূর্ণ হয়ে যায়। কিছু পরিবারকে তাদের স্বজনদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, দুই সদস্যের একটি কমিটি কেন এত সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে তার কারণ খতিয়ে দেখবে এবং এর মধ্যে সরাসরি তাপপ্রবাহের কারণে এই মৃত্যুগুলো হয়েছে কি-না তাও তদন্ত করবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, গ্রীষ্মের সময় দেশটির উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড গরম পড়ে। তবে তাপমাত্রা এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, মোটামুটি ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমপক্ষে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হয় বা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তবে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্রমাগত তাপপ্রবাহের কারণে ওই অঞ্চলজুড়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পানির সংকট। ফলে এলাকাবাসীকে অধিকাংশ সময় ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই থাকতে হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি নাগরিকদের সহযোগিতা করার এবং পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
জরুরি বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার ডা. আদিত্য সিং বলেন, ‘আমাদের সমস্ত কর্মীরা এখানে টানা তিনদিন ধরে রয়েছেন এবং সবাই অতিরিক্ত কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে কোনো কার্যকর এয়ার কন্ডিশনার নেই এবং যেসব কুলিং ইউনিট রয়েছে সেগুলো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে কর্মচারীরা বই দিয়ে রোগীদের বাতাস করছেন।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭
ভারতের উত্তর প্রদেশে শনিবার রাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বহনকারী একটি ট্রলিকে টেনে নেয়া ট্রাক্টর উল্টে পুকুরে পড়ে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এ ঘটনায় আরও ২২ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কানপুর জেলার ঘটামপুর গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ৫০ জন তীর্থযাত্রী মন্দির থেকে বাড়ি ফেরার সময় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ট্রাক্টরের চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পুকুর থেকে প্রায় ২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদের সমবেদনা জানাতে এবং দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
টুইটে মোদি বলেন, ‘কানপুরে ট্র্যাক্টর-ট্রলি দুর্ঘটনায় আমি ব্যথিত। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার শোক এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতার জন্য আমার প্রার্থনা রইল। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।’
পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়ান: ফ্লোরিডায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৮, আহত ২৫
২ বছর আগে
ভারতে দেয়াল ধসে নিহত ৯
প্রবল বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশে দেয়াল ধসে অন্তত নয়জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
দিল্লি থেকে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের দিলকুশা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাত ২টার দিকে আর্মি ক্যাম্পের বাইরে অস্থায়ী কিছু কুঁড়েঘরের ওপর সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। তখন প্রায় ১১ জন অভিবাসী শ্রমিক কুঁড়েঘরের ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে দেয়াল ধসে পড়েছে। আমরা দু’জন শিশুসহ নয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ ভারতীয় রুপি এবং আহতদের প্রত্যেকের জন্য ২ লাখ ভারতীয় রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
ভারতে দেয়াল ধসে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
পড়ুন: জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
২ বছর আগে
উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে একটি ব্যস্ত রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি ট্রাকের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসা আটজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্ণৌ থেকে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার দূরে গোরখপুর জেলায় এ দুর্ঘটনায় দ্রুতগামী গাড়িটির আরও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, গাড়িটি দ্রুত গতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। কারণ এর চালক জেলার সিদ্ধার্থনগর এলাকায় একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় ভারী এই যানটিকে দেখতে পায়নি।
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
এ কর্মকর্তা বলেন, ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। অন্য তিন আহত ব্যক্তিকে গোরখপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ট্যুইট বার্তায় এই হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস টুইট করেছে, ‘উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্বজনদের দুই লাখ টাকা করে দেয়া হবে এবং আহত প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা। প্রতি চার মিনিটে একটি ঘটছে। এই দুর্ঘটনাগুলির জন্য প্রায়শই দুর্বল রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি অমনোযোগকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত সরকার কঠোর ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করেও দুর্ঘটনার লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ যায় সড়ক দুর্ঘটনায়।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা: ৩১ বছর পর মুক্ত দোষীসাব্যস্ত পেরারিভালান
২ বছর আগে
উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ পর্যটক নিহত
ভারতের উত্তর প্রদেশের বৃহত্তর নদিয়ায় বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির সীমান্তবর্তী নদিয়া শহরের যমুনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সবাই পর্যটক। তারা আগ্রা থেকে নদিয়ায় ফিরছিলেন। পর্যটকরা সেখানে তাজমহল দেখতে গিয়েছিলেন।
নদিয়া পুলিশের এক মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, তারা আগ্রা থেকে নদিয়ায় ফেরার পথে জেওয়ার টোল প্লাজার কাছে তাদের বহনকারী গাড়িটি পেছন দিক থেকে একটি ট্রাকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে একই স্থানে ফের সড়ক দুর্ঘটনা, আহত ২
এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ‘আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক’ বলেও জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
ট্রাকটি আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে এ দুর্ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই মুখপাত্র।
২ বছর আগে
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছে। শনিবার উত্তর ভারতীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে একটি ব্যস্ত এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ব্যক্তিগত গাড়ির অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, এক শিশুসহ নিহত সকলেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে রাজ্যের মথুরা শহরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় গাড়ির সব যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অন্য গাড়ির দুই যাত্রী আহত হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টুইট করে জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, এ দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি চার মিনিটে একটি ঘটছে। এই দুর্ঘটনাগুলির জন্য প্রায়ই ভাঙা রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি অমনোযোগকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত সরকারের প্রয়োগ করা কঠোর ট্র্যাফিক আইনও দুর্ঘটনার লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
২ বছর আগে
উত্তর প্রদেশে এগিয়ে মোদির বিজেপি
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বড় ব্যবধানে এগিয়েছে রয়েছে। এই নির্বাচনকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে রাজ্যের প্রধান বিরোধী সমাজবাদী পার্টির চেয়ে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি অনেক এগিয়ে।
বিধানসভায় ৪০৩ আসনের মধ্যে বিজেপি ২২০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
চূড়ান্ত ফলাফল আজই ঘোষণার কথা রয়েছে।
এর আগে করোনার বিধিনিষেধ মেনে উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে জয় প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য একটি বড় উপলক্ষ হতে পারে। ২০২৪ সালে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোটগ্রহণ শুরু
২ বছর আগে
ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোটগ্রহণ শুরু
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে বৃহস্পতিবার বিধান সভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
করোনার সব স্থাস্থ্যবিধি মেনে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে প্রথম ধাপের ভোট সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে।
উত্তর প্রদেশে ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। মোট সাত দফায় ভোট হবে এই রাজ্যে। আগামী ৭ মার্চ রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন। ভোটের ফল গণনা হবে আগামী ১০ মার্চ।
উত্তরপ্রদেশে জয় প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য একটি বড় উপলক্ষ হতে পারে। ২০২৪ সালে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
চলতি মাসে ভারতে আরও চারটি রাজ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হলো উত্তর ভারতের পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, পশ্চিমের গোয়া এবং উত্তর-পূর্বের মণিপুর।
এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটিতে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। আর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস রয়েছে পাঞ্জাবের ক্ষমতায়।
পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাব দ্বন্দ্ব যেভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নিলো
২ বছর আগে
মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন
করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই উত্তর প্রদেশসহ ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রাজ্যে আগামী মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমে গোয়া এবং উত্তর-পূর্বে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সাত দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে৷ পাঞ্জাব, গোয়া ও উত্তরাখণ্ড ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং মণিপুরে যথাক্রমে ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ দুই দফা ভোট হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে আগামী ১০ মার্চ।
দেশটিতে করোনা আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি সত্ত্বেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন বজায় রাখার লক্ষ্যেই, সময়মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে।
তবে প্রথমবারের মতো ভারতের শীর্ষ নির্বাচনী সংস্থা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে। এরপরেও শুধুমাত্র সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করা যাবে। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটিতে ক্ষমতায় রয়েছে, অন্যদিকে দেশের প্রধান বিরোধী কংগ্রেস পাঞ্জাবের ক্ষমতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯১ হাজার, মৃত্যু ৩ শতাধিক
৪০৩ টি বিধানসভা আসন সহ উত্তরপ্রদেশ ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাজধানী দিল্লি লখনউয়ের অংশ হিসেবে থাকায় যে দলটি এই রাজ্যে জয়ী হয় তাদের পরবর্তী ফেডারেল সরকার গঠনের সুযোগ থাকে৷
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে একটি জয় প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার অর্ধেক এগিয়ে রাখবে।
এমন দিনে বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা করা হলো যেদিন দেশটিতে ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১ দশমিক ৪২ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে তিন হাজার সাত জন ওমিক্রনে আক্রান্ত।
মাত্র একদিন আগে, কেন্দ্রীয় সরকার আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করে নতুন কোভিড বিধি দিয়েছে।
এদিকে, তিন দিন আগে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুর শহরে প্রথম ওমিক্রনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু
সৌরভ গাঙ্গুলির পর তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত
২ বছর আগে
উত্তর প্রদেশে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ১৫
ভারতের উত্তর প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস ও বালুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার বাবুরি এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
বারাবাঙ্কির পুলিশ প্রধান যমুনা প্রসাদ জানান, দিল্লি থেকে বারিশগামী বাসটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রাকটি রাস্তায় একটি গাভীকে ধাক্কা দেয়া এড়াতে গেলে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন মারা যান এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা যান আরও ছয় জন। বর্তমানে এ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া লক্ষ্ণৌ কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ১১ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ প্রধান।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আরেক কর্মকর্তা।
এদিকে এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতদের সর্বোচ্চ ভালো চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাতে ভারতে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরু করবে ভারত
৩ বছর আগে