উন্নত দেশ
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার কৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর রূপরেখা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার আলোকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের কৌশল নিয়ে কাজ করছেন তারা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় তিনি সংসদে বলেছিলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে টেকসই উত্তরণ এবং উত্তরণ-পরবর্তী বাস্তবতাগুলো মোকাবিলা করার কৌশলগুলো এখনই নির্ধারণ করা দরকার।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট অর্থনীতি এই চারটি মূল স্তম্ভের ভিত্তিতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১), চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৫-২০২৫) এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনাগুলো এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে যা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে বর্তমান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, চলতি হিসাবের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করা।
বিশেষ করে তিনি বলেন, শুল্ক যৌক্তিককরণ, রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ, ভর্তুকি প্রত্যাহার বা নগদ সহায়তা বা বিকল্প অন্বেষণ এখন বিবেচনা করা উচিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জিডিপির শতাংশ হিসাবে রাজস্বের পর্যাপ্ত প্রবৃদ্ধি, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় অর্থায়ন সহজতর করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় মেটাতে দেশি ওবিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থা করার জন্য।
আরও পড়ুন: আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ও আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, খাদ্য ও কৃষি উপকরণকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) জার্মানির বার্লিনে ‘১৫তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’- মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (জিএফএফএ) শেষ দিনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নির্দোষ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। এ যুদ্ধের ফলে সারের দাম চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যশস্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে। এ নেতিবাচক প্রভাব নিরসনের জন্য আমি উন্নত বিশ্বকে নমনীয়, সহজ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি উন্নত, টেকসই ও জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে এবং কৃষকেরা উন্নত জীবন পাবেন। কিন্তু জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কপ২৬, কপ২৭ ও অন্যান্য বৈশ্বিক ফোরামে দেয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোকে আমি অনুরোধ করছি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার ও বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ও কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুযায়ী বৈশ্বিক ক্ষুধা নিরসন (জিরো হাঙ্গার) করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্ষুধায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে ৭০ কোটি ২০ লাখ থেকে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় চার কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ কোটি বেশি। বর্তমানে বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ খাদ্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। প্রজাতি বিলুপ্তি, কোভিড ১৯, আর যুদ্ধ; খাদ্যসংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কীভাবে ক্রাইসিস-প্রুফ খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ুসহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতা বাড়ান যায়- এই চারটি বিষয়কে সম্মেলনে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 'ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশন: এ ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপন্স টু মাল্টিপল ক্রাইসেস' শিরোনামে এ সম্মেলনে বিগত চার দিনে অংশগ্রহণকারী দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনা করে একটি ‘যৌথ ইশতেহার’ (কমিউনিক) ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
১ বছর আগে
কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ইউক্রেনের যুদ্ধ, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যসহ বহু প্রতিযোগিতামূলক সংকটের মধ্যে মিশরের শারম এল শাইখে ৬-১৮ নভেম্বর চলছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার শেষ সুযোগ হিসাবে বিবেচিত জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু আলোচনা।
বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৭তম সম্মেলনে আলোচনা করা প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল বলেছে, তারা উন্নত দেশগুলিকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদানের জন্য বোঝানোর চেষ্টা করবে যা তারা আগে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ইউএনবিকে জানান, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই ২০১৫ সালে। এরপর ওই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য গাইডলাইন বা রুলবুক প্রণয়নের কাজ চলছিল এত বছর ধরে। সেটিও সম্পন্ন হয়ে অনুমোদন হয়ে গেছে গত বছরের গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে। পাশাপাশি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আলোকে গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা, মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং বন উজাড় বন্ধ করা।
এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে ২০৩০ সালের কার্বন নিঃসরণ ২০১০ সালের চেয়ে ৪৫ শতাংশ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু গত এক বছরে সেই সব প্রতিশ্রুতির ধারেকাছেও কোন দেশ বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো এখনও যায়নি।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউএনবিকে বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি দেয়া শুরু হয়েছিল সেই ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন থেকে। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি এসেছে। আবার এসব প্রতিশ্রুতি আদায় করতেও বাংলাদেশে মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এতে জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সমঝোতাকারীদের অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আরও বলছেন, ২০০৯ সালেই উন্নত দেশগুলো কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার করে দিবে। ২০২০ সাল গিয়ে ২০২২ সালও চলে যাচ্ছে। এখন সময়ের পরিবর্তনে ১০০ বিলিয়ন ডলারের চাহিদা ৫০০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মূল প্রতিশ্রুতিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এর আগে ২০১০ সাল থেকে ফাস্ট ট্র্যাক ফাইন্যান্স হিসেবে উন্নত দেশগুলো তিন বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রতিও তারা ( উন্নত দেশগুলো ) বাস্তবায়ন করেনি। উল্টো পুরনো দেয়া ঋণ ও অনুদানকে গোজামিল দিয়ে হিসাব দিয়েছিল ২০১৩ সালে জলবায়ু সম্মেলনে।
এ প্রসঙ্গে সম্মেলন পর্যবেক্ষণকারী জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মো. সামছুদ্দোহা ইউএনবিকে বলেন, সেই কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডে উন্নত দেশগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ওই সম্মেলনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কোর কমিটির মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের দাবি ছিল ২ ডিগ্রি নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। বাংলাদেশের সেই দাবিও কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডে ঠায় পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বেডে যাওয়ায় বিশ্ব জোরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বেড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি নয়, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা আন্তঃসরকার প্যানেল আইপিসিসি তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে ঘটছে তাতে পৃথিবীকে রক্ষার জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই রাখতে হবে। জাতিসংঘ তাতে মত দেয়। শেষ পর্যন্ত উন্নত দেশগুলো তাদের ২ ডিগ্রি দাবি থেকে সরে আসে। ফলে প্যারিস চুক্তিতে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মানছে না উন্নত দেশগুলো। তাদের কারণে বর্তমানে যে হারে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে তাতে এই শতাব্দী শেষে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি পৌঁছাবে। এই তথ্য খোদ জাতিসংঘ বিভিন্ন সংস্থার।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তাই এবারের জলবায়ু সম্মেলনের উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিশ্রুতি বাদ দিয়ে পুরনো ‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে’ উদ্যোগী হয়েছেন। তাই এবারের জলবায়ু সম্মেলনেকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবাস্তবায়ের সম্মেলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সম্মেলনের শুরু থেকে নতুন দরকষাকষিতে না গিয়ে আগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জোর দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মিশর প্রেসিডেন্সির সঙ্গে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। সম্মেলনে ১০০টি দেশের বেশি শীর্ষ নেতারা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। সকলেই একবাক্যে তাদের দেয়া বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অনুসঙ্গ হিসেবে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে দুর্যোগের আগাম সতর্কতা ব্যবস্হা জোরদার করা। কারণ বিদ্যমান প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন খুবই জরুরি।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসে এই আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আরও উদ্ভোধন করেছেন, বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য গ্রিন হাউজ গ্যাস ইনভেন্টরি কার্যক্রম। এর মাধ্যমে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের প্রকৃতপক্ষে তথ্য জানা যাবে।
বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থার দেয়া কার্বন নিঃসরণ তথ্যের সঙ্গে প্রকৃত তথ্যের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ফলে অর্থায়ন ও অভিযোজনের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য কার্বন নিঃসরণের প্রকৃত তথ্য জানা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রতি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন অনেক বেশি। ইউরোপে পার ক্যাপিটা পার এরিয়া ১০ টনের বেশি। আমেরিকায় ১৫ টন বা আরও বেশি।
রবিবার সচিবালয়ে মিশরে অনুষ্ঠেয় ‘কপ-২৭’ সম্মেলনকে সামনে রেখে ‘বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পার ক্যাপিটা পার এরিয়া এখন চার-পাঁচ টন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে। সেই তুলনায় আমাদের কিছুই না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সেটি আমাদের ওপর অন্য দেশের তূলনায় অনেক বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত বিরূপ প্রভাব দৃশ্যমান। যেমন, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। যারা উপকূলের মানুষ, তারা জানেন, আমি চট্টগ্রাম শহরের ছেলে, সেই কারণে আমিও জানি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, হঠাৎ একদিনের অনেক বৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনাগুলো অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
আরও পড়ুন: দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন কাঁটাতারের বেড়া মানে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, গ্ল্যাসিয়েল লেক বলতে বরফ গলে যে লেকগুলো তৈরি হয়েছে, সেটাকে বোঝায়। সেখান থেকে উৎপত্তি হওয়া নদীগুলো বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। তাহলে সেটার যে কী বিরূপ প্রভাব, তা অনুমানেরও বাইরে। সব মিলিয়ে আমরা এই জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার। পুরো পৃথিবীই শিকার।
এবারের কপ২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমাদের এবারকার বক্তব্য থাকবে, যে দয়া করে যুদ্ধটা বন্ধ করুন। একে অপরকে ধ্বংস করার পরিবর্তে সবাই মিলে পৃথিবীটাকে রক্ষা করি। এটি প্রথম বক্তব্য।
দ্বিতীয় বক্তব্যটা হচ্ছে, আমরা যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের অসহায় শিকার, আমরা বহু বছর থেকে বলে আসছি, সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা করবো যে কোনও অজুহাত এখানে দাঁড় করানো যাবে না। আমাদের প্রতিশ্রুত সাহায্য করতে হবে।
‘প্যারিস চুক্তির আলোকে যেগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো এখনো হয়নি। যেমন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে যে পরিমাণ অর্থ জমার পড়ার কথা ছিল সেটি জমেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে সেই অর্থ সমবণ্টনের কথা ছিল, কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি যেভাবে সমাধান করার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না।’
তিনি জানান, আমাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে আমরা চেষ্টা করবো, আমরা যারা পৃথিবীতে শান্তি চাই, শান্তি স্থাপিত হোক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পৃথিবী নানা অশান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই যে আড়াই বছর ধরে মহামারি। এরমধ্যে আমরা যুদ্ধ করছি। আমাদের বিবেক-বুদ্ধি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
মহামারির মধ্যে পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়েছে। কিন্তু আমরা ব্যস্ত নিষেধাজ্ঞা পাল্টা-নিষেধাজ্ঞায়। এতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে, পাশাপাশি রুবলও।
কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধের বাইরে আছি, আমরা প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের মোকাবিলা করা দরকার, তা বাদ দিয়ে আমরা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছি। শুধু মহামারি না, এ বছর দেখেন, বিভিন্ন দেশে বন্যা, খরা ও দাবানল হয়েছে। ইউরোপ, তুর্কি, গ্রিস, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মাঝে মাঝে সাইবেরিয়ায়।
আমরা ছোটবেলায় পড়েছি, বরফের দেশ সাইবেরিয়ায় এক্সিমোরা থাকে। সেই সাইবেরিয়ায়ও দাবানল হচ্ছে। এই যে পৃথিবীতে বদলে যাচ্ছে। পৃথিবী যে একটি প্রাকৃতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এসব ঘটনার তারই বহিঃপ্রকাশ।
এখন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা দরকার বলে মনে করেন মন্ত্রী। তার মতে, আমাদের জলবায়ু সচেতনতা প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি আছে।
যদিও সাধারণ মানুষকে অতোটা সম্পৃক্ত করতে পারিনি। কিন্তু যা আছে, তার পেছনে সাংবাদিকদের অবদান আছে।
কপ-২৭ সম্মেলন নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জর্জানালিস্ট ফোরাম’ (বিসিজেএফ) এর সভাপতি কাউসার রহমান, সধারণ সম্পাদক মোতার হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের ইন্ধনেই বিচারপতি মানিকের ওপরে হামলা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
উন্নত দেশে পরিণত হতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার রূপকল্প বাস্তবায়নে জাপান ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে জাপান ও জাইকা আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
বাংলাদেশ ও জাইকার মধ্যে সহযোগিতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে স্নাতক হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে আমরা ‘জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত অংশীদারিত্ব’ চালু করেছি। আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব এখন অদূর ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান সেই মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান মানদণ্ড।’
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাপান ও দেশটির জনগণের অমূল্য সমর্থন ও অবদানের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে টোকিওতে তার প্রথম সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি যে জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী।’
২ বছর আগে
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে বিশ্বে গর্বিতভাবে অবস্থান করছে। অগ্রগতির এই যাত্রা যেন থেমে না যায়; এটাই আমার ইচ্ছা।’
দেশকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে... এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করেছে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
‘তাই বাংলাদেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।’
আবেগ জড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাবা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার মতো আপনাদের জন্য আমার জীবন দিতে দ্বিধা করব না। যত বাধাই আসুক না কেন, আমরা অবশ্যই এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবো।’
তিনি বলেন, সবাই সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা ও ভরসাই তাদের কল্যাণে সরকারের কাজ করার চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বৃহত্তর সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
২ বছর আগে
বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রচেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, থামনো এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’
মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছলে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই পরিমাণ অর্থায়ন হবে বিদ্যমান ওডিএ (অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তা) এর অতিরিক্ত এবং বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। জলবায়ু তহবিলের বিতরণে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্লাসগোতে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবিলায় সাড়া দেয়ার জন্য তাদের বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জলবায়ু কর্মের বিষয়ে সংকল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করতে সমবেত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রকাশিত আইপিসিসি (জলবায়ু সংক্রান্ত আন্ত:সরকার প্যানেল) ৬ মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু বিপর্যয় থেকে পৃথিবকেকে বাঁচাতে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশ্বের জন্য আরেকটি জাগরণের আহ্বান হিসাবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এটি বাংলাদেশের মতো জলবায়ু- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জন্য একটি বড় হুমকি। যদিও আমরা বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ০.৪৭ শতাংশেরও কম অবদান রাখি।’
পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নত দেশগুলোকে অনুকরণ করতে পারব না: মোস্তাফা জব্বার
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নত দেশগুলোকে হুবহু অনুকরণ করা যাবে না বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
৩ বছর আগে
উন্নত দেশের মতো হবে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত করা।
৪ বছর আগে