খুলনা মহানগরী
হিযবুত তাহরীরের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
খুলনা মহানগরী হরিণটানা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে খানজাহান নগর এলাকা থেকে হিজবুত তাহরীর খুলনা অঞ্চলের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল, দুইটি পেনড্রাইভ, একটি এটিএম কার্ড এবং হিযবুত তাহরীরসংশ্লিষ্ট বইয়ের ১০টি প্রিন্ট কপি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকায় চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার ১৫
গ্রেপ্তার হওয়া চার সদস্য হলেন— হিজবুত তাহরীর খুলনা অঞ্চলের প্রধান আনিসুর রহমান রুহুল আমিন রকি (৩৬), সদস্য মো. শাকিল আহম্মেদ (২৬), রিজভী আজিম খান (২৭) ও মেহেদী হোসেন সালিত (২৪)।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কেএমপির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম শনিবার দিবাগত রাতে নগরীর হরিণটানার খানজাহান নগর এলাকা থেকে হিজবুত তাহরীর খুলনা অঞ্চলের প্রধানসহ চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে মো. আনিসুর রহমান রুহুল আমিন রকি মূলত খুলনা অঞ্চলে হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম প্রচার প্রসারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।
তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে যান।
এর আগে ২০১১ ও ২০১৩ সালে ডিএমপির গুলশান থানা এবং ২০১৫ সালে ডিএমপির ভাটারা থানায় গ্রেপ্তার হয়ে ৩, ৭ ও ১৩ মাস কারাভোগ করেছেন। তিনি তার সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে জুম মিটিং ও গোপন বৈঠকের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহ এবং রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বর্তমানে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা প্রথম ফেজে রোজভেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থেকে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৭২১
১১ মাস আগে
খুলনা মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৬.৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ
জার্মানির বাহউস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় গৃহীত ‘সাসটেনেবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু রিডিউস ইরিভার্সিবল পলুশন বাই প্লাস্টিক (এসসিআইপিপি)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রায় চার কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকল্পের আওতায় খুলনা মহানগরীতে বর্জ্য কালেকশন পয়েন্ট, বর্জ্য ট্রান্সফার স্টেশন ও ল্যান্ডফিলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একটি ওয়েস্ট ল্যাব স্থাপন করা হবে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস ও প্রতিরোধের জন্য কুয়েটে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় কেন্দ্র স্থাপন এবং একই সঙ্গে খুলনা মহানগরীর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি সময়োপযোগী নীতিমালা তৈরি করাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি মেয়রের গাড়ির সাথে করিমনের সংঘর্ষ
কেসিসি ও কুয়েট যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে সিটি মেয়র কুয়েটের মাধ্যমে জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব দ্য ইনভায়রনমেন্ট, ন্যাচার, কনজারভেশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেফটি’তে প্রকল্পের প্রপোজাল জমা দেয়ার জন্য লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাঠিয়েছেন।
২ বছর আগে
শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত খুলনা নগরবাসী
খুলনা মহানগরী জুড়ে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। পাশাপাশি জেলা উপজেলা পর্যায়ের সব ধরনের মার্কেটে রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
প্রতিটি মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে দেখা গেছে ঈদের আমেজ। সব দোকানেই প্রচুর ক্রেতার সমাগম।
দেশি পোশাকের পাশাপাশি চীন, জাপান, কোরিয়ান প্যান্ট ও শ্যার্ট পিস, পাঞ্জাবি এবং ভারতীয় থ্রি পিসে বাজার সয়লাব।
নগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতানগুলোতে বেচা বিক্রিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। সবজায়গাতেই পুরুষের চেয়ে মহিলাদের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। ভিড়ের কারণে শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত টাউন মসজিদে সকাল ৮টায়
তবে অভিযোগ রয়েছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা পোশাক বিক্রি করছেন ক্রয় মূল্যের থেকে দুই/তিন গুণ বেশি দামে।
ক্রেতা তাসনুবা বেগম ইউএনবিকে বলেন, একদিন আগে যে থ্রি পিসের মূল্য চেয়েছে ১৫০০ টাকা। একদিন পরে একই থ্রি পিসের মূল্য চাচ্ছে ২৫০০ টাকা। তাছাড়া ছোটদের পোশাকের দামও অনেক বেশি নিচ্ছে। এতে করে আমরা যারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ তারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। তাছাড়া বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে দোকানিরা সাধারণ ক্রেতাদের কোন মূল্যায়ন করছে না। সামান্য দামও কম নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন দোকানিরা।
দেখা য়ায় নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ও বাজার, মোড়ের সামনে ভ্রাম্যমাণ পোশাক বিক্রেতারা ভ্যানে করে প্যান্ট, টিশার্ট, জামাসহ বিভন্ন পোশাক সাজিয়ে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি এ সব পোশাকের মূল্যও নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অনেক ক্রেতাই সেই সব হকারদেরকে ঘিরে ধরে পোশাক পছন্দ করছে। তবে এই নির্ধারিত পোশাকগুলো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে। সর্বোচ্চ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। তবে প্রকার ভেদে প্যান্টের দাম একটু বেশি, সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনায় কর্মজীবী নারীদের ঘরে নেই ঈদ আনন্দ!
ক্রেতা মো: কামাল পারভেজ বলেন, ‘সামান্য আয়ের মানুষ আমরা। তাছাড়া চলমান লকডাউনে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পরও বছরে একটা ঈদের সময়ে সন্তানদের পোশাক তো দিতে হবে। মার্কেটের ভিতরে দোকানগুলোতে একই পোশাক দুই/তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই এই হকার পোশাক ব্যাবসায়ীর নিকট থেকে ক্রয় করছি। এই পোশাকের মান ভাল। বিশেষ করে আমরা যারা নিম্ন-আয়ের মানুষ তাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।’
পোশাক বিক্রেতা আরিফ ফ্যাসানের মালিক শৈকত বলেন, এ বছর হঠাৎ করোনা ও চলমান লকডাউনের কারণে আমরা চাহিদা অনুযায়ী পোশাক আমদানি করতে পারিনি। আমার দোকানে মহিলাদের পোশাকের কালেকশন বেশি যেমন জামদানী, কাতান, সিল্ক, হাফ। ফ্লোর টাচ, লং ফ্রক, লং কামিজ, কটকটি ড্রেস বেশি চলছে। সব পোশাকের মূল্য স্বাভাবিক আছে। তবে কিছু কিছু দোকানদাররা বেশি দামে পোশাক বিক্রি করছে। এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাত শুরু সকাল ৭টায়
এছাড়া খোলা কাপড়ের দোকানে মেয়েরা পছন্দ মতো কাপড় কিনে দর্জি দোকানে বিভিন্ন মডেলের পোশাক তৈরি করছে। ইতিমধ্যে দর্জি দোকানগুলোতে অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় দর্জি ব্যাবসায়ী শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমার এখানে অনেকেই জামা তৈরি করতে এসেছেন। তবে অর্ডার নিতে পারছি না। কারণ সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে পারবো না। অনেককে ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন ডেলিভারি দিতে হবে।
তবে এতো সবের মধ্যেও, কোথাও করোনার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মনোভাব দেখা যায়নি। বিপণিবিতানগুলোতেও তেমন স্বাস্থ্য সচেতনতা পরিলক্ষিত হয়নি।
৩ বছর আগে
খুলনায় বাপ্পী হত্যা মামলার ১০ আসামি গ্রেপ্তার
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ‘গণপিটুনিতে’ নিহত বাপ্পি (২৮) হত্যা মামলার ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে