নদীগর্ভ
সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনার ভাঙনে বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে যমুনা নদীতে অসময়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকার অনেক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ ধরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় এবং প্রচন্ড স্রোতের কারণে একের পর এক ঘরবাড়ি, বসতভিটা, জায়গা জমিন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়। এ পর্যন্ত ২০ হাজার বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বহু পরিবার পথে বসেছে।
আরও পড়ুন: যাদুকাটা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে সুনামগঞ্জের ২ গ্রাম
এই দুর্দশা দেখতে গত ৪ বছরে কমপক্ষে ৫ বার স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীসহ পাউবো কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবারই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দিয়েছেন স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের নানা প্রতিশ্রুতি।
এ ভাঙন রোধে প্রায় ৪ বছর আগে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম-আড়কান্দি থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী তীর সংরক্ষণে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারছে না পাউবো। এ কারণে ভাঙনের মুখে পড়ে বহু পরিবার গৃহহীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী
গত ৭ মার্চ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙনকবলিত এনায়েতপুর-পাঁচিল এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তিনি স্থায়ী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত অনুমোদনের আশ্বাস দেন। এখনও সেই প্রকল্প অনুমোদনের ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েই রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি বিলীন
এদিকে দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার আড়কান্দি, পাকুরতলা, বাঐখোলা ও পাঁচিল এলাকা বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এ ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া (সটক) স্থাপন করেও ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, অসময়ে ভাঙ্গন রোধে জরুরি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন হয়নি। এ কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
৩ বছর আগে
নির্মাণের ৩ বছরের মাথায় নদীগর্ভে বিদ্যালয়
নির্মাণের তিন বছরের মাথায় নদীগর্ভে চলে গেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরবগী চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৪ বছর আগে
কুড়িগ্রামে টি বাঁধের ৫০ মিটার নদীগর্ভে, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
৪ বছর আগে