পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে এরই মধ্যে থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে ক্রাইম রিপোর্টারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নতুন পুলিশ প্রধান এ কথা বলেন।
এছাড়া, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন আইজিপি হিসেবে যোগদানকারী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী ‘সকল কর্মকাণ্ডে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার, উন্নয়ন ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নসহ দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উদাহরণ ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা আরও দৃঢ়তা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি
তিনি বলেন, পুলিশি সেবা প্রদানের প্রধান কেন্দ্র এই থানাকে ‘জনগণের আস্থা ও আস্থার স্থানে’ পরিণত করা হবে।
পুলিশের ভাবমূর্তি যেহেতু ‘থানার আচরণ’ এর ওপর নির্ভর করার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জনগণ যাতে সহজে ও নির্ভয়ে থানায় আসতে পারে, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে এবং প্রত্যাশিত সেবা পায় সেজন্য তিনি ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আরও আন্তরিক ও পরিশ্রমী হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আইজিপি।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর জন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে ভালো আচরণ এবং আন্তরিকভাবে জনগণের কথা শোনা এবং খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। এ বিষয়ে কোনো বিচ্যুতি গ্রহণযোগ্য হবে না।’
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, নতুন প্রধান দৃঢ়ভাবে তা অস্বীকার করে বলেন: ‘পুলিশ সবসময় পেশাদারিত্বের সঙ্গে সব দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচনের সময়, পুলিশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি