পশ্চিমবঙ্গ
গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২০২৬ সালের পরে গঙ্গা পানিচুক্তি নবায়ন সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি যোগাযোগ পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের পরে চুক্তিতে তাদের খাবার পানি এবং শিল্পের পানির প্রয়োজনীয়তার কথা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চলতি বছরের ৩১ মে অনুষ্ঠিত কমিটির শেষ বৈঠকে যোগ এই প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চুক্তি নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ পরিচালনা করে ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
পরের ধাপে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে মন্ত্রণালয় একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করে।
শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধে গঙ্গা/গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’: ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে ২৫ বিদেশি পর্যটক
এই চুক্তিটি ত্রিশ বছরের জন্য বৈধ এবং তাই ২০২৬ সালে নবায়ণ করার বিষয়টি রয়েছে।
চুক্তির অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার জন্য দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিহার সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রয়েছে। যাদের প্রতিনিধিদের এই কমিটিতে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি মনোনীত করে।
অভ্যন্তরীণ কমিটি এ পর্যন্ত চারটি সভা করেছে। ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট প্রথমটি, দ্বিতীয়টি ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর, তৃতীয়টি ২০২৪ সালের১৫ মার্চ এবং ২০২৪ সালের ৩১ মে শেষ বৈঠকটি করে কমিটি। এটি কমিটি ২০২৪ সালের ১৪ জুন তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষাধীন।
এ পর্যন্ত চারটি বৈঠকের মধ্যে তিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন যুগ্ম সচিব, সেচ ও নৌপথ বিভাগ অথবা প্রধান প্রকৌশলী (নকশা ও গবেষণা), সেচ ও নৌপথ বিভাগ। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি মনোনয়ন পাওয়ার পরে অনুষ্ঠিত তিনটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
৪ মাস আগে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে চলমান পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় শনিবার কমপক্ষে ৯জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নিহতরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের পাঁচজন সদস্য, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন কর্মী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক।
৮ জুন রাজ্যটিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে রাজ্যজুড়ে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
সহিংসতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দায়ী করছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শনিবার চলমান ভোটের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ঘটছে, তা দেশের গণতন্ত্রের ওপর একটি কালো দাগ। সাধারণ মানুষ ভয় ছাড়া তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে তারপরও আমি জনগণকে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে তাদের অধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের বিশাল দল মোতায়েন করেছে।
এক ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং ১১ জুলাই ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা
তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
১ বছর আগে
চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আর নেই। আজ সোমবার (৮ মে) বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির গণমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে খবরটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, সমরেশ মজুমদার দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সাহিত্য অকাডেমি পুরস্কার জয়ী এই সাহিত্যিককে। পরবর্তীতে বাড়তে থাকে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা।
উত্তরাধিকার, কালপুরুষ ও কালবেলাসহ আরও অনেক কালজয়ী উপন্যাসের লেখক সমরেশ মজুমদার।
১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গে জন্ম তার। শৈশব কেটেছে ভারতের জলপাইগুঁড়ি জেলায়।
১৯৭৫ সালে দেশ পত্রিকায় সমরেশের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’ প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন প্রয়াত এই সাহিত্যিক। জয় করেছেন দুই বাংলার কোটি পাঠকের হৃদয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক আর নেই
১ বছর আগে
সিরিজে আমার চরিত্রে এক চমক থাকবে: চঞ্চল চোধুরী
ওটিটি হোক বা বড়পর্দা, সবখানেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। কাঁটাতার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও তার ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। ‘কারাগার’-এর পর আবারও কবে নতুন ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে সেই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। যার অবসান হচ্ছে ‘ওভারট্রাম্প’ দিয়ে।
চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে বেশ হিসেব কষতে দেখা গেছে। ভিন্ন ভিন্ন গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চঞ্চল। এবারও তেমনটাই দেখা যাবে আর সেটিই অভিনেতা নিজেই জানান।
বাশার জর্জিস পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ওভারট্রাম্প’।
এ নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের সমাজে এধরনের ঘটনা, বিশেষ করে আমাদের নগর জীবনে ঘটছে অহরহ। এই গল্পে যেমন অন্ধকার দিকের কথা আছে তেমন কিছু শিক্ষণীয় দিকও আছে। এই সিরিজে আমার চরিত্রে এক চমক থাকবে, আপাতত এইটুকুই বলতে চাই।’
সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটু পুরোনো মানুষ তো। এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২০-২৫ বছর কাজ করছি। পরিচালক বাশার আমার প্রায় ২০ বছর পুরোনো বন্ধু। তবে তার পরিচালনায় এই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। সেইসাথে যাদের সঙ্গে এই সিরিজে অভিনয় করেছি তাদের সঙ্গেও বেশ সুসম্পর্ক আগে থেকেই। সব মিলিয়ে কাজটাও বেশ ভালো হয়েছে।’
৬ পর্বের এই সিরিজের মধ্যে দিয়ে চরকিতে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হবেন এফ এস নাঈম, আশনা হাবিব ভাবনা ও সামিরা খান মাহি।
পরিচালক বাশার জর্জিস বলেন, ‘ওভারট্রাম্প গল্পটা কোভিডের সময়ের লেখা। এ সময় সবাই থ্রিলার, রোমান্স করছে কিন্তু কেউ ডার্ক কমেডি করছে না। যা কমেডি হয়েছে সেটা ভিন্ন মাত্রার যেটা টিভিতে দেখা যায়। তবে ওটিটির জন্য তো একটু ভিন্ন ধরনের ডার্ক হওয়া উচিত। ওই জায়গা থেকে ওভারট্রাম্প-এর কাজের প্রতি আগ্রহ হয়।’
ওভারট্রাম্পের নির্মাণ নিয়ে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘টিমের কে কি হবে সেটা নিয়ে টেনশনে ছিলাম। আমি খুব ভাগ্যবান যে ডিওপি খসরুকে বলা মাত্রই তাকে পাওয়া গেছে। দেশসেরা একজন ডিওপি আমার সঙ্গে ওটিটির জন্য প্রথম কাজ করছেন। রঞ্জনদাও আমার সঙ্গে প্রডাকশন ডিজাইন করতে রাজি হয়। সিরিজে অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে চরম মেজাজ খারাপ লেগেছে। মানে ওরা এত বেশি সিরিয়াস যে আমি নিজেই ভরকে গেছি।’
জানা যায় চরকির পর্দায় শিগগিরই দেখা যাবে ‘ওভারট্রাম্প’।
১ বছর আগে
পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি কৃষ্ণ ধর আর নেই
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি, সাংবাদিক ও লেখক কৃষ্ণ ধর আর নেই। বুধবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর (১৯২৮-২০২২)। তিনি দুই মেয়ে ও তিন নাতিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কৃষ্ণ ধরের জন্ম ১৯২৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জের কমলপুর গ্রামে। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এইচ ই হাই স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেনী কলেজ থেকে ১৯৪৫ সালে আইএ পাশ করে কলকাতায় চলে যান। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাশ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ক্যান্সার রোগী ১৫ লাখ, প্রতিবছর মারা যান দেড় লাখ
লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার দেশবন্ধু গার্লস কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৫২ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার সহকারী-সম্পাদক হন। পরে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক বসুমতীর সম্পাদক ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। সাহিত্যকর্মে তার বিচরণ ছিল অতুলনীয়। বাংলা সাহিত্য নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সময়ই লেখালেখির হাতেখড়ি হয় তাঁর। এমএ পাশের আগেই ১৯৪৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অঙ্গীকার’ প্রকাশিত হয়। তারপর অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সমানভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। কবিতার পাশাপাশি কাব্যনাটক, ভ্রমণকাহিনী, সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা, নিজের ধারণা রচনাসম্ভারে ঠাঁই হয়। বিশ শতাব্দীর পাঁচ ও ছয়ের দশকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ছিলেন কৃষ্ণ ধর।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতা ও কাব্যনাটক - 'অঙ্গীকার' (১৯৪৮), ‘প্রথম ধরেছে কলি' (১৯৫৬), 'এ জন্মের নায়ক' (১৯৬১), 'এক রাত্রির জন্য' (১৯৬৭)
সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 'আধুনিক কবিতার উৎস' (১৯৬১), 'সাহিত্যের সাজঘর' (২০১৫)।
এছাড়া ভ্রমণকাহিনী নিয়ে তাঁর অন্যতম লেখা বই- 'মস্কো থেকে দেখা' (১৯৭৪), 'অন্য দেশ অন্য নগর' (১৯৮১)।
ইতিহাস নিয়ে লেখালেখিতেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। ইতিহাস নির্ভর তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখা বই -'মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ' (১৯৭১), 'ভারতের মুক্তি সংগ্রামে বাঙালি' (১৯৯৭), 'কলকাতার তিন শতক' (১৯৮৯)।
সাংবাদিকতার অঙ্গনেও তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। সাংবাদিকতার ওপর লিখেছেন বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - 'সাংবাদিকতার দর্শন: আদর্শ ও বিচ্যুতি' (২০০৩)।
জীবনের নানা কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন পুরস্কার, সম্মাননা। সাহিত্যচর্চার জন্য কবি কৃষ্ণ ধর বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবিকে নজরুল পুরস্কার প্রদান করে। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আট দশক সাতকাহন’ এর জন্য মোজাফফর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে প্রতিবছর স্তন ক্যান্সারে মারা যান ৭ হাজার নারী
দাফনের পর গোলাপি ফিরে বললেন তিনি মারা যাননি
২ বছর আগে
‘নবান্ন চলো’ থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু, লকেট, রাহুল আটক
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ‘দুর্নীতি’ বিরোধী মিছিল ‘নবান্ন চলো’ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় শুভেন্দু ছাড়াও বিজেপির এমপি লকেট চ্যাটার্জি ও রাহুল সিনহাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মঙ্গলবার কলকাতার হেস্টিংস থেকে এই বিজেপি নেতাদের আটক করা হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটকের আগে শুভেন্দু গণমাধ্যমকে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের সমর্থন হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়ায় পরিণত করেছেন।
তিনি ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি তার জনগণের সমর্থন নেই এবং তাই তিনি বাংলায় উত্তর কোরিয়ার মতো স্বৈরাচার প্রয়োগ করছেন। সোমবার থেকে পুলিশ যা করছে তার মূল্য দিতে হবে। বিজেপি আসছে।’
বিজেপির নবান্ন চলো মিছিলের আগে কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য সরকারের নতুন সচিবালয়ের কাছে পুলিশ ভারী ব্যারিকেড দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত
এ মিছিলে অংশ নিতে কলকাতায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস উত্তর ২৪ পরগনায় পুলিশ ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করে বিজেপি কর্মীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে কর্মীরা কলকাতায় যাওয়ার সময় রানিগঞ্জ রেলস্টেশনের বাইরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রানিগঞ্জ থেকেও পুলিশ বিজেপির অনেক কর্মীকে আটক করে।
এছাড়াও, মিছিলে অংশ নেয়ার জন্য কলকাতায় আসতে বাধা দেয়ায় বোলপুর রেল স্টেশনের ভেতরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মীকে।
বিজেপি নেতা অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘শতাধিক বিজেপি কর্মী ট্রেনে করে বিজেপির নবান্ন মিছিলে যোগ দিতে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল, পুলিশ রেলস্টেশনের পথে ব্যারিকেড দিয়েছে। দুর্গাপুর রেলস্টেশনের কাছে আমাদের ২০ জন কর্মীকে পুলিশ আটকে দিয়েছে। আমি অন্য পথ ব্যবহার করে এখানে পৌঁছেছি।’
এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান বন্ধ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজেপির মিছিলকে সামনে রেখে হাওড়াতেও কড়া ব্যারিকেডিং করা হয়েছে।
কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। মিছিল ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নবান্নের চারপাশের পাঁচ কিলোমিটার জায়গাকে ঘিরে রেখেছে।
সোমবার বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, ‘নবান্ন চলো’ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এটা শুধু বিজেপির প্রতিবাদ নয়, বাংলার সমস্ত মানুষের প্রতিবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার সরকার কেন বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তার জবাব দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২৪
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: চার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর ওড়িশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলার সব প্রধান নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বরগুনায়, মঙ্গলবার থেকে গত ছয় দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে জলোচ্ছ্বাসের কারণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিষখালী নদীর পানি বরগুনা পয়েন্টে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটা পয়েন্টে ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সাধারণ জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট উচ্চতায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং সমস্ত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপরে, ভোলায় ৮ গ্রাম প্লাবিত
জলোচ্ছ্বাসে যে কোনো সময় বন্যা রক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
বরগুনা সাইক্লোন প্রিপারেশন প্রোগ্রামের (সিপিপি) রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ বলেন, বৃষ্টি কত দিন চলবে বলা মুশকিল।
বাগেরহাটে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। দুবলারচর, করমজল, কটকাসহ সুন্দরবনের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল সংকট তৈরি করেছে।
বাগেরহাট, সদর, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মংলা উপজেলার নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
সুন্দরবন পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৩.৫ ফুট ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক হরিণ পুকুরের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে ছুটতে দেখা যায় হরিণগুলোকে।
এছাড়া জেলেরা সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছে।
এখানে ৫৩টি পুকুর রয়েছে এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে সবগুলো পুকুর পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ। মিষ্টি পানির উৎস হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ: ভোলার ১০ গ্রাম প্লাবিত
দুবলারচর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার মজুমদার জানান, রবিবার সুন্দরবনের পুকুর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাগেরহাট জেলার মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, অনেক মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সম্ভাব্য লোকসানের আশঙ্কায় মাছের ঘের মালিকরা।
ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার চার উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কয়েক শতাধিক মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এবং দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নদীর পানি প্রবেশ করেছে, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে বলেছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৪টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনও অফিস ও বাসাবাড়িও তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া শৈলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া ঢালী খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আমুয়া বন্দরের প্রধান বাজারও তলিয়ে গেছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলার ২১টি, সদর উপজেলার আটটি, নলছিটি উপজেলার নয়টি ও রাজাপুর উপজেলার ১১টি গ্রাম জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত
২ বছর আগে
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী হলেন বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয়
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী হলেন বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার পার্থ চ্যাটার্জীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার পর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছেন।
৫০ বছর বয়সী বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও আরও চার নতুন মুখ যুক্ত হয়েছে এই মন্ত্রীসভায়। তারা হলেন - স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ ও প্রদীপ মজুমদার। বুধবার বিকালে তাদের সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
পার্থ চ্যাটার্জী মমতার জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সমস্ত পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর এক সপ্তাহ পরে মন্ত্রিসভায় এই রদবদল এলো।
পার্থ চ্যাটার্জী রাজ্য মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিল্প পুনর্গঠন ও পরিষদীয় বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়ার দুই মাস পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
প্রায় আট বছর আগে রাজনীতিতে এবং ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যোগদানের পর, তিনি মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে ভারতের নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও ভারী শিল্প প্রতিমন্ত্রী হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
সুপ্রিয় বড়াল নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বলিউডে প্রবেশ করেন এবং তারপর থেকে অনেক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। তিনি তার সঙ্গীতজীবনে ১১টি ভারতীয় ভাষায় প্লেব্যাক গানও করেছেন।
আরও পড়ুন: কণ্ঠশিল্পী বাবুল সুপ্রিয় কি বাংলার মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন?
২ বছর আগে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১০
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রবিবার রাতে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত এবং আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে কোচবিহার রাজ্যের ধরলা ব্রিজে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে গাড়িতে মিউজিক সিস্টেম পাওয়ার জন্য লাগানো ডিজেল জেনারেটরে শর্ট সার্কিটের কারণে ভ্যানটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় ১০ তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই যুবক যারা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন, আর আহতদেরকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ২৮ জনের মৃত্যু, ৬০ জন অসুস্থ
কর্মকর্তা বলেন, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, এঘটনায় গাড়িটির মিউজিক সিস্টেম পাওয়ার ব্যবহারের প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
মন্ত্রীসভা থেকে বাদের পর দল থেকেও বহিষ্কার হলেন পার্থ চ্যাটার্জি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলটির অন্যতম জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে তার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন। এছাড়াও তার দল ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর তথ্য জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে গণমাধ্যমকে কলেন, ‘আমি পার্থ চ্যাটার্জিকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি। আমার দল কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। আরও অনেক পরিকল্পনা আছে, তবে এখন আর আমি বিস্তারিত বলতে চাই না।’
এরপর এদিন সন্ধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থ চ্যাটার্জিকে দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয়া হয়।
পার্থ চ্যাটার্জি রাজ্য মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিল্প পুনর্গঠন ও পরিষদীয় বিভাগের মন্ত্রী। তিনি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
আগের দিন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযুক্ত এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে টুইট করেন।
তিনি লেখেন, ‘পার্থ চ্যাটার্জিকে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। তাকে বহিষ্কার করা উচিত।’
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার ৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে নেয়া হয়।
এরপর পার্থ চ্যাটার্জির সহযোগী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নগদ ৫০ কোটি রুপি জব্দ করে ইডি।
পার্থ চ্যাটার্জি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি করে এই বিপুল টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জুবায়েরকে জামিন দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে পালাতে সাহায্য করার কথা অস্বীকার ভারতের
২ বছর আগে