ইন্টার্ন চিকিৎসক
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের আশ্বাসে দেশব্যাপী কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দেশব্যাপী আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশেষ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একটি হাসপাতালের প্রাণ। তারা খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালের রোগীদের সেবা করেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়ে চলে গেলে এই ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই রোগীদের নানারকম অসুবিধাগুলোর দেখভাল করেন। কাজেই তাদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে আমি নিজে ফাইল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী ফাইল গ্রহণ করেছেন এবং অতি দ্রুত দেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুরাহা করতে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন না করে চিকিৎসা শিক্ষার কাজে মনোযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি ফাইল গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দ্রুততম সময়ে আপনাদের ভালো খবর দিতে সক্ষম হব।’
বিশেষ সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, সচিব, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধ্যক্ষ, পরিচালকসহ পেশাজীবী চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা সভায় তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বর্তমানে ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, প্রতি বছর এক হাজার টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, চিকিৎসকদের ঝুঁকিভাতা রাখা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
শনিবার (২৩ মার্চ) বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোজার মধ্যে টানা ২ দিন কর্মবিরতি পালন করলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিবাকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান সাগর জানান, তাদের বেতন-ভাতা কাজের তুলনায় অনেক কম। গত বছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবীশ চিকিৎসকরা তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন-ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। বেতন-ভাতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হোক।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভিড় করতে দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগীকে হাসপাতালের বেডে অসহায়ের মতো শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।
৮ মাস আগে
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
আন্দোলনের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিষদের নেতারা।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন দফা দাবিতে মেডিকেল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছিল।
পরিষদের নেতারা বলেন, সিটি মেয়র ও সংসদ সদস্যের আশ্বাসে এবং জনভোগান্তি বিবেচনা করে কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহার করা হলো।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় অভিযুক্ত বিল্লব মেডিসিন কর্নারের মালিক এস এম মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) এবং আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় খুমেকের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধের দোকানিকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালিশপুর থানার বয়রা জংশন রোড এলাকার মৃত শেখ শাহাজাহানের ছেলে ও বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব এবং সোনাডাঙ্গা থানার হাসানবাগ এলাকার ছোট বয়রার মীর বাড়ির মোশারেফ মীরের ছেলে ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করে।
শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর। হামলায় চিকিৎসক-শিক্ষার্থীসহ ১৪-১৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে খুমেক শিক্ষার্থীরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বুধবার রাতে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
বেতন না পাওয়ায় খুমেক হাসপাতালে মল ছিটিয়ে হরিজনদের ধর্মঘট
১ বছর আগে
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা দাবিতে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
একইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তারা প্রশাসন, কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
হামলায় ১১জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবি করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি: ২৩ দিন পর উদ্ধার
এর আগে সোমবার রাতে খুমেক হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় খুমেকের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীসহ হাসপাতালে সামনে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী সেখানে জড়ো হন। এ সময় ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জানায়। পরে তারা এক হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, দোকানপাট ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হন।
ছাত্রদের হামলায় তিনজন দোকানী আহত হন এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ কেনা নিয়ে এক দোকানীর সঙ্গে খুলনা মেডিকেল শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দোকানী তাকে মারধর করেন। বিষয়টি অন্য ছাত্ররা জানার পরে ওষুধের দোকানে গেলেওষুধের দোকানীরা তাদেরকেও মারধর করে। এতে ১৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে। ঘটনার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ছাত্ররা আল্টিমেটাম দিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
১ বছর আগে
বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতলের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা হয়।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের সামনে রংপুর -ঢাকা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
আহত ফাহিম রহমান (২৮) শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ২৫তম ব্যাচের চিকিৎসক এবং ঢাকার সবুজবাগের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
পরে ঘটনাস্থলে এসে বগুড়া শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত কয়েক মাসে আরও দুই থেকে তিনবার শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা উত্যক্ত হয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও বিচার পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক,ডরমেটরি,বাসকেট বল খেলার গ্রাউন্ড ও খেলার মাঠ সন্ধ্যার পরে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। সেখানে বহিরাগতরা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন।
এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের আশপাশে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে জানান, শজিমেক হাসপাতালের আশেপাশের সড়কে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ও অন্ধকার স্থানগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে সব ধরণের ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ দালালদের দৌরত্ব বন্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা জানান বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। এই ক্যাম্পাস চিকিৎসক,শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য । এই ক্যাম্পাসে বহিরাগত থাকবে না। ইতোমধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরও একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল কাজ করছে।
বগুড়া শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.রেজাউল আলম জুয়েল শিক্ষার্থীদের বলেন, আহতের জীবন এখনও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় এক ভ্রাম্যমাণ ঝাল-মুড়িওয়ালা দোকানী বাবা ও ছেলে বাকবিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ঝাল-মুড়িওয়ালা ফরিদ ব্যাপারীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তার ছেলে শাকিল হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
২ বছর আগে
কর্মবিরতিতে ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অপরাধী শনাক্ত না হওয়ায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হামলার শিকার ডা. সাজ্জাদের ইউএনবিকে বলেন, হামলাকারীকে শনাক্ত করতে প্রশাসন ব্যর্থতার হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ হিসেবে কর্মবিরতির আহ্বান জানিয়েছি এবং দোষীদের আইনের আওতায় না আসা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
আরও পড়ুন: মায়ের লাশ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে দিল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ডা. সাজ্জাদ হোসেনকে মারধর করে।
ডা. সাজ্জাদ হোসেনতার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে আমি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বসেছিলাম। হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরা) কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাকে আমার পরিচয় ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে থাকে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে তাদের জানালে তারা আমার আইডি কার্ড পরীক্ষা করতে চায়। ওই মুহূর্তে আমি আমার পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তারা আমাকে মারধর শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’
আরও পড়ুন: কর্মবিরতিতে শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
২ বছর আগে
রোগীর স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
দুই ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলাকারী রোগীর স্বজনদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, রবিবার হাসপাতালে এক রোগীর দুই আত্মীয় ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনার জের ধরে রোগীর স্বজনরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে কুপিয়ে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
আহত ইন্টার্নরা হলেন- রুদ্র ও নাইমুর রহমান ইমন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমদ মুন্তাকিম চৌধুরী বলেন, বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
আরও পড়ুন: বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী জানান, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে রোগীরা হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারছে না, ফলে চরম ভোগান্তি পড়েছেন তারা।
২ বছর আগে
প্রেমিকার করা পর্নোগ্রাফি মামলায় চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফি আইনে প্রেমিকার করা মামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ণব পালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চমেক হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকা মহানগর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার অর্ণব পাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। তিনি চমেক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ ছাত্র বহিষ্কার
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক নারীর করা মামলায় অর্ণব পাল নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।তিনি বলেন, ‘অর্ণবকে হোস্টেল থেকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকার খিলক্ষেত থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাদেকুর রহমান জানান, মামলার বাদীর সঙ্গে অর্ণব পালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে করা হয়েছিল। তবে এর বেশি কিছু আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজতির মৃত্যু
চমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান
২ বছর আগে
৬ জনের লিফটে ১০ চিকিৎসক, আটকে ছিলেন ৪৫ মিনিট
চট্টগ্রাম মহানগরী জিইসি এলাকার মোড়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের ৪৫ মিনিট লিফটে আটক পড়ে ছিলেন ১০ ইন্টার্ন চিকিৎসক। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনার পর জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে লিফট ভেঙে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতিতে শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
নগরীর চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে বিএমএ ভবনের লিফটে আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে লিফটের দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়। লিফটটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জনবল ওঠায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বিএমএ ভবনের ওই লিফটে ধারণক্ষমতা ছিল ছয় জনের। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নগরের খুলশীর ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের ১০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক বিএমএ অফিসে যাওয়ার জন্য লিফটে ওঠেন। এসময় লিফটটি নিচে নেমে যায়। অনেক চেষ্টার পরও লিফটের দরজা খুলেনি। পরে ৯৯৯-এ সাহায্য চেয়ে ফোন করেন। একপর্যায়ে চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের একটি টিম এসে লিফটের দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে।
২ বছর আগে
চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে কর্মবিরতির চারদিন পর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চমেক হাসপাতাল পরিচালকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, চমেক হাসাপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে চলমান এই কর্মবিরতি তুলে নেয়া হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
তিনি জানান, তাদের অনেকগুলো দাবির মধ্যে একটি দাবি ছিল- বহিরাগতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এজন্য তারা তিন দিনের সময় দিয়েছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবেন।
ইন্টার্ন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা আপাতত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তিন দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুনরায় কর্মবিরতিতে যাব।’
এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহানা আখতার, পুলিশের ৫ কর্মকর্তা, চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চমেক ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচজন আহত হন। এরমধ্যে চমেকের ৫৭তম ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমানও ছিলেন। এর জের ধরে গত বুধবার থেকে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
৩ বছর আগে