কোতোয়ালি থানা
আবেগ কষ্ট ভুলে দ্রুত মানুষের সেবায় ফিরব: ফরিদপুর পুলিশ সুপার
ফরিদপুরে জ্বালিয়ে দেওয়া কোতোয়ালি থানা দেখতে এসে জেলা পুলিশ সুপার মো. মোশেদ আলম বলেছেন, দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুষ্কৃতিকারীদের হামলার স্বীকার হয় পুলিশ ও বিভিন্ন থানা। তবে আবেগ ও কষ্ট ভুলে দ্রুত মানুষের সেবায় ফিরব।
তিনি বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব মানুষকে সেবা দেওয়া শুরু করার চেষ্টা করছি। নিজেদের আবেগ ও কষ্ট ভুলে দেশসেবায় সক্রিয় হতে প্রত্যেক (পুলিশ) সদস্যের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পরিদর্শনে এসে পুলিশ সুপার মোশেদ আলম একথা বলেন।
জেলার ৯টি থানার মধ্যে ৩টি সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘সেখানে সেবার কাজ শুরু করতে আরও কিছু সময় লাগবে। এছাড়া অন্য ৬টি থানার কার্যক্রম স্বল্প পরিসরে শুরু করেছি। আমরা সকলের সহযোগিতায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সকল জুনিয়র-সিনিয়র অফিসাররা কাজে ফেরার চেষ্টা করছি।’
তিনি জানান, জেলার কোতোয়ালি, সদরপুর ও মধুখালী থানার ভবন ও সরকারি মালামাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অবশিষ্ট কিছু নেই, নেই মামলার নথিপত্রও।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি আইনজীবী মোদারেরছ আলী ইছা, ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৭ খানার দায়িত্বে সেনাবাহিনী
১১ দফা দাবিতে অনড় খুলনা পুলিশ, চলছে কর্মবিরতি
৩ মাস আগে
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার সকাল ১০টায় শহরের ঝিলটুলিস্থ ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: জিকে শামীমের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে ৩ জনকে দুদকে তলব
প্রায় আড়াইঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির আশ্রয় ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ডাকা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের সঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারছি না। এছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুষ গ্রহণসহ এ রকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব
ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫ শিক্ষককে দুদকে তলব
১ বছর আগে
৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে ৯৯৯ এ মায়ের ফোন!
ফরিদপুর সদরের কোতোয়ালি থানায় নিজের তিনমাস বয়সী শিশুকে চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে মা নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে শিশুটিকে অপহরণের অভিযোগ করেন। উদ্ধারের পর মঙ্গলবার আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে ফের মায়ের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
অভিযোগকারী ওই নারী মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মারধর থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ চোরের ফোন
জানা যায়, গত রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ৯৯৯-এ ফোন করে এক নারী জানান যে ফরিদপুর সদরের কোতোয়ালি থানার একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতাল থেকে তার তিন মাস বয়সী শিশু হারিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, তার শিশুকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ওই হাসপাতালে এনেছিলেন তিনি। একজন আয়ার কাছে শিশুটিকে রেখে তিনি টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে এসে তিনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আয়াকে এবং তার সন্তানকে আর খুঁজে পাননি।
এসব তথ্য জানিয়ে ওই নারী আইনী সহায়তার অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল জাহাঙ্গীর তাৎক্ষণিক ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানান।
সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়।
উল্লেখিত হাসপাতাল এবং তৎসংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অভিযোগকারী নারী ৯৯৯ এ কল করার পর হাসপাতালটিতে গিয়েছেন। এর আগে সেদিন তিনি ওই হাসপাতালে যাননি।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি নিজেই তার শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছেন।
শিশু বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, তার তিনটি সন্তান পিঠাপিঠি। তার স্বামী প্রবাসী। তিনি তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে একা একা সাংসারিক কাজ এবং তাদের সামলানো নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এছাড়াও শিশুটির কিছু অস্বাভাবিকতা তিনি লক্ষ্য করেন। তাই তিনি শিশুটিকে চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষদের ভুল বোঝাতে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে শিশু চুরির গল্পটি সাজান বলেও জানান ওই নারী।
এরপর সোমবার (২৭ মার্চ) তার দেয়া তথ্যমতে ফরিদপুরের ভাঙা থানার লোহারদিয়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর ওই নারীর আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেয়া হয় এবং তাদের অনুরোধে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিয়েই উদ্ধারকৃত শিশুটিকে ফের তার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ ৯৯৯-কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে স্বামীকে খুন, ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ!
৯৯৯-এ ফোন: অতঃপর যৌনপল্লি থেকে তরুণী উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেটে নবজাতকের গলিত লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর চারাদিঘীর পাড় এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ চারাদিঘীর পাড়স্থ মাজার সংলগ্ন ড্রেনের কাছে থেকে নবজাতকের গলিত লাশটি উদ্ধার করে।
কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নূরুল ইসলাম বলেন, ড্রেনের কাছে নবজাতকের গলিত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে। তবে কারা, কখন লাশটি ফেলে গেছে স্থানীয়রা সেই তথ্য জানাতে পারেনি।
তিনি বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে কার-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেটে ২ মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে বৃদ্ধ খুন
সুফিবাদের তীর্থস্থান হিসেবে তুরস্কের সাথে সিলেটের মিল রয়েছে: রাষ্ট্রদূত
৩ বছর আগে
ছোটমনি নিবাসে বালিশচাপা দিয়ে শিশু হত্যা, আয়া আটক
সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সিলেট নগরীর বাগবাড়িস্থ ছোটমনি নিবাসে দুই মাসের শিশুকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা নামের এক আয়াকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, নাবিল আহমদ নামের ওই শিশুকে গত ২২ জুলাই দিবাগত রাতে প্রথমে সজোরে ছুড়ে ফেলেন ওই আয়া। পরে বালিশচাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা জিডি পর্যালোচনায় সন্দেহভাজন ওই আয়াকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়েছে। প্রথমে ওই আয়া এ ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ফের প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। তবে, এ বিষয়ে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ডাকাতির সময় নারীকে ধর্ষণ, শিশু হত্যার অভিযোগ
গাইবান্ধায় শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
৩ বছর আগে
মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে নিখোঁজ
চট্টগ্রামে বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগ করে মুক্তি পাওয়া মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে ইয়াছিন (১২) নিখোঁজ হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াছিন কয়েক বছর ধরে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে একটি দোকানে কাজ করতো।
নিখোঁজের পর থেকে ইয়াসিনকে খোঁজে বেড়াচ্ছেন মিনুর ভাই মো. রুবেল। তিনি সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে ভাগ্নের সন্ধানে সেই দোকানে যান। কিন্তু দোকান ভেঙে ফেলায় খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও সড়কে প্রাণ গেল সেই মিনুর
এর আগে ২৮ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পর ‘অজ্ঞাত’ ব্যক্তি হিসেবে মিনুকে দাফন করা হয়। তবে ট্রাক চাপায় তার মারা যাওয়াকে অস্বাভাবিক দাবি করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
ইয়াসিন নিখোঁজের ব্যাপারে মো. রুবেল বলেন, মিনু আপা মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে তাঁর বড় ছেলে ইয়াছিনকেও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথমে শুনেছিলাম দোকানের মালিকের সঙ্গে বাঁশখালী গিয়েছিল। কিন্তু ইয়াছিন যে দোকানে চাকরি করতো সেটি এখন নেই। বিষয়টি পুলিশকে জানোনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ মিনু
মিনুর মৃত্যু নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। রুবেল বলেন, মিনুর মৃত্যুতে রহস্য থাকতে পারে। যারা মিনুকে কারাগারে নিয়ে গেছেন, তারা শক্তিশালী। কেউ যদি মিনুকে হত্যা করে থাকে তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মিনুর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, মিনুর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। মাত্র ১৩ দিন আগে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তিন বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় মিনু আসলেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, নাকি অন্য কেউ মিনুকে মেরে ফেলেছে? মিনুর মৃত্যু ঘটনাটির তদন্ত চলছে। যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়, তাহলে ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, মিনুর মৃত্যুর পর দিনই বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে দাফন করেছে পুলিশ। বিনা অপরাধে জেল খাটায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের কারণে মিনু বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। মিনুর মরদেহ কিভাবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়?
মিনুর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খোরশেদ আলম বলেন, সড়কের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিনিয়র স্যারদেরকেও দেখানো হচ্ছে। গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনাটি রাতের বেলায় হওয়ায় একটু সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: অর্থের বিনিময়ে অন্যের সাজা ভোগ করা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে পারভিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।
মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সাজার পরোয়ানামূলে ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে মিনু কারাগারে যান।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে দেয়াল ধসে ২ শ্রমিক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর লাভলেইন এলাকায় নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
৩ বছর আগে
ক্রসফায়ারের ভয়: ঢাকার কোতোয়ালি থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
৪ বছর আগে
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার মেরিনার্স রোডে বৃহস্পতিবার সকাল বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষানবিশ এক সাব ইন্সপেক্টর (পিএসআই) নিহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে
ফরিদপুরে কোতোয়ালি থানার ওসি করোনায় আক্রান্ত
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
৪ বছর আগে