নালিতাবাড়ী
শেরপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাতে সোহেল রানা (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কোন্নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা ওই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মাঠে ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল রানা।
পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মরিচপুরান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে বজ্রপাতে ১৯ জনের মৃত্যু
৩ মাস আগে
হাতি তাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও এলাকার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উসমান আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার(৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে পাহাড়ি জনপদে বন্যহাতি তাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহত উসমান আলী নাকুগাঁও গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একদল বন্যহাতি নাকুগাঁও পাহাড় থেকে পাশ্ববর্তী এলাকায় নেমে আসলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের খেত বাঁচাতে বন্যহাতিদের তাড়া করলে একপর্যায়ে বন্যহাতির দল পাল্টা তাড়া দিলে উসমান আলীসহ অন্যরা দৌঁড়ে পালানোর সময় পা পিছলে খেতের আইলে পড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের খোলা তারে জড়িয়ে তিনি জ্ঞান হারান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি-দাওধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল আলম (৩০) নয়াবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাটাবাড়ি গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে বলে জানা যায়।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবাড়ি পাহাড়ে অবস্থানরত বন্য হাতির দল দেখতে যান শফিকুল আলম। সেসময় তারা হাতির কাছাকাছি চলে গেলে দলের একটি হাতি তাদের তাড়া করে। একপর্যায়ে শফিকুলকে শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে হাতিটি আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষ্ট করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে বন্যহাতির দল ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন থেকে বন্য হাতির একটি দল নালিতাবাড়ীর কাটাবাড়ি পাহাড়ি টিলায় অবস্থান করছিল।
উল্লেখ্য, গত আট মাসে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত জনপদে বন্যহাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে নালিতাবাড়ী সীমান্তেই মারা গেছেন তিনজন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
১ বছর আগে
নালিতাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সমেলা খাতুন (১৯) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোল্লারপাড় গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ওই গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তার স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী সুজাত আলীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, গৃহবধু সমেলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সমেলার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী সুজাতকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে নালিতাবাড়ীর গোল্লারপাড় গ্রামের কাসু মিয়ার ছেলে সুজাত আলীর সঙ্গে সমেলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। সোমবার দিবাগত রাতেও উভয়ের মাঝে কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে মধ্যরাতে সমেলার স্বামী তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জেলা হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সমেলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আটক সুজাত আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের উভয়ের ঝগড়ার পর স্ত্রী সমেলা নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সে টের পেয়ে নিজেই স্ত্রীকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়।
তবে সমেলার পারিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে সুজাত আলী সমেলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে নিখোঁজ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
ভোগাই নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, অভিযুক্ত ছেলে আটক
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আড়াইআনি বাজারের জেলখানা এলাকায় ভোগাই নদী থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নূরভানু (৫৫) নালিতাবাড়ী শহরের নিজপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং পেশায় দিনমজুর।
আটক ফারুক আহমদকে (৩৫) অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত নারীর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলে ফারুক আহমদকে আটক করা হয়েছে।
২ বছর আগে
নালিতাবাড়ীতে মানুষ-বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক কর্মশালা
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে এক সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে বনবিভাগ। শনিবার বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বন্যহাতি হত্যা না করতে এবং জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়।
সেইসাথে গহীন অরণ্যে যেখানে হাতির আবাসস্থল, সেখানে বনবিভাগের জায়গা দখল করে সবজির আবাদসহ অন্যান্য চাষাবাদ করতেও নিষেধ করা হয়।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ভারত সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দুইটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বনবিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৫ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত: সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
৩ বছর আগে
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে আবারও বন্য হাতির আনাগোনা শুরু হয়েছে। ক্ষেতের ফসল পাকতে শুরু করতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে হানা দিচ্ছে আবাদী জমিতে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির দল খেয়ে সাবাড় করছে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে খেতের আধপাকা ধান, সীম-বরবটি, করলাসহ নানা ধরনের সবজীর আবাদ।
মূলত: খাবারের সন্ধানেই বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতি তাড়াতে রাত জেগে জান-মাল রক্ষার চেষ্টা করছেন সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা। এতে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীদের।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের সীমানাঘেঁষা শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড়ের প্রায় ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব গ্রামের চারপাশ ঘিরে গারো পাহাড়। কয়েকদিন যাবত ভারত থেকে নেমে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ওইসব এলাকায় বিচরণ করছে। বন্য হাতির দল সারাদিন পাহাড়ি ঝোপ-জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে লোকালয়ে। হামলা চালাচ্ছে বাড়ি-ঘরে। খেয়ে সাবাড় করছে চলতি আমন মৌসুমের আবাদ। পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। আর ধ্বংস করছে সবজি খেত। বাধা দিতে গেলে শুরু হয় হাতি ও মানুষের যুদ্ধ। ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে আর মশাল জ্বালিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না হাতির তান্ডব। এখন ওইসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ হাতির আতঙ্কে দিন পার করছেন।
৩১ অক্টোবর রবিবার সরেজমিনে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি এলাকায় গেলে কথা হয় স্থানীয় গারো কৃষক ব্রতীন মারাকের সাথে। তিনি জানান, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি। এখানকার প্রায় সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বন্য হাতি খেতের সবজি আর ধান খেয়ে সাবাড় করছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি-ঘরেও হামলা করছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় পৃথকভাবে অনেকে সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
আর পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
নেয়াবাড়ির টিলা ও পার্শ্ববর্তী মালাকোচা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহুল আমীন, মজনু মিয়া, আলাল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা পাহাড়ের বাসিন্দা। ধান আর সবজি চাষ করি। এসব ফসলের আয় দিয়েই আমাদের সংসার চলে। প্রতিবছরই ধান পাকলেই হাতি আসে। সবজি আর ধানক্ষেত খাইয়া যায়। অনেক ক্ষতি করতাছে। এইবারও অনেক ক্ষতি করছে। এখন বউ পোলাপান নিয়া ক্যামনে চলমু, চিন্তায় আছি।
শ্রীবরদী উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. কোহিনুর হোসেন বলেন, আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, জানতে পেরেছি, এই পাহাড়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বন্য হাতির আক্রমণ চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শত শত। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। বন্যহাতির তান্ডব থেকে মানুষের জান-মাল রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ দরকার।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের বসবাস। গ্রামবাসী হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য দিন দিন বন্য হাতির তান্ডবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, আমরা বন্য হাতির হামলায় নিহত, আহত ও ঘরবাড়িসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছি। তাছাড়া বন্যহাতি তাড়াতে মশাল জ্বালানোর জন্য এলাকাবাসীর মাঝে কেরোসিন তেল ও জেনারেটর চালাতে ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে বন্য হাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জোরালো হস্তক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বনবিভাগের শেরপুরের এসিএসফ (সহকারি বন সংরক্ষক) ড. প্রাণতোষ চন্দ্র রায় বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব নিরসনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে লোকালয়ে আসা বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করে কিভাবে তাদেরকে ফের বনে ফেরত পাঠানো যায়। বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে। বনের ভেতর সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে হাতির খাবার উপযোগী বনবাগান সৃষ্টিরও চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে না আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে নিহত ৩ পরিবার পাবে একলাখ টাকা করে
৩ বছর আগে
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সুলতান মাহমুদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিন জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৬) জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে বয়স নির্ধারণী পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আদালত পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো দুই আসামি হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
এদিকে সোমবার শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন তাদের মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নারী চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নালিতাবাড়ীর ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশী ভাই তাদের সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদের কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাত ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সাত্তার ও সাদেক আলী গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, রবিবার সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই জনকে আটক করি। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর করা মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
৩ বছর আগে
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নিভৃতপল্লির বাড়িতে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১০ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, শনিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নালিতাবাড়ীর পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামে সাতজন মিলে পালাক্রমে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। রবিবারর সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, থানায় মামলা দায়ের করার পর ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশি ভাই, মা-মেয়েকে সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাতব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে ওসি জানান।
পড়ুন: পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
৩ বছর আগে
নালিতাবাড়ীর ওসিসহ শেরপুরে আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
শেরপুরে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, পুলিশ লাইন্সের এক কনস্টেবলসহ নতুন করে আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে