দুর্গোৎসব
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব
দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সমাপ্তি হচ্ছে আজ। দেবীকে চোখের জলে বিদায় জানাতে রাজধানীতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে হাজারো ভক্তের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শহরের বিভিন্ন মন্দির ও পাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে নদীতে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন নারীরা
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ের কৈলাসে স্বামীর বাড়িতে। দেবীর অবস্থানকালে এই পাঁচ দিন পৃথিবীতে ভক্তরা ‘দেবী মা’র বন্দনা করেন।
দশমী পূজা উদযাপনের প্রধান আচারের অংশ হিসেবে এদিন নারীরা ‘সিদুঁর খেলা’য় অংশ নেন। শহরের মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গার পায়ে সিঁদুর নিবেদন করেন, যা ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলার অংশ। এই আচারটি দেবী দুর্গার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তারপর হিন্দু নারীরা একে অপরের গায়ে সিঁদুর মাখিয়ে জীবনে সমৃদ্ধি কামনা করেন।
হাজারো মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেখতে জড়ো হয়। বিসর্জনকালে অনেক ভক্তের চোখে জল চলে আসে, সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। আবার অনেকেই ক্ষণটিকে সুন্দর করে কাটাতে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেন।
বিসর্জনের আয়োজন দুর্গা পূজার স্থায়ী সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তুলে ধরে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও ভক্তির প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি
এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
শিকদারবাড়ি দুর্গোৎসব: পূজামণ্ডপে ৫০১ দেব-দেবীর প্রতিমা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদারবাড়ির দুর্গাপূজা করোনা সংক্রমণের কারণে কর্তৃপক্ষ গেল ৩ বছর উৎসব বন্ধ রাখার পর এবার ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে আগের রূপে ফিরছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: মৌলভীবাজারে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
মহামারির সময় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে সমুন্নত রাখার জন্য ছোট পরিসরে পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই বছর আগের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ পূজা উদযাপন করতে চলেছে শিকদারবাড়ি।
শিকদারবাড়ী পূজামণ্ডপে মোট ৫০১টি দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
একাদশ প্রহরে পূজা মণ্ডপে প্রতিমা সাজানোর কাজ চলছে। দর্শনার্থীদের মুগ্ধতে প্রতিমাগুলোতে নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মহামায়া দেবী দুর্গার সঙ্গী হিসেবে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগের দেব-দেবীরা পূজামণ্ডপ জুড়ে বিস্তৃত।
১ বছর আগে
মহাসমারোহে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
সারাদেশের সব মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শনিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
আগামী ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
রবিবার (২ অক্টোবর) মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাষ্টমী পূজা, কুমারী পূজা ও সন্ধি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মহানবমী পূজা এবং বুধবার (৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে মহালয়া উদযাপিত হয়।
ঢাকা মহানগরীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কলাবাগান, বনানী, শাখারি বাজার ও রমনা কালী মন্দিরে প্রধান পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
এ বছর রাজধানীতে ২৪১টিসহ সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ জানায়, উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুজা মণ্ডপে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী আনসার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
তিনি বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসবই নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবও।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য। আমাদের সামগ্রিক অগ্রগতিতে এই ঐতিহ্যকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি এখন একটি সার্বজনীন উৎসব।
তিনি বলেন, ‘অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয়া দুর্গোৎসবের মূল উদ্দেশ্য। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দুসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: বাগেরহাটে ৬৪২টি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দুর্গাপূজা: মৌলভীবাজারে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
২ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: জেলায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখা যৌথভাবে এবারের দুর্গোৎসব অনাড়ম্বরভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখার পক্ষ থেকে দেয়া পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবধন বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় জানান, পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখা যৌথভাবে সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেগুলো হলো-পূজা চলাকালীন কালোব্যাজ ধারণ, সপ্তমী তিথিতে প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে প্রয়াত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা, প্রত্যেক পূজামণ্ডপ থেকে আদায়কৃত অর্থ প্রয়াত ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনাসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান।
এছাড়া সরকারের কাছে প্রয়াত ব্যক্তিদের নামে ঘটনাস্থলে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরাও একমত হয়েছি। এ সিদ্ধান্তের কথা জেলার ২৯৬টি মণ্ডপ কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
সভার শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ৬৯
করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
২ বছর আগে
দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
শরৎমানেই শারদীয় দুর্গোৎসবের বার্তা। শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। আশ্বিনে আসছেন দেবী দুর্গা।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে। ০৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মাগুরায় বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
সরেজমিনে দেখা গেছে , কেউ মাটি আনছেন, কেউবা মূল কাঠামো তৈরি করছেন, কেই আবার তুলি দিয়ে নকশা করতে ব্যস্ত। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিল্পীরা বলেন, বাপ দাদার পেশার এখন তিনিই উত্তরসূরী। দুর্গাপূজার দুই মাস আগ থেকেই নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার প্রতিমার অর্ডার অনেক বেশি। কাজের চাপও বেশি। অন্যবার করোনার কারণে কম মন্দিরে পূজা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রত্যেকটা মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে যার ফলে কাজের চাপও বেড়েছে।
পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজ ৭০ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
মাগুরা জেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাশুদেব কুন্ডু জানান, এবার জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে ১৬২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ বছর আগে
ঝালকাঠিতে শিশু সুকুমারের তৈরি প্রতিমায় দুর্গা উৎসব
ঝালকাঠি, ০৫ অক্টোবর (ইউএনবি)- সদর উপজেলার দক্ষিণ কনিহারী গ্রামের ৭ম শ্রেণির ছাত্র বিজন কুমার দাস, বয়স ১২ বছর। চারু ও কারু শিল্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে গত বছর ছোট আকারে নিজ হাতে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় এককভাবে দুর্গাপূজার সূচনা করেছিল।
৫ বছর আগে
কুড়িগ্রামে শেষ সময়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মালাকাররা
কুড়িগ্রাম ২৮ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- জেলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শেষ সময়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত থাকা মালাকারদের চোখে ঘুম নেই। দিনরাত ধরে প্রতিমার কাজ চলছে। এখন শেষ পর্যায়ে চলছে রংয়ের কাজ।
৫ বছর আগে
সারাদেশে মহালয়া উদযাপন
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে শনিবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা।
৫ বছর আগে