এয়ারলাইন্স
বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম শুরু
আদ্দিস আবাবা-ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে উদ্বোধনী ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো আফ্রিকার শীর্ষ উড়োজাহাজ সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স।
রবিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯০০ ড্রিমলাইনার, ফ্লাইট ইটি ৬৭৮ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের রানওয়ে স্পর্শ করে। এসময় একটি জলকামান স্যালুট ফ্লাইটটিকে স্বাগত জানায়।
ঢাকা থেকে ফিরতি ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে আদ্দিস আবাবার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এই রুটে নিয়মিত উড়োজাহাজগুলো রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রতি সোমবার ও শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়া।
ইথিওপিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইথিওপিয়ান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক গেটাচিউ মেনগিস্টি আলেমায়েহু ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন গ্রুপের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লেম্মা ইয়াদেচার।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বর ঢাকার রানওয়ে স্পর্শ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স
কার্যক্রম শুরুর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়া বলেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় ক্যারিয়ার হিসেবে স্বীকৃত এবং বাংলাদেশে এর প্রবেশ দেশের এভিয়েশন শিল্পের জন্য একটি নতুন আশার আলো। বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরে তিনি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে নতুন পথের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, এই অংশীদারিত্ব নতুন সুযোগের পথ প্রশস্ত করবে এবং বাংলাদেশ ও আফ্রিকার গতিশীল অর্থনীতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে।
ইথিওপিয়ান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির ডিরেক্টর জেনারেল আলেমায়েহু ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের মূলমন্ত্র-মহাদেশ, সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়গুলোকে সংযুক্ত করার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুই দেশের মধ্যে আর্থ-সামাজিক সম্পর্কের ওপর রুটের প্রভাবের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে কেবল সরাসরি সংযোগই নয়, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে মূল গন্তব্যগুলোর প্রবেশদ্বারও উন্মোচন করে।
ইয়াদেচা বলেন, 'বাংলাদেশ একটি গতিশীল ও ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের আধুনিক বহর ও ব্যতিক্রমী পরিষেবা দুই অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণকারীদের চাহিদা পূরণ করবে।’
বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, এটি কেবল একটি ফ্লাইট চালু নয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বিশ্বকে আরও কাছাকাছি আনার একটি সুযোগ তৈরি হলো।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া এবং একটি বিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য পছন্দের হতে চলেছে।
সোহাগ হোসেন জানান, নতুন এই রুটটি বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সুবিধাজনক সংযোগ দেবে। আদ্দিস আবাবার মাধ্যমে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার প্রধান শহরগুলোতে সাশ্রয়ী ভাড়ায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের সদস্য (অপারেশনস ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন নেটওয়ার্ক ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। এই রুটে অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে সেবা পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর সংঘাতে ইউরোপীয় এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট স্থগিত
২ সপ্তাহ আগে
আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) নিরাপত্তা মান অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অডিট অর্গানাইজেশন আরগস প্রস, যা এয়ারলাইন্সের গ্লোবাল স্টান্ডার্ড নির্ধারণে অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
আইএটিএ নির্ধারিত সারাবিশ্বের পাঁচটি অডিট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরগস প্রস একটি অন্যতম অডিট প্রতিষ্ঠান। আরগস প্রস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আইওএসএ সার্টিফিকেট পেতে অডিটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আইওএসএ সনদ পেতে এয়ারলাইনটিকে মোট আটটি ডিসিপ্লিনের সকল সূচকের অগ্রগতি বিবেচনায় আনতে হয়েছে।
সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্লাইট অপারেশন, কেবিন সেফটি, ডিসপাচ, মেইনটেন্যান্স, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো অপারেশন, সিকিউরিটি ও অর্গানাইজেশন।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
সর্বোপরি এসএমএস (সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ও কিউএমএস (কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) কে বিবেচনায় রাখতে হয়েছে।
সকল সূচকের বিবেচনায় ইউএস-বাংলাকে আইওএসএ সনদ প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছে আইএটিএ।
আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) হল এয়ারলাইন অপারেশনাল সেফটি অডিট করার জন্য একটি গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড। আইওএসএ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে শিল্পের মানদণ্ড হয়ে উঠেছে যা উন্নত অপারেশনাল নিরাপত্তা এবং খরচ-কার্যকর ব্যবস্থায় অবদান রেখেছে।
নিরাপত্তা,কার্যকারিতা ও সততাকে কেন্দ্র করে, আইওএসএ সার্টিফিকেশন পাওয়ার অর্থ হল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিরাপত্তা সূচকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইনগুলির মধ্যে অবস্থান করছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অপারেশনাল কার্যক্রম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের ব্যাপক পর্যালোচনা এবং যাচাই-বাছাই করে যা সারাবিশ্ব থেকে পাঁচজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এভিয়েশন পেশাদারদের দ্বারা নিরীক্ষিত হয়েছিল। আইওএসএ প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনাল সেফটি সংস্কৃতির বিকাশের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সংস্থাটি এই অপারেশনাল নিরাপত্তা নীতিগুলি গ্রহণ করেছে যা আইওএসএ নিবন্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত মূল্যায়ন করা হবে।
আইওএসএ হল একটি স্ট্রাকচার্ড অডিট, যার মানদণ্ড বাণিজ্যিক বেসামরিক বিমান চলাচলে সবচেয়ে আপডেট হওয়া নিয়ন্ত্রক এবং আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলিকে প্রতিফলিত করে। স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অডিট সংস্থাগুলিকে আইওএসএ নিবন্ধনের জন্য এয়ারলাইনগুলি বিবেচনা করার আগে অডিট সম্পাদনের জন্য নিযুক্ত করা হয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আইওএসএ রেজিস্ট্রেশন হল অভ্যন্তরীণ,আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিমান চালনায় আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলো পূরণ এবং অতিক্রম করার জন্য সংস্থার কৌশলগত লক্ষ্যের প্রমাণ।
আইওএসএ সনদ প্রাপ্তিতে গতকাল ৩০ জুলাই ২০২৩ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান কার্যালয়ে এক আনন্দঘণ পরিবেশে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বেমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আইওএসএ সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভবিষ্যত অগ্রযাত্রায় সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-মাস্কাট রুটে ফ্লাইট চালাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
১ বছর আগে
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ইউএস-বাংলার ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট শুরু
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দ্বাদশ আন্তর্জাতিক গন্তব্য ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ঢাকা-দিল্লি রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য দিল্লিতে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি পর্যটক, উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহী যাত্রীরা দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে ইউএস-বাংলা। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও বেশী সুদৃঢ় করবে। রাজধানী দিল্লি হবে ইউএস-বাংলার সরাসরি ভারতে পরিচালিত তৃতীয় গন্তব্য।
বর্তমানে ভারতের কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট আছে। আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যে ইউএস-বাংলার বহরে প্রথমবারের মতো দু’টি এয়ারবাস ৩৩০ যোগ করতে যাচ্ছে। যা দিয়ে চলতি বছর ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চেন্নাই, কলকাতা ছাড়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই, শারজাহ, মাস্কাট, দোহা, প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মালে, পর্যটক বান্ধব অন্যতম গন্তব্য ব্যাংকক ও চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সম্প্রতি স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সাউথ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে।
আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সকল গন্তব্য বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ২ দিন ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট বন্ধ
১ বছর আগে
এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
এভিয়েশন খাতের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। এ সমস্যাগুলোর সমাধানে এ খাতের উদ্যেক্তাদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিক নীতি সহায়তা ও দিক নির্দেশনা খুবই জরুরি।
বৃহস্পতিবার ডেইলি স্টার ভবনে এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) আয়োজিত ‘এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস এন্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজপোর্টালে এভিয়েশন খাত নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকদের নিয়ে এই ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়।
এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও দি বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা, হেলিকপ্টার সংস্থা ও ফ্লাইং স্কুলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের সক্ষমতা বাড়াবে নবগঠিত এভিয়েশন উইং: আইজিপি
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের এভিয়েশন খাত কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। প্রায় দুই বছর করোনার অভিঘাতের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি এখনও এয়ারলাইন্সগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে জেট ফুয়েলের দাম প্রতি মাসেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এয়ারলাইন্স ও হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয়ও অধিকহারে বেড়ে গেছে। এছাড়া অসম প্রতিযোগিতা, কাস্টমস জটিলতা, সিভিল এভিয়েশন নির্ধারিত উচ্চহারে বিভিন্ন ফি ও সারচার্জের ফলে এ খাতের উদ্যোক্তাদের মহাসংকটে ফেলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা সেবার মান উন্নত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এ খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যেমন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থাগুলোরও আন্তরিক হতে হবে। নীতি সহায়তার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে দ্রুত সমাধান করতে হবে। তাহলেই দেশের এভিয়েশন খাত বিশ্বের এভিয়েশন খাতে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
সিভিল এভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
২ বছর আগে
ইউএস-বাংলার ঢাকা-ব্যাংকক ও চট্টগ্রাম-কলকাতা ফ্লাইট শুরু
পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা থেকে ব্যাংকক ও চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বিএস-২১৭ ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে।
এছাড়া চট্টগ্রাম এর হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিএস-২০৭ ফ্লাইটটি সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে কলকাতার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে।ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সোম ও বুধবার ছাড়া সপ্তাহে পাঁচদিন সকাল ১০টা ১০মিনিটে ঢাকা থেকে ব্যাংকক এবং সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ১১টা ১৫মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এছাড়া সোম ও বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন:ইউএস-বাংলার ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি
অন্যদিকে, কলকাতা থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সকল অভ্যন্তরীণ রুটসহ আন্তর্জাতিক রুট সিঙ্গাপুর, চেন্নাই, মালে, গুয়াংজু, কুয়ালালামপুর, দোহা, শারজাহ, দুবাই, মাস্কাট ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর বিমানবহরে ৬টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ১৬টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর টিকেট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন:ইউএস-বাংলার ব্যাংকক রুটের ‘টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি’
ইউএস-বাংলার টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি
২ বছর আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে ৬ কোটি টাকা মূল্যের সৌদি রিয়াল জব্দ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছয় কোটি টাকা মূল্যের ২২ দশমিক ৯৯ লাখ সৌদি রিয়াল জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মামুন খান নামে এক যাত্রীর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। স্ক্যানিংয়ের সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার লাগেজ থেকে রিয়ালগুলো জব্দ করেন।
তবে মালপত্র রেখে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
সৌদি রিয়ালগুলো কাস্টম হাউসে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
কক্সবাজারে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে লাগবে না করোনা টেস্ট
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বিমানে উঠার একদিনের মধ্যে বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ শনাক্ত হওয়ার নিয়ম বাতিল হতে যাচ্ছে। রবিবার সকাল থেকেই এই বাধ্যবাধকতা উঠে যাচ্ছে বলে বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র শুক্রবার ঘোষণা করেছে, করোনা টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রবিবার সকালেই শেষ হবে।
স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এটি মহামারির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে এবং পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার পুনরায় মূল্যায়ন করবে।
ইউএস হেলথ সেক্রেটারি জেভিয়ার বেসেরা বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে আমরা যে অগ্রগতি করেছি। তার কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়েছে।’
এয়ারলাইন্স এবং পর্যটন সংস্থাগুলি করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করার জন্য কয়েক মাস ধরে প্রশাসনকে চাপ দিয়ে আসছিল। তারা বলেছে, এটি লোকেদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বুকিং থেকে নিরুৎসাহিত করে। কারণ ভ্রমণের সময় করোনায় আক্রান্ত হলে তারা বিদেশে আটকে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় থাকে।
ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রজার ডাও করোনা পরীক্ষার নিয়ম তুলে নেয়াকে ‘অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণের পুনরুদ্ধার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের প্রত্যাবর্তনের জন্য আরেকটি বিশাল পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এয়ারলাইন্স যুক্তি দিয়েছিল যে নিয়মটি কার্যকর করা হয়েছিল যখন কিছু আমেরিকানকে টিকা দেয়া হয়েছিল। এখন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) পরিসংখ্যান অনুসারে, ৫ এবং তার বেশি বয়সীদের ৭১ শতাংশকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেয়া হয়েছে। স্থল সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের করোনার নেগিটিভ শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই, যদিও তাদের অবশ্যই টিকা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে।
যেখানে অভ্যন্তরীণ মার্কিন ভ্রমণ প্রায় প্রাক-মহামারি স্তরে ফিরে এসেছে, সেখানে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ , যা এয়ারলাইন্সগুলির জন্য খুব লাভজনক - পিছিয়ে রয়েছে।
ট্রেড গ্রুপ এয়ারলাইন্স ফর আমেরিকা অনুসারে, গেলো মে মাসে মার্কিন আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণ ২০১৯ স্তরের ২৪ শতাংশ নীচে ছিল। মার্কিন ও বিদেশি উভয় নাগরিকের মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যান্য অনেক দেশ পর্যটন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের প্রায় সব নাগরিককে টিকার আওতায় এনেছে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য তাদের পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে নিয়েছে।
কিছু সংক্রামক-রোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তারা সিডিসির সিদ্ধান্তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন এবং এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের আর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা নেই।
ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির ডক্টর উইলিয়াম শ্যাফনার বলেছেন, নিয়মটি তৈরি করা হয়েছিল ভাইরাস আমদানি রোধ করার জন্য। ‘তবে আমাদের এখানে প্রচুর পরিমাণে কোভিড রয়েছে। এটা কাউকে তাদের সুইমিং পুলে এক বালতি জল না ঢালতে বলার মতো।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে বন্দুক হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৫
২ বছর আগে
বিমানকে পরিষেবার উন্নতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আরও লাভজনক করতে বিশ্বমানের যাত্রী ও কার্গো সেবা প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দক্ষ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সিস্টেমের জন্য আমরা একটি পৃথক ইউনিট তৈরি করতে চাই। এই জন্য প্রশিক্ষণ ও জনবল প্রয়োজন।
তিনি বলেন,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৃথক ইউনিট তৈরি করা প্রয়োজন যাতে সরকার উন্নত যাত্রী পরিষেবা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত জনবল সরবরাহ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,তিনি চান বিমান আন্তর্জাতিকভাবে নিজস্ব প্লেন দিয়ে কার্গো সার্ভিস পরিচালনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,কমপক্ষে দুটি কার্গো প্লেন ক্রয় জরুরিভাবে প্রয়োজন,আমি মনে করি সঠিকভাবে উদ্যোগ নিলে এটি করা সম্ভব হবে এবং বিমানের কার্গো সার্ভিস অব্যাহত থাকলে আরও লাভজনক হবে।
আরও পড়ুন: ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কার্গো সার্ভিস যোগাযোগ স্থাপন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,কার্গো হ্যান্ডলিং ও ফ্লাইট হ্যান্ডলিং আন্তর্জাতিক মানের হবে।
এ সময় তিনি শুল্ক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের উপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,প্রবাসীরা যাতে বিমানবন্দরে কোনো ঝামেলার সম্মুখীন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
চীনের গুয়াংজুতে বিমানের কার্যালয় উদ্বোধন
চীনের গুয়াংজুতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ হিসেবে সোমবার (১৭ জানুয়ারি)নিজস্ব এই কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিমানের নতুন কার্যালয়ের ঠিকানা- রুম ৫০৪ বি, অ্যাট্রিয়াম এরিয়া, গুয়াংডং ইন্টারন্যাশনাল বিল্ডিং, ৩৩৯ পূর্ব হুয়াংশি রোড, গুয়াংজু, ৫১০০৯৮, চীন।
গুয়াংজু শহরে নতুন এ কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বিমানের কর্পোরেট পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমডোর ড. মো. মাহবুব জাহান খান (অব.), মহাব্যবস্থাপক বিপণন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, চীনে বিমানের ব্যবসায়িক সহযোগী সুপার পাওয়ার লজিস্টিকস এর প্রতিনিধি ফিলিপ উ, স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, চীনে কর্মরত বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহনেওয়াজ মজুমদার ও স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ শামীম হাসান। এছাড়াও গণ্যমান্য অতিথিরা এবং বিমানের কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন বিমান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বিমানের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক গন্তব্য হবে। দেশটির সঙ্গে বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।’বিমানের পরিচালক এয়ার কমডোর ড. মো. মাহবুব জাহান খান (অব.) চীনে কার্গো ও চার্টার্ড ফ্লাইট পরিবহনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, শুধু গুয়াংজু নয় ভবিষ্যতে দেশটির অন্যান্য গন্তব্যেও ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।বিমানের মহাব্যবস্থাপক বিপণন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, খুব শিগগিরই এ রুটে বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু হবে এবং সম্মানিত যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে। টিকেটের মূল্যও হ্রাস পাবে।চীনে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এর ফলে চীনে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা উপকৃত হবেন। তারা সহজেই দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও সুপার পাওয়ার লজিস্টিকস এর প্রতিনিধি ফিলিপ উ তাদের দিক থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিমান থেকে আট কোটি ৪৪ লাখ টাকা মূল্যের ১০৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। সোমবার কাস্টমস কর্মকর্তারা এই স্বর্ণের বার জব্দ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাস্টমস কর্মকর্তাদের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের কার্গো হোল্ডে তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৮০টি স্বর্ণের বারসহ নিরাপত্তারক্ষী আটক
পরে কর্মকর্তারা বিমানের কার্গো হোল্ডে লুকানো তিনটি প্যাকেটে ১২ কেজি ওজনের ১০৪ টি স্বর্ণের বার খুঁজে পান।
শুল্ক ফি এড়াতে স্বর্ণের বারগুলো 'চোরাচালান'এর উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। তবে শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ২৫ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
৩ বছর আগে