চীনের গুয়াংজুতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ হিসেবে সোমবার (১৭ জানুয়ারি)নিজস্ব এই কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিমানের নতুন কার্যালয়ের ঠিকানা- রুম ৫০৪ বি, অ্যাট্রিয়াম এরিয়া, গুয়াংডং ইন্টারন্যাশনাল বিল্ডিং, ৩৩৯ পূর্ব হুয়াংশি রোড, গুয়াংজু, ৫১০০৯৮, চীন।
গুয়াংজু শহরে নতুন এ কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বিমানের কর্পোরেট পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমডোর ড. মো. মাহবুব জাহান খান (অব.), মহাব্যবস্থাপক বিপণন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, চীনে বিমানের ব্যবসায়িক সহযোগী সুপার পাওয়ার লজিস্টিকস এর প্রতিনিধি ফিলিপ উ, স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, চীনে কর্মরত বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহনেওয়াজ মজুমদার ও স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ শামীম হাসান। এছাড়াও গণ্যমান্য অতিথিরা এবং বিমানের কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন বিমান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বিমানের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক গন্তব্য হবে। দেশটির সঙ্গে বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।’
বিমানের পরিচালক এয়ার কমডোর ড. মো. মাহবুব জাহান খান (অব.) চীনে কার্গো ও চার্টার্ড ফ্লাইট পরিবহনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, শুধু গুয়াংজু নয় ভবিষ্যতে দেশটির অন্যান্য গন্তব্যেও ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক বিপণন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, খুব শিগগিরই এ রুটে বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু হবে এবং সম্মানিত যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে। টিকেটের মূল্যও হ্রাস পাবে।
চীনে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এর ফলে চীনে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা উপকৃত হবেন। তারা সহজেই দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও সুপার পাওয়ার লজিস্টিকস এর প্রতিনিধি ফিলিপ উ তাদের দিক থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু