জিডি
নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করলেন সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শনিবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন সুমন। বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
জিডিতে সুমন গত ২৭ জুন দিবাগত রাত ২টার দিকে চুনারিঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল পাওয়ার কথা জানান।
সুমন লিখেছেন, ওসি তাকে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজনের একটি শক্তিশালী দল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। সুমনকে রাতে বাইরে বের না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
জিডিতে সুমন আরও উল্লেখ করেন, ওই গ্রুপের সদস্যদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি তাদের নাম প্রকাশ করেননি। এ কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রতিবাদ করব, সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব: ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
৪ মাস আগে
জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ওই শিক্ষক।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ (৪৬ তম আবর্তন) এক শিক্ষার্থী নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ তুললে ওই শিক্ষার্থীর নামে মিরপুর মডেল থানায় গত ২৪ মার্চ সাধারণ ডায়েরি করেন শিক্ষক সাজু সাহা।
গত ২৩ মার্চ তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে যৌন হয়রানি অভিযোগ করে বলেন, 'সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা তাকে কাউন্সিলিং করানোর নামে যৌন হয়রানি করেছে। এছাড়া তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য রেস্টুরেন্টে পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছিল। এসবের কারণে আমি ঠিকমতো ক্লাস পর্যন্ত করতে পারিনি।'
ওই শিক্ষকের ব্যাপারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনার এত কনফিডেন্স যে আমি কিছু প্রমাণ করতে পারব না.. কারণ উনি প্রমাণ রাখার মত কিছু রাখেন নাই.. তবে যা আছে, তা ওনার দোষ প্রমাণ করতে যথেষ্ট.. এত হ্যারাসমেন্ট -এর পরেও আমার বিশ্বাস ছিল উনি গিল্টি ফিল করবেন। কিন্তু ওনার মধ্যে কোনো অনুতপ্ত হওয়ার চিহ্ন নেই। শুধু ডিপার্টমেন্ট শেষ করার জন্য আমি ওনার সঙ্গে ভালো আচরণ করে গেছি।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
একদিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি পোস্টে আরও বলেন, ‘উনি যে রিকশায় আমার গায়ে জোর করে হাত দিয়েছেন, তার কি প্রমাণ আমি দেব?? রিকশাওয়ালাকে খুঁজে নিয়ে আসব?? এটা কি আদৌ সম্ভব! আমি এরপরও ভয়ে ওনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি।’
ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে সাজু সাহা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমরা সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাকে পরোক্ষভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে তাকে অভিযুক্ত করার। আমাকে হ্যারেজ করার পর তিনি(সাজু সাহা) বার বার বলতে থাকেন আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে তুমি এ নিয়ে কাউকে কিছু বলোনা।'
ভুক্তভোগী আরও বলেন,'আমাদের কথোপকথনের রেকর্ড আমার কাছে আছে। তিনি অনেক মেসেজই ডিলিট করলে আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার মেসেজ আছে।'
জিডি বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের ওই শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করেন পরে জিডির কপি দেখালে তিনি বলেন,'আমি লিগ্যালি হ্যান্ডেল করব।'
যৌন হয়রানি বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেও অবাক। আসলে হঠাৎ করে এ ধরণের অভিযোগ, আমি নিজেও বুঝতেছি না। আমার কাছে এটার কোন ভিত্তিই নাই। আমি কি করেছি সেটাও আমি বুঝতেছি না। তার পোস্ট পড়ে আমি যতটুকু বুঝলাম, আমার কাছে বিষয়টা স্ট্রেঞ্জই লাগছে। এটা ও ই ভালো বলতে পারবে। আমি দেখেছি বিষয়টা— এটা নিয়ে কি করা যায়। আমি আইনগতভাবে যাব।
সিগন্যাল অ্যাপ
অ্যাপ এর ব্যপারে ওই শিক্ষক বলেন,আমি ভুক্তভোগীকে এই ধরনের কোন মেসেজ আদান প্রদানের অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলিনি। কেউ না চাইলে কি কাউকে জোর করে কোন কিছু করানো যাবে।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে হোয়াটাঅ্যাপে সিগন্যাল নামে একটি গোপন বার্তা পাঠানোর অ্যাপের লিংক পাঠান এবং ডাউনলোড করতে বলেন।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল হক বলেন, আমি বিষয়টি দেখেছি। এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি আসে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ঘটনার পরে,বিভাগের নিয়মিত একাডেমি কাউন্সিল সভায় সাজু সাহার বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং আলোচনা শেষে ওই বিভাগের সকল শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
এছাড়াও সাজু সাহা ওই শিক্ষার্থীর নামে উপাচার্য বরারব যৌন হয়রানি অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
৭ মাস আগে
হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলম নামে পরিচিত আশরাফুল আলম সোমবার রাতে ফোন কলে হত্যার হুমকি পেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরো আলম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় জিডি করেন বলে জানান উক্ত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির।
জিডি সূত্রে জানা যায়, হিরো আলমকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে তিনটি ফোন কল আসে। সোমবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে তিনি প্রথম কল পান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
জিডিতে আরও উল্লেখ আছে, ফোনকারী তাকে (হিরো আলমকে) শিক্ষা দেবে এবং সাত দিনের মধ্যে তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়।
গত ১৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।
এ ঘটনায় হিরো আলমের একান্ত সহকারী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হিরো আলমের ওপর উক্ত ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
থানায় জিডির ৫ দিন পর ভুট্টাখেতে মিলল কিশোরের লাশ
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ভূট্টাখেত থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল যাওয়ার পথে অটোরিকশা সহ নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম৷ সাইফুলের সন্ধান না পেয়ে তার দাদা মুনসেফ আলী হরিপুর থানায় একটি জিডি করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
থানায় জিডি করার পাচঁদিন পর পাশের উপজেলা রানীশংকৈল রামরায় দিঘির পাশে একটি ভুট্টাখেতে তার অর্ধগলিত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ এসে ভুট্টাখেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিক্সা চালক কিশোর সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাইফুল হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের দামোল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, পাঁচ দিন আগে জিডি করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। আমরা জীবিত সাইফুলকে পাইনি, পেলাম তার অর্ধগলিত লাশ।
তবে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয়। নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে সাইফুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। লাশ বিকৃত হওয়ায় প্রথমে স্থানীয়রা শনাক্ত করতে পারেনি। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। লাশের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল রহস্য জানা যাবে বলে জানান হরিপুর থানার ওসি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী নিহত
বাঁশখালীতে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ বছর আগে
নওগাঁয় হিজাব বিতর্ক: অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে থানায় জিডি
নওগাঁর মহাদেবপুরের দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের মারধরের গুজবের জেরে স্কুলের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, গুজবের জেরে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনার তিনদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় জিডি করেন।
জিডিতে ওই শিক্ষক লেখেন, ‘৭ এপ্রিল স্কুলে একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে স্কুলে হামলা করা হয়। স্কুলের আশ-পাশের গ্রামের অনেক লোক হামলা চালিয়ে স্কুলের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেছে।’
আরও পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং দাউল বারবাকপুর এলাকায় কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ঘটনার পর থেকে নজরদারি চলছে বলে জানান ওসি আজম উদ্দিন।
এর আগে ৬ এপ্রিল স্কুলের ইউনিফর্ম না পরার জন্য স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল সকাল ১১টার দিকে স্কুলের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ১৬ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে।
পরে তা ‘হিজাব’ বিতর্ক নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
২ বছর আগে
বেনাপোলে শুল্ক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
চোরাচালানের পণ্য জব্দ করায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুমকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে চোরাচালান কারবারীরা। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই কর্মকর্তা।
রবিবার রাতে উপ-কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুম বেনাপোল বন্দর থানায় এই জিডি করেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন,‘সত্যিকারের যাত্রীদের কোনো হয়রানি করা হয় না। অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই মাল আনলে তাদের আটক করা হচ্ছে। এখন কঠোর নজরদারি চলছে। চোরাচালানিরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে মাল আনতে পারছে না।’
বেনাপোল চোরাকারবারীদের জন্য একটি নিরাপদ পথ হয়ে উঠেছে। কারণ চোরাচালানকারীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে লাগেজে করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে আসে, এদের ‘লাগেজ পার্টি’ বলা হয়।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
জানা যায়, দায়িত্ব নেয়ার পর কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেন এবং রাজস্ব কর বাবদ ২০ লাখ টাকা আদায় করেন। এতে চোরাকারবারিরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।
ভুক্তভোগী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ভারতীয় চোরাকারবারিরা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। তারা সঙ্গে আনে লাখ লাখ টাকার মালামাল। এগুলো চেকপোস্টেই বিক্রি করে ভারতে ফিরে যায় তারা।
আরও পড়ুন: হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করলেন মুনিয়ার বোন
চট্টগ্রাম কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামি নিখোঁজ: থানায় জিডি
২ বছর আগে
মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা: তদন্তের নির্দেশ আদালতের
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার ওই জিডি’র তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজিব হাসান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান ডা. মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ হাসান বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন বিকালে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাহানারা এহসান।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদ ও তার স্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিল পুলিশ
নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
২ বছর আগে
নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান।
সন্ধ্যায় তিনি জিডি করেন বলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানিয়েছেন।
তিনি জানান, স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ডা. জাহানারা।
ওসি জানান, বিকাল ৩টার দিকে ধানমন্ডি পুলিশের একটি দল মুরাদের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে।
তিনি বলেন, জাহানারা অভিযোগ করেছেন তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। এমনকি তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি পুলিশকে জানান।
ওসি বলেন, পুলিশ তাকে থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পরামর্শ দিলে তিনি পরে জিডি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অভিযোগটি তদন্ত করছি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
নারীদের প্রতি অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে তার আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ৪৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তারেক রহমানের মেয়েকে ‘বেশ্যা’ মন্তব্য করে বলেন, জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গ ছাড়া ঘুমাতে পারেন না।
আরও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহে যেভাবে বদলে গেলো মুরাদের জীবন!
জাইমার বিরুদ্ধে তার অশালীন মন্তব্য নিয়ে হৈচৈয়ের মধ্যে অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন এবং অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে, মুরাদ অভিনেত্রীকে ‘ আপত্তিজনক মন্তব্য’ করেন এবং তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
এছাড়া মুরাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ছাত্রনেত্রীদের বিরুদ্ধেও অশালীন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর দেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে মুরাদ মরিয়া হয়ে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেন।
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও মুরাদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান তালুকদারের ছেলে মুরাদ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে তিনি আবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
আরও পড়ুন: কানাডা ও আমিরাতে ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরলেন মুরাদ
কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
২ বছর আগে
হাতির বিরুদ্ধে থানায় জিডি!
চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে হাতির দল ফসলি জমি নষ্ট ও মানুষ হত্যার করে চলছে। এবার সেই হাতির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে স্থানীয় এক কৃষক।
গুদাম ধান খেয়ে ফেলায় বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা গ্রামের কুষক নিপুল কুমার সেন শনিবার থানা এই জিডি করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ২-৩টি বন্য হাতি বসত বাড়ির আঙিনায় থাকা ধানের গোলা ভেঙে প্রায় ১৫০ আড়ি (দেড় টন) ধান খেয়ে ফেলে। এসব ধানের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, প্রায়ই পাহাড় থেকে বন্য হাতি নেমে লোকালয়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করছে।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, হাতি গোলার ধান খেয়ে ফেলায় এক ব্যক্তি সাধারণ ডায়েরি করেছেন থানায়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
২ বছর আগে
পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মিলটন হোসাইন (৪০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান তিনি।
মিলটন হোসাইনের বাড়ি পাবনা পৌর চকছাতিয়ানিতে। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হোসাইন। তিনি পাবনা পৌর এলাকার জনতা ব্যাংকের আইটি বিভাগের সিনিয়র এক্সিউটিভ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন মিলটন। কিন্তু ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে এই ট্রেনটির যাত্রাবিরতি করে। তবে স্টেশনটি অতিক্রমকালে ট্রেনের গতি কম থাকে। এ সময় স্টেশন অতিক্রম করতে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফ দেন। কিন্তু ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারীর মৃত্যু
ঈশ্বরদী রেলওয়ের জিআরপি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পকেটে একটি জিডির কপির পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। তার পকেটে লালমনি এক্সেপ্রেস ট্রেনের একটি টিকিট পাওয়া গেছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকার বলেন, ঘটনার পরই জিআরপি পুলিশের ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই শিশুসহ নিহত ৩
২ বছর আগে