স্ত্রীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩৪) চট্টগ্রামের চন্দনগাঁও এলাকার একেএম ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
সেই সঙ্গে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস খুলনার খালিশপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রূপগঞ্জ থানার দায়ের করা হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহ উদ্দিন সুইট বলেন, ‘আসামি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল এবং ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি
রূপগঞ্জ উপজেলার মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় জান্নাতুলের মা শারমিন আক্তার ডলি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
১ মাস আগে
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
লালমনিরহাটে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মানজুমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মন্টু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আটক ১৩
সোমবার (২৭ মে) ভোরে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের পাঠানটারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মন্টু মিয়া পাঠানটারী এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মন্টু মিয়া তার স্ত্রী মানজুমা খাতুনের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এরই জেরে মন্টু মিয়া তার স্ত্রী মানজুমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী মন্টু মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
দিনাজপুরে র্যাবের অভিযানে ‘এ্যাম্পল’ জব্দ, আটক ২
৫ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী।বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রাবেয়া বেগম (৩০) এবং স্বামীর নাম নাজমুল হুদা (৩৬)।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম জানান, রাবেয়ার সঙ্গে ঝগড়া করার সময় নাজমুল তাকে ধারালো বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা রাবেয়াকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নাজমুল হুদা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিসহ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে এবং অভিযুক্ত নাজমুল হুদা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ওসমান গনীকে (৬২)মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন বলে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আনিসুর রহমান জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের ওসমান গনী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই একাব্বর হোসেন বাদি হয়ে ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৫) জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর দিঘীর পাড় এলাকার মৃত আরু মিয়ার মেয়ে ও কাউসার মোল্লার (৫০) স্ত্রী। কাউসার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের মৃত মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, কাউসার মোল্লা ও জান্নাতুল শহরের কলেজ পাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। তবে কাউসার দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা ও পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই জান্নাতুলের সঙ্গে কলহ চলত। এরই জের ধরে সকালে কাউসার মোল্লা ধাঁড়ালো ছুরি দিয়ে জান্নাতুলকে হত্যা করে। বিষয়টির টের পেয়ে তাদের সন্তানরা কক্ষে যাওয়া মাত্রই তিনি তাদের ঘরে আটকিয়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাবার বিরুদ্ধে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
দুই সন্তানের সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তানের সামনে স্ত্রী আঁখি আক্তারকে (৩২) হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করেছে সাইদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সাইদুল।
পরে স্বজনরা আঁখি আক্তারকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত আঁখি আক্তার উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে এবং স্বামী সাইদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী চেঙ্গকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
এছাড়া দাম্পত্য জীবনে তাদের অর্ণব (১২) ও সিয়াম (১০) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে সাঈদুল দুই ছেলের সামনেই তার স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তাদের ঘর থেকে ছেলেদের চিৎকার শুনে গিয়ে তারা সেখানে যেয়ে দেখেন আঁখির হাত-পা বাঁধা। মাথার বিভিন্ন অংশ থেতলানো। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে অর্ণব (১২) জানায়, বিভিন্ন সময়ে বাবা-মা ঝগড়া করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবা তার মাকে হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে পিটায়। তখন আমরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাবা পালিয়ে যান। পরে মাকে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান। আমরা মায়ের হত্যার বিচার চাই।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, গৃহবধূ হত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
১ বছর আগে
ধামরাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
ধামরাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার ভোর ৪ টার দিকে যশোরের অভয়নগর থানার ভাঙ্গাগেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিরাজ শেখ (২২) খুলনার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামের মো. হান্নান শেখের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালিপাড়া এলাকার শামসুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে থ্রী স্টার নামের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন।
নিহত স্ত্রী জুলেখা ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাস্তা আদর্শ গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরায় এতিমখানায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর জুলেখার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকেই নিহতের স্বামী মিরাজ পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, প্রায় তিন থেকে ৪ মাস আগে জুলেখার সঙ্গে মিরাজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আসামি জুলেখাকে সন্দেহ করে গালিগালাজ ও মারধর করতেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে বেশ কয়েকবার নালিশ করেন। মায়ের কাছে নালিশ করায় মিরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ অক্টোবর জুলেখাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জুলেখার বড় ভাই মো. আল-আমিন মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। পরে আজ ভোরে র্যাব-৪ ও ৬ এর যৌথ অভিযানে মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান জানান, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি তার স্ত্রী জুলেখা’কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
তাকে ধামরাই থানায় হন্তান্তরের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩৬ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ২
২ বছর আগে
থানায় গিয়ে তিনি বললেন, স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন!
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি।
থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলেন, বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয়নি পুলিশ। এরপর তিনি বললেন, আমাকে সঙ্গে নিয়ে চলেন, লাশ দেখাব। এরপরই টহল পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে ওই ব্যক্তির বাসায় গিয়ে লাশ পাওয়া যায়।
বুধবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রত্না খাতুনকে (৩৫) জেলার মিরপুর উপজেলার চারমাইল এলাকার নাজিম উদ্দীনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ
অভিযুক্ত স্বামী রনি হোসেন (৪২) কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল এলাকার বাসিন্দা, তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক ব্যক্তি থানায় প্রবেশ করেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে (সেন্ট্রি) জানান, তিনি বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন। প্রথমে পুলিশ সদস্য বিষয়টি বিশ্বাস করেনি। ওই ব্যক্তি নিজের নাম রনি হোসেন ও বটতৈল এলাকায় বাড়ি পরিচয় দিয়ে আবারও স্ত্রীকে হত্যা করার কথা জানান।
তিনি বলেন, লুঙ্গি পরিহিত গায়ে কোনো জামা কাপড় নেই ওই ব্যক্তি এক পর্যায়ে তার কাছে এসেও স্ত্রীকে হত্যা করার কথা বলেন। রনি এ সময় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন। এক পর্যায়ে টহল পুলিশের গাড়িতে করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে যায়। সেখানে শৌচাগারের ভেতরে রত্না খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। হাত দিয়ে গলাটিপে হত্যার পর লাশ শৌচাগারে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন রনি।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২ সন্তান ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা
পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার বলেন, হত্যার প্রাথমিক কারণ হিসেবে রনি বিশ্বাস দাবি করেছেন যে পারিবারিক কলহের কারণে তিনি তার স্ত্রী রত্নাকে একাই গলাটিপে হত্যা করেছেন। তারা শহরতলীর বটতৈল এলাকায় থাকেন। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রনির মায়ের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। সেখানে কৌশলে তাঁকে গলাটিপে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনি বিশ্বাসের মা লিলি বেগমকেও (৫৫) থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রনি ও তার মাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
২ বছর আগে
স্ত্রীকে হত্যাকারী সেই স্বামী অভিধরও মারা গেলেন
জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্বামীর হাতে জ্যোতিকা সুত্রধর (২১) নামের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে করে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী স্বামী অভিধর (২৮) মারা গেছেন।
চমেক হাসপাতালে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, গত ২৭ অক্টোবর স্ত্রীকে হত্যার পর নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভি। ঘটনার পর তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল রাতে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা এলাকার রাম সূত্র ধরের কন্যা জ্যোতিকা সূত্রধরের (২০) সাথে বাশঁখালী এলাকার অভি ধরের (২৮) সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। জ্যোতিকা ও অভি পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক দাবি করে। মেয়ের পরিবার যৌতুক দেবে না বলে জানিয়ে দেয় তখন জ্যোতিকা আদালতে গিয়ে অভিকে তালাকনামা পাঠায়। এতে ক্ষুব্ধ অভি শশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী জ্যোতিকাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পরে অভি নিজেই নিজের পেটে ছুরি মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এর এক সপ্তাহ পর গতকাল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান।
পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৩ বছর আগে
স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি
বিয়ের দুই মাসের মাথায় চাঁদপুর সদর উপজেলার লালপুর গ্রামে দাম্পত্য কলহের জেরে নববধূকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী।
অভিযুক্ত স্বামী বৃহস্পতিবার আদালতে এ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
নিহত আমেনা আক্তার (২০) উপজেলার মধ্যমচর গ্রামের এনাল হক প্রধানিয়া মেয়ে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
অভিযুক্ত স্বামী শামীম গাজী (২৩) উপজেলার লালপুর গ্রামের মান্নান গাজীর ছেলে।
চাঁদপুর মডেল থানা উপপরিদশর্ক (এসআই) শাহরিন হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে বিষ্ণুপুর থেকে হত্যা মামলার আসামি শামীম গাজীকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘গালাগাল’ করায় সাবেক চেয়ারম্যানকে খুন,গৃহকর্মীর স্বীকারোক্তি
এলাকাবাসীর বরাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ জানান, দুই মাস আগে উপজেলার মধ্যমচর গ্রামের এনাল হক প্রধানিয়ার মেয়ে আমিনার সাথে লালপুর গ্রামের মান্নান গাজীর ছেলে শামীম গাজীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে এবং এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। এরপর থেকে শামীমসহ পরিবারের সবাই গা ঢাকা দেয়।
আরও পড়ুন: ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলায় আসামির স্বীকারোক্তি
এদিকে, এই ঘটনায় নিহত আমেনার বড় ভাই সুমন বাদী হয়ে নিহতের স্বামী শামীম গাজী, আল আমিন গাজী (৩৫) ও শাহ আলম (৩০) সহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৩ বছর আগে