প্রতিষ্ঠান
বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তবে শহীদদের নামে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আমি সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ‘
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পঙ্গু ১০ ব্যক্তির মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
তারেক বলেন, জনগণের হারানো অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এটি অর্জন করতে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ জুড়ে বহু মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশাপাশি যারা আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব।
তারেক বলেন, ‘তারা দেশের জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাতে আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারি। দলমত নির্বিশেষে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সাধ্যমতো তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আহত ও পঙ্গু ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, পুনর্বাসন এবং শহীদদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকার গঠন করলে স্বৈরাচার অবসানে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের নামে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার প্রস্তাব করবে। এর ফলে এই নায়কদের নাম কখনও মুছে যাবে না।’
তিনি বলেন, বিএনপি সারা দেশে আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিসহ সকল পঙ্গু ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের বোঝা না করে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের বাইরেও সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা জন্মগতভাবে বা অন্য কোনো কারণে প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন। দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেউ প্রতিবন্ধী হলে তা পরিবারের ওপর ভারী বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ইচ্ছা এসব মানুষের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর উপায় খুঁজে বের করা।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে, তখন সারা দেশে এ ধরনের পরিবারগুলোকে সহায়তা করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে। তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হোক বা না হোক। ‘আমরা রাষ্ট্র থেকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য রাখব, যাতে এই পঙ্গু ব্যক্তিরা যতটা সম্ভব স্বাবলম্বী হতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
এসব পরিবারের সহায়তায় দেশের আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের সহযোগিতার আহ্বানও জানান তারেক।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা আমাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করতে পারব।’
সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ও যারা শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর আন্দোলন করেছে তাদের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ‘আমরা এখনও এই সরকারকে সমর্থন করছি।’
তবে সংস্কারের জন্য সরকারের চার বছরের মেয়াদ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনীতিবিদরা যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করবেন, বর্তমান সরকার কিছু পরামর্শ দিতে পারে।
তিনি বলেন, কিছু জটিলতা বা কোনো অশুভ পরিকল্পনার কারণে সরকার সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করতে পারে। ‘এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দেশের মানুষ জানতে চায় সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য কেন চার বছর সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
১ মাস আগে
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্ন তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
সোমবার (২৭ মে) ইউজিসিতে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
তিনি নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার কতিপয় ক্ষেত্র ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সব তথ্য জনগণের পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু, অনেক সময় সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকার পরও তথ্য সংরক্ষণ এবং পেশাদারিত্বের অভাবে যথাসময়ে তথ্য প্রদান ব্যাহত হয়। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
তিনি সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। নাগরিকদের চাওয়া তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকম লুকোচুরি করা যাবে না বলেও সতর্ক করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতিসংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করা গেলে অভিযোগ কমে আসবে। এছাড়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক শৃঙ্ক্ষলা অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আইন বাস্তবায়ন জরুরি। তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ও ইউজিসিতে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।
কর্মশালায় ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভুইয়া, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীরসহ কমিশনের ২৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা দক্ষ না হলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
৬ মাস আগে
ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সহযোগিতাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে একাডেমিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশ্ফী বিন্তে শাম্স এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকটি সই করেন।
আরও পড়ুন: কাতার আমিরের সফরে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাক্ষী হিসেবে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন খান ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম স্মারকটিতে সই করেন।
সমঝোতা স্মারকটির আওতায় প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী আদান প্রদানে সক্ষম হবে দুই প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দুই প্রতিষ্ঠান গবেষণাসংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপে এবং কার্যক্রমে একে অপরের সহযোগিতা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাশ্ফী বিন্তে শাম্স, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ বক্তৃতা করেন। তারা স্মারকের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট পারস্পরিক সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্মারকটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চীনের আনহুই প্রদেশের সঙ্গে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই
কাতারে কর্মী পাঠাতে সোমবার সমঝোতা স্মারক সই হবে: প্রবাসীকল্যাণ সচিব
৭ মাস আগে
ভর্তুকি হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।
তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।
তাজুল ইসলাম এ সময় ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাজধানী ঢাকাতে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই নদীগুলো দূষণমুক্ত করে এগুলোর নাব্য নিশ্চিত করা জরুরি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুপেয় পানি মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ওয়াসার আগে অনেক ঘাটতি থাকলেও সেগুলোর সমাধান করে বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকাতে পাঁচ ভাগে ভাগ করে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।
আরও পড়ুন: ১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ
স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাসহ খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার উপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় বক্তৃতাকালে ব্যবসায়ী নেতারা এ কথা বলেন।
সভায় কমিটির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়েজুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এখন স্মার্ট অর্থনীতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। এই যাত্রার শুরুতেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের বদনাম ঘোচাতে হবে।
আরও পড়ুন: কর কাঠামোর পুনর্গঠন চায় এফবিসিসিআই
তিনি আরও বলেন, নতুন করে যেন অনিয়ম, ঋণ খেলাপি না হয় সে বিষয়ে সব অংশীজনকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির পরবর্তী সভাগুলোয় সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত ও পরামর্শ আহ্বান করেন তিনি।
এ সময় কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাজিব পারভেজ জানান, জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ জরুরি।
এ জন্য এই খাতের উদ্যোক্তা, কর্মী এবং অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে দায়বদ্ধতার মনোভাব গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
সভায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলেন, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প লাভবান হবে। যা জাতীয় অর্থনীতিকে একটি শক্তিশালী ভিত্তিতে পৌঁছে দেবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক মিস সালমা হোসেন অ্যাশ, নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ভূঁইয়াসহ কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
১০ মাস আগে
টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে: পলক
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, স্মার্ট টেশিসের জন্য স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
আয় বৃদ্ধি ও অপচয় কমিয়ে আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে তিনি নির্দেশনা দেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীতে টেশিসের দোয়েল ল্যাপটপ, টেলিফোন সেট, বৈদ্যুতিক স্মার্ট মিটার অ্যাসেম্বল প্লান্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
টেশিসকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেয় অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় পরবর্তী সেবা এসব জায়গাসমূহে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে দোয়েল ল্যাপটপ যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তা সফলজনকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। মেড ইন বাংলাদেশ পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে রপ্তানি করতে টেশিস ব্যর্থ হলো। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৯৪টি কম্পোনেন্টের ওপর ইমপোর্ট ডিউটি কমিয়ে দেওয়ায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। ল্যাপটপ কারখানা হয়েছে ও ভালো করছে।
টেশিসকে লাভজনক অবস্থায় উন্নীত করার কৌশল তুলে ধরে পলক বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটে আমরা রাজস্ব বাড়াতে চাই, অপচয় কমাতে চাই। আগামী পাঁচ মাসে আয় বাড়াতে পারলে আমরা লাভজনক অবস্থায় যাব। আয় বাড়াতে না পারলে ব্যয় কমাতে হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় হচ্ছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি পেশায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে: পলক
১১ মাস আগে
শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ‘শিল্পকলা পদক ২০২১ ও ২০২২’ ঘোষণা করেছে। পদক পাচ্ছেন মোট ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে ‘শিল্পকলা পদক ২০২১’পাচ্ছেন ১০ গুণীজন ও সংগঠন এবং ‘শিল্পকলা পদক ২০২২’পাচ্ছেন আরও ১০ গুণীজন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের ইশতেহারে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপের অঙ্গীকার
২০২১ সালের শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন- যন্ত্রসংগীতে মো. নূরুজ্জামান, নৃত্যকলায় শারমীন হোসেন, কণ্ঠসংগীতে সাদি মহম্মদ, চারুকলায় শিল্পী বীরেন সোম, নাট্যকলায় অধ্যাপক আবদুস সেলিম, লোক সংস্কৃতিতে মো. নহীর উদ্দিন, চলচ্চিত্রে ড. মতিন রহমান, আবৃত্তিতে কাজী মদিনা, যাত্রাশিল্পে এম. এ. মজিদ এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ।
২০২২ সালের শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন- যন্ত্রসংগীতে ফোয়াদ নাসের, নৃত্যকলায় সাজু আহম্মেদ, কণ্ঠসংগীতে এলেন মল্লিক, চারুকলায় অধ্যাপক অলক রায়, নাট্যকলায় খায়রুল আলম সবুজ, লোকসংস্কৃতিতে সুনীল কর্মকার, ফটোগ্রাফিতে রফিকুল ইসলাম, আবৃত্তিতে মীর বরকতে রহমান, যাত্রাশিল্পে অরুণা বিশ্বাস এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক হিসেবে ড. সফিউদ্দিন আহমদ।
আরও পড়ুন: প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, শিগগিরই রাষ্ট্রপতির অনুমতি ও তারিখ নির্ধারণ সাপেক্ষে ‘শিল্পকলা পদক ২০২১ ও ২০২২’প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
সম্মাননা হিসেবে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন প্রত্যেকে পাবেন একটি করে স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ১ লাখ টাকার চেক।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখ্যান
১১ মাস আগে
রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আমরা সবাই মিলে রেলকে একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব।
রেলওয়ের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা আরও সম্প্রসারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রথম কর্মদিবসে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রেলে প্রাণহানি ঘটছে। সামনে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো রেলের নিরাপত্তা জোরদার করে এই এসব ঘটনা দূর করে রেলকে নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করা।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হলে রেলের দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে, এছাড়া রেলের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রেলের দখল করা জমি উদ্ধার এবং টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
রেলকে আরও এগিয়ে নিতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এরপর মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং সব মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: চলমান কাজগুলো শেষ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ: ইয়াফেস ওসমান
১১ মাস আগে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার এবং বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) যৌথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইএমকে সেন্টারের কেনেডি হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জনের বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে সম্ভাব্য সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় তথ্য ও কৌশল সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন এফ. ইবেলি বলেন, ‘আপনারা এক মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমানভাবে এটি কঠিনতর এবং আরও বিপজ্জনক পেশা হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সর্বত্র তথ্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
কর্মশালাটি সাংবাদিকদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে উদ্ভূত সংকট পার করার জন্য বাস্তব জ্ঞান ও কৌশল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টিতে স্থান পাওয়ায় সাকিব জামালকে মার্কিন দূতাবাসের অভিনন্দন
অংশগ্রহণকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কৌশলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজেআইএম বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত অংশগ্রহণমূলক সেশনগুলো প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গতিশীল ও তথ্যপূর্ণ বিনিময়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান স্পেস হিসেবে ইএমকে সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে।
যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উন্নীত করার জন্য এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
১১ মাস আগে
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
নাগরিকদের বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি তাদের ম্যালওয়্যার নজরদারি বাড়াতে এবং ব্যাংকগুলোর আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রয়োগ করতে বলে সতর্কতা জারি করেছে।
যদিও বিবি কোনো নির্দিষ্ট এলাকা উল্লেখ করেনি, তবে ব্যাংকিং ট্রোজান ট্রিকবট-এর মতো ম্যালওয়্যার, যা আর্থিক বিবরণ, অ্যাকাউন্টের প্রশংসাপত্র এবং ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য চুরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবি ব্যাংকগুলোকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের সাম্প্রতিক ঘটনা এবং ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে অবহিত করতে বলেছে৷
এটিতে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সাইবার আক্রমণ থেকে প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থাগুলোর একটি বিশদ বিবরণও চেয়েছে৷
বিবির মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ আভ্যন্তরীণ কাজের অংশ ছিল। ‘ব্যাংকগুলো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করল বাংলাদেশ
গত মাসে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সার্ভারে ম্যালওয়্যার হামলার পর ব্যাংকগুলোকে সতর্কবার্তা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্ল্যাকক্যাট নামেও পরিচিত কুখ্যাত র্যানসমওয়্যার গ্রুপ আলফাভি, স্টেট ব্যাংকের সার্ভারে প্রবেশ করে এবং ১৭০ গিগাবাইটেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পথ তৈরি করে।
১২ দিনের সহসা প্রবেশ শনাক্ত করা যায়নি। যা হ্যাকারদের অভ্যন্তরীণ ডকুমেন্টেশন অধ্যয়ন করার এবং নির্বিঘ্নে মূল্যবান তথ্য চুরির জন্য যথেষ্ট সময় দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে