সুরমা
সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা ও কুশিয়ারার নদীর পানি। এর ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
শুক্রবার থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
এ অবস্থায় ফের বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন সিলেটের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দা।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার ও শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সিলেটে বৃষ্টিপাত ছাড়াও উজানে অর্থাৎ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসব বৃষ্টির পানি সিলেটের নদ-নদী দিয়ে নেমে আসে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায়। সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে। এছাড়া শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি প্রবাহের মাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। সুরমার পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারে।
অন্যদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শুক্রবার থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় তা আরও বেড়ে ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
৬ মাস আগে
সিলেটে বন্যা: সুরমায় পানি কমলেও বেড়েছে কুশিয়ারায়
সিলেটে কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দুটিতে রয়েছে অপরিবর্তিত। আর সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, লোভা ও সারি নদী তীরবর্তী পাঁচ উপজেলায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের যেসব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার। আগের দিন থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায়। আর পরিস্থিতি অপরবর্তিত রয়েছে জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলার।কুশিয়ারা নদীর পানি মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সকল পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধির ফলে বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার, মুড়িয়া, লাউতা, শেওলা, মাথিউরা, মোল্লাপুর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় মারা গেছে ৩ হাজারের বেশি গবাদিপশু
উপজেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারিভাবে সাড়ে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।বালাগঞ্জ উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধির ফলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত এলাকায় অন্তত ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জের ইলাশপুর এলাকায় সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার অন্তত ৬০ ভাগ মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি রয়েছেন।ওসমানীনগর উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী সাদিপুর, গোয়ালাবাজার ও পৈলনপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। উপজেলার বাকি এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ও সুরমা তীরবর্তী ৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে। একইভাবে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সুরমা তীরবর্তী কুচাই, বরইকান্দি ও মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে উন্নতি হলেও ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে কুশিয়ারার পানি ঢুকে মোগলাবাজার, দাউদপুর, জালালপুর ও সিলাম ইউনিয়নে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।এদিকে সিলেট সদর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধীরগতিতে পানি নামছে। আর জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরবর্তিত রয়েছে।বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ও হাটবাজার তলিয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাদ্যসামগ্রীর দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার্তদের সহায়তায় জরুরি ত্রাণ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে
নদীর পানি কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
দীর্ঘ আটদিন পর সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যার পানি নেমে সিলেট নগরীর চিত্র আগের অবস্থায় ফিরতে আরও পাঁচদিন লাগবে। সিলেটবাসী যেন আর এরকম বন্যা পরিস্থিতির শিকার না হন সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর (পুর) দপ্তরের সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) এস এম শহিদুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বন্যার পানি কমছে। ফলে সিলেটে আর বন্যা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আরও পাঁচদিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে। বন্যায় যেখানে যেখানে বাঁধ ভেঙেছে সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে আবার নতুন করে বাঁধ দেয়া হচ্ছে।’
এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে যে নদী ও খালগুলো আছে, সেগুলো ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ড্রেজিং করার লক্ষ্যে আমরা এখানকার নদীগুলো নিয়ে স্টাডি করছি। সিলেটের সুরমা নদীর গতিপথ ঠিক থাকলেও এর ড্রেজিং করতে হবে। এ লক্ষ্যে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এখনও প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন হয়নি, তবে ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে।’ সুরমা নদীর ড্রেজিং হয়ে গেলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি কমে যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সিলেটে সুরমা, ধোলাই, পিয়াইন নদ-নদীর পানি আগের থেকে কিছুটা কমেছে। তবে বাড়ছে কুশিয়ারার পানি। ফলে নগরসহ আশপাশের এলাকার পানি কিছুটা কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় পানি কমলেও জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়ে চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), সিলেট-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২১ মে) সকাল ৯টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শুক্রবারের চেয়ে শনিবার এ দুটি পয়েন্টে পানি প্রবাহ যথাক্রমে ১১ সেন্টিমিটার ও সাত সেন্টিমিটার কমেছে। এছাড়া, শনিবার একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর আমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার, শেওলায় ৫৫ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শুক্রবারের চেয়ে শনিবার আমলসীদে ১১ সেন্টিমিটার ও শেওলায় তিন সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ কম ছিল। তবে, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি শুক্রবারের চেয়ে শনিবার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শুক্রবার এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ১৯৯ আশ্রয়কেন্দ্র
এদিকে নগরে পানি কিছুটা কমলেও কমেনি বন্যাকবলিতদের দুর্ভোগ। বিদ্যুৎ ও গ্যাসহীনতা, খাবার পানির সংকটের পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। সিলেটে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ এড়াতে নগর ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্র ও শনিবার নগরের প্লাবিত এলাকার অনেক বাসিন্দাকে নগর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে দেখা যায়।
গত ১০ মে থেকে সিলেটে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। ফলে ১১ মে থেকেই সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে থাকে। আর গত ১৩ মে থেকে সিলেট নগর প্লাবিত হতে থাকে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, যেসব এলাকা, বাসাবাড়ি বা দোকানপাটে পানি প্রবেশ করেছিল, তা ধোয়ামোছা করছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ। তবে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সবাইকে বেগ পেতে হচ্ছে।
ঘরে জমে থাকা পানি সেচে ধোয়ামোছা করতে দেখা যায় নগরীর লালাদিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা পলি বেগমকে। তিনি জানান, শুক্রবার রাতেই তার ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। তারপরও ঘরে প্রচুর পানি আটকে আছে। এসব পানি আজ সকাল থেকে সেচে বের করছেন। তারপর ঘর পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক স্প্রে প্রয়োগ করবেন বলে জানান।
নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়ের জানান, চার দিন ধরে উপশহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। এদিকে বাসার রিজার্ভ ট্যাংকের পানি প্রায় শেষ পর্যায়ে। বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এসব এলাকায় কবে পুনরায় বিদ্যুৎ-সংযোগ চালু হবে, তা তিনি জানেন না। ফলে কখন বাসার পানির সমস্যা দূর হবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পানিতে ভাসছে সিলেট, বন্যার্ত মানুষের চরম দুর্ভোগ
সিলেট নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের কলাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ঘরে যখন পানি প্রবেশ করেছিল, তখন গ্যাসের লাইনে পানি ঢুকে যাওয়ায় গ্যাস-সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পুরোপুরি পানি না কমলে এই গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, দিন দিন আবহাওয়া উন্নতি করছে। তিন-চার দিন আগেও যেখানে কয়েক শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১২ মিলিলিটার।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ মের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ একেবারেই কমে আসবে। বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবারের মতো শনিবারও সুরমার পানি কমা অব্যাহত আছে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে কয়েক সেন্টিমিটার পানি কমেছে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে।
সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি এখনও নামেনি। সরকার বন্যার্তদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।’
বন্যায় সড়কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সিলেট জেলায়। জেলায় সওজ ও এলজিইডির আওতাধীন মোট ১২১টি সড়কের ৩৩২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়াও ভেঙে গেছে দুটি কালভার্ট।
এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর জানান, 'বন্যায় ১১১টি রাস্তার ২৬৭ কিলোমিটার অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জে দুটি কালভার্ট ভেঙেছে। যেহেতু রাস্তার ওপরে এখনও পানি, তাই ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।'
সড়ক বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'সিলেটের আন্তঃজেলা ১০টি প্রধান সড়কের ৬৫ কিলোমিটার অংশ প্লাবিত হয়েছে, এর মধ্যে পাঁচটি সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। জকিগঞ্জে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় দুটি সড়কে পানি দ্রুত বাড়ছে।'
সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিতে দুই হাজার ৪২১ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা, এক হাজার ৭০৪ হেক্টর বোরো ধান ও এক হাজার ৩৩৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, শনিবার নগরীতে পানি কমলেও বিশুদ্ধ পানির ও রান্না করা খাবারের সংকট তীব্র হয়েছে। বন্যার পানিতে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকায় অবস্থিত সিলেট সিটি করপোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি চারটি পাম্প তলিয়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় কয়েকটি এলাকার পানিবন্দি মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য মানুষের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি হয়েছে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, পানিবন্দি নগরবাসীর জন্য পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে রান্না করা খাবার খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষ।
এদিকে জেলার ১৩টি উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশে থইথই পানি। অধিকাংশ ঘরবাড়ি ডুবে আছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, পানির মধ্যে ভাসছে গ্রামগুলো। কয়েক দিন আগেও যেখানে ধান মাড়াই ও শুকানোর জায়গা করা হয়েছিল, সেখানে এখন পাঁচ থেকে ১০ ফুট পানি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার ৮ দিন
গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সিলেটজুড়ে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাঁরাও এর ভুক্তভোগী। গ্রামগুলোর বেশির ভাগ ঘরেই হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি। রান্নাবান্নার একমাত্র উপায় মাটির চুলা, সেসবও এখন পানির নিচে। ফলে অনেকে কেবল শুকনা চিড়া বা মুড়ি খেয়েই দিন কাটাচ্ছেন। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় শুকনা স্থানের অভাবে গবাদিপশু রাখা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা যাচ্ছে না।
এসব গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আগে গ্রামের চারদিকে প্রচুর খাল ও নালা ছিল। অতিবৃষ্টিতে সেসব জলাধার পানি ধারণ করত। এখন সেসব ভরাট করে আবাসনসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠায় পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে যেসব বাড়িঘরে বন্যায় তুলনামূলকভাবে কম পানি থাকার কথা, সেখানেও বেশি পানি উঠেছে।
গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ত্রাণ পাওয়ার তালিকায় যাঁদের নাম আছে, সেখানে জনপ্রতিনিধিরা স্বজনপ্রীতি করে তালিকা প্রস্তুত করেছেন। প্রয়োজন সত্ত্বেও অনেক দরিদ্র মানুষ কোনো ধরনের ত্রাণ পাননি। খাবারসহ নানা সংকটে পানিবন্দি জীবনে তাঁদের দুর্ভোগের শেষ নেই বলে অনেকে আক্ষেপ করেন।
চলতি বন্যায় ভেসে গেছে সিলেট জেলায় সাত হাজার ২৫১টি পুকুরের মাছ। ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ছয় কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এতে অন্তহীন ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারীরা। এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেট জেলা মৎস্য বিভাগ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায় আট হাজার ৩২২টি পুকুরে খামারিরা মাছ চাষ করেছেন। এগুলোর মধ্যে সাত হাজার ২৫১টি পুকুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের মোট আয়তন ৮৫৪ দশমিক ৭০ হেক্টর। জেলার ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মাছ চাষি নেই বলে জানা গেছে।
মৎস্য কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে জকিগঞ্জ উপজেলায়। এখানে তিন হাজার ১০০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এরপর বেশি ক্ষতি হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলায়। এখানে ভেসে গেছে দুই হাজার পুকুরের মাছ। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে বিশ্বনাথে এক হাজার ১৪০, সিলেট সদরে ৪৮০, কানাইঘাটে ১৮০, জৈন্তাপুরে ১১০ ও কোম্পানীগঞ্জে ৮০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাকি উপজেলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ৫৯, বিয়ানীবাজারে ৪৮, বালাগঞ্জে ৪০ ও দক্ষিণ সুরমায় ১৪টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩৩৭ মেট্রিক টন মাছ ও ১২১ মেট্রিক টন পোনা ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ভোগান্তিতে বানভাসিরা
২ বছর আগে
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
গত কয়েকদিন ধরে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে অবিরাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সুনামগঞ্জের নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ষোলঘরস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার এখনও ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শহরের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে ।
এছাড়াও জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল এবং এখনও কিছু কিছু উপজেলায় পানি থাকার কারণে দুর্ভোগে আছেন মানুষজন। বিশেষ করে পানির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজনের রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে লাখো মানুষ চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
এদিকে জেলার ছাতক উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও বাসাবাড়িতে এখনও পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে আছেন সাধারণ মানুষজন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, গতকয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৭৭৭ হেক্টর বোরো ধান, ৭৫ হেক্টর বাদাম, আউশ বীজতলা ৭৪ হেক্টর, সবজি ৬০ হেক্টর, আউশ ধান ২০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা হবে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজারে প্রায় সাড়ে ৪শ’ পুকুর ডুবে ৩৫ টন মাছ ও ৩০ লাখ পোনা বানের পানিতে ভেসে যায়, যার ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি টাকা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি এবং সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন ইতোমধ্যে ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর ও তাহিরপুরে প্রায় আট হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের মাধ্যমে প্রশাসন উদ্যোগে ১৪০ মেট্রিন টন জি আর এর চাল, নগদ ১২ লাখ টাকা ও দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। ২৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং ২০টির মতো আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, হাজারো মানুষ পানিবন্দি
২ বছর আগে
সিলেটে সুরমা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে সুরমা নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকার পীরপুরে সুরমা নদীর তীর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল কাদির (২২) স্থানীয় কানিশাইল এলাকার মৃত নাসির খান পুতুলের পুত্র।
জানা যায়, মঙ্গলবার নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন আব্দুল কাদির। পরে আশপাশের সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে টুকেরবাজার পীরপুর নদীর তীর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদ মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মারা যাওয়ার কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: যমুনায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
চাটমোহরে বিল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
সুরমায় ধরা পড়লো ১০০ কেজি ওজনের বাঘাইড়!
সিলেটের সুরমা নদীতে ১০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। রবিবার সকালে লামাকাজি এলাকার সুরমা নদীতে এই বিশাল মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়ে।
জেলেদের কাছ থেকে কাজিরবাজার মৎস্য আড়তের এক ব্যবসায়ী সেটি কিনে নেন এবং পরবর্তীতে তার কাছ থেকে মাছটি কেনেন সিলেট নগরীর কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. বেলাল মিয়া।
বেলাল মিয়াও মাছটি বিক্রির জন্য নগরীর লালবাজারে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, এক লাখ টাকা দিয়ে তিনি মাছটি কিনেছেন। এখন দেড় লাখ টাকা দাম চাইছেন। অবশ্য এক লাখ ২০ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পেলে তিনি মাছটি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৩৫ কেজির বাগাড় মাছ
কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
২ বছর আগে
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল থেকে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানিয়েছেন, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনকালে সকল অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে দুই সদস্যবিশিষ্টি একটি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে।
এছাড়া ভোটগ্রহণ উপলক্ষে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচদিন নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় এ আসনটির সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি প্রতীকে এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর
৩ বছর আগে
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বাড়ছে দুর্ভোগ
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি বাড়ছেই। সবগুলো প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে।
৪ বছর আগে