কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল থেকে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানিয়েছেন, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনকালে সকল অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে দুই সদস্যবিশিষ্টি একটি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে।
এছাড়া ভোটগ্রহণ উপলক্ষে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচদিন নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় এ আসনটির সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি প্রতীকে এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।