রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
কাজে ফেরেননি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন প্রকল্পের ভারতীয় কর্মকর্তারা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে বিদ্যুৎ স্থানান্তর করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর দায়িত্ব পাওয়া ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনও কাজে ফেরেননি, যা এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও ট্রান্সরেল লাইটিং লিমিটেডের (টিটিএল) কয়েকজন কর্মী ফিরে এলেও লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড (এল অ্যান্ড টি) বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউ এখনও ফিরে আসেননি।’
এই কর্মকর্তা আরও জানান, ফিরে আসা কর্মীদের বেশিরভাগই কেইসির স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অস্থায়ী কর্মী এবং মধ্যম স্তরের কর্মকর্তা কিন্তু এখনও কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা সাইটে ফিরে আসেননি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নয়, শান্তিপূর্ণ পরমাণু শিল্পও গড়ে তুলেছে রাশিয়া: পুতিন
তবে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এল অ্যান্ড টির ভারতীয় কর্মীরা ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রকল্পগুলোতে পুনরায় যোগ দেবেন বলে আশা করছেন তারা। তিনি বলেন, 'আমরা অপেক্ষা করছি তারা আবার কাজ শুরু করবে।’
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সব কর্মী বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায়। এখন তাদের ফিরিয়ে আনতে বিলম্ব হচ্ছে। যার ফলে ভারতীয় ঠিকাদারদের দায়িত্বে থাকা সঞ্চালন প্রকল্পগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশ জুড়ে ১৭টি সঞ্চালন প্রকল্পে দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। দায়িত্বপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে- এল অ্যান্ড টি, ট্রান্সরেল ও কেইসি। এই সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর বেশ কয়েকটি চলতি বছরের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের কর্মকর্তা বলেন, 'ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীরা আকস্মিক চলে যাওয়ায় এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় অন্যতম শীর্ষ ঠিকাদার লারসেন অ্যান্ড টুব্রোকে পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রধান প্রধান চুক্তিগুলো দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের দায়িত্ব পেয়েছে যেগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের গ্রিড সিংঙ্ক্রোনাইজেশন এবং টেস্টিং প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর কাজ ২০২৫ সালের প্রথম দিকে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্রাথমিকভাবে এক্সিম ব্যাংক থেকে ৮ হাজার ২১৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ১ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা অর্থায়নে সঞ্চালন প্রকল্পটিতে আনুমানিক ১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি জানায়, সঞ্চালন প্রকল্পে পাঁচটি বড় অংশ রয়েছে- ১৩ কিলোমিটার রিভার ক্রসিংসহ ৪৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন; ৭ কিলোমিটার রিভার ক্রসিংসহ ২০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন; ৪০০ কেভি পাঁচটি বে এক্সটেনশন; ২৩০ কেভি চারটি বে এক্সটেনশন এবং ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্রিকোয়েন্সি ড্রপ সুরক্ষা, সুরক্ষা ব্যবস্থা, জরুরি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার গুণগত উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে লাগতে পারে আরও এক বছর
১ মাস আগে
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের রূপপুর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের খবর উড়িয়ে দিলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন- এই সংবাদ নাকচ করে দিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিটস্কি।
রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে, প্রথমত এটি একটি গুজব এবং মিথ্যা গুজব। আপনাদের বোঝা উচিত। আমাদের কোম্পানি রোসাটম এরইমধ্যে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
যেখানে নির্মাণ কাজ এখনও চলছে সে অবস্থায় কীভাবে এটি করা যেতে পারে বলে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ বিলিয়ন ডলার। কল্পনা করুন, এটি একটি বড় অর্থ। যখন নির্মাণ চলমান তখন কীভাবে এত অর্থ কাউকে দেওয়া যেতে পারে? আপনাদের কি মনে হয় আমরা এতই পাগল যে কাউকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেব?’
জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে এই গুজব তৈরি করা হয় বলে জানান রুশ রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
২ মাস আগে
সরকারকে কিছু ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হলেও মানুষ বিদ্যুৎ পাবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে কিছু ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আমাদের সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে... আমরা কিছু ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা তা করতে বাধ্য।’
দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পাবনার উত্তরাঞ্চলের ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াই সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। আর আমরা বাংলাদেশকে আলোকিত করতে সফল হয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘…পরিবহনসহ সব ক্ষেত্রেই দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে উন্নত দেশগুলো নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে। আমরাও পিছিয়ে নেই… বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ এবং একটি দেশ অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। সমগ্র বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে, তখন আমাদেরও সেই আঘাত সহ্য করতে হয়।’
তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও এর কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে আরও সমস্যা তৈরির বিষয় উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, রাশিয়ার রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব জিয়াউল হাসান।
অনুষ্ঠানে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
২ বছর আগে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দেশের প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ও শেষ ইউনিটের চুল্লি (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) স্থাপনের উদ্বোধন করেছেন।
রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেলটি দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে স্থাপন করা হয়।
পাবনার উত্তরাঞ্চলের ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
ঈশ্বরদীর রূপপুরে এক হাজার ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট রয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল স্থাপন উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের রুশ ঠিকাদার রোসাটম জানায়, ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাকটর ভেসেলটি বুধবার স্থাপনের আগে সকল নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ইনপুট নিয়ন্ত্রণ পাস করেছে।
রোসাটমের কর্মকর্তারা জানান, নকশা পর্যায়ে দ্বিতীয় পাওয়ার ইউনিটের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাকটর ভেসেল স্থাপনের কাজটি বেশ কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়।
একটি লিয়েবয়ার-১১৩৫০ ভারী ক্রলার ক্রেন রিঅ্যাকটর ভেসেলটিকে পাওয়ার ইউনিটের পরিবহন পোর্টালে তুলেছে।
এরপর একটি বিশেষ পরিবহন ট্রলিতে এটিকে চুল্লির বগির কেন্দ্রীয় হলে সরানো হয়। আরও একটি পোলার ক্রেনের সাহায্যে চুল্লি সিলিন্ডারটিকে খাড়াভাবে তোলা হয় এবং রিঅ্যাকটর গহ্বরের একটি রিংয়ে স্থাপন করা হয়।
আরএনপিপির কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাজের ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পটির মোট ৫৩ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, ‘রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের সঙ্গে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ভৌত কাজ লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হবে।’
সরকার ২০০৯ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় এবং দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি ক্রেডিট চুক্তি সই করে যাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা-রোসাটমকে এর ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো জীবনকালের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি ইউনিটকে প্রতি ১৮ মাস পর পর মোট প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানির এক তৃতীয়াংশ পুনরায় লোড করতে হবে এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুনরায় লোড বিনামূল্যে রাশিয়ান ফার্ম প্রদান করবে।
প্রতিটি পারমাণবিক জ্বালানি পুনরায় লোড করতে খরচ হবে ছয় কোটি ২০ লাখ ডলার, যা ৫৫০ কোটি টাকার সমান।
ড. শওকত আকবর বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনের পর যে বড় কাজগুলো অসমাপ্ত থাকবে তার মধ্যে রয়েছে প্রি-অপারেশনাল টেস্টিং ও ফুয়েল লোডিং।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি চালু করার আগে আরও কিছু কাজ শেষ করতে হবে। ‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই কাজগুলো শেষ করব।’
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিড লাইন নির্মাণ এবং যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে যা রয়েছে তা আগামী ২০২৪ সালের মাঝামাঝি আগে সম্পন্ন করতে হবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য একটি নিবেদিত কোম্পানি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। এর (এনপিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেছেন, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২০২২ এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ থেকে শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তারপর লক্ষ্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এনবিসিবিএল-এর কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এবং বেলারুশসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার বিদেশি কর্মী এখন বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার এবং এর সাব-কন্ট্রাক্টরদের অধীনে এই প্রকল্পে নিযুক্ত রয়েছে।
২ বছর আগে
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাশিয়ার রোসাটম স্টেট আণবিক শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যালেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ সহয়তা চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হলে আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নির্মাণ করবো। এই জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তা প্রয়োজন।’
এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ব্রিফ করেন। বাংলাদেশের শক্তি খাতে রাশিয়া সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন রোসাটম মহাপরিচালক।
শেখ হাসিনা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এটি রাশিয়ার সহযোগিতা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে রোসাটম মহাপরিচালককে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য রাশিয়ার প্রশংসা করেন তিনি।
করোনার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সব দিক দিয়েই করোনা মহামারি কিছুটা কমেছে এবং বাংলাদেশ এ থেকে রিকভার করছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে রুশ ফেডারেশনের সাহায্য ও সহযোগিতা কৃতজ্ঞার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
৩ বছর আগে
দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ শেষে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অনুরূপ আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
৩ বছর আগে
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন।
৪ বছর আগে
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের এক বড় অর্জন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) মাধ্যমে বাংলাদেশ জনগণের কল্যাণে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
৪ বছর আগে
রূপপুর বালিশকাণ্ডের ঠিকাদার আসিফের আরেক মামলায় জামিন
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির আরও এক মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে
রূপপুর বালিশকাণ্ড: ঠিকাদার আসিফের জামিন স্থগিত
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভবনের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
৪ বছর আগে