তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য এক বড় অর্জন হবে। মানুষের উপকারের জন্য আমরা পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সোচ্চার। পারমাণবিক মারণাস্ত্র বন্ধে শুরু থেকেই আমার সমর্থন দিয়ে আসছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে ভালোবাসেন বলেই এ প্রকল্প শুরু করেছেন। কারণ আপনারা জানেন অনেকেই নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছিল।’
শুক্রবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সাথে আরএনপিপি এলাকা পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারে আমরা সোচ্চার। প্রমাণ করব যে আমরা মানুষের উপকারের জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। এতে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।’
ভারত-চীন উত্তেজনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘অন্যদের রেষারেষিতে আমরা নেই। আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে, আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য যা যা ভালো তাই করব। আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব রাখব।’
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক বন্ধু। এটি অত্যন্ত দৃঢ় এবং এখন আমরা সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় পার করছি।’
ড. মোমেন বলেন, দুই দেশ নেতৃত্বের পরিপক্কতা দেখানোর ক্ষেত্রে উদাহরণ স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ‘চীনও আমাদের বড় বন্ধু এবং চীনারা বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক সহায়তা করছে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তি চায়, আমরা উন্নয়ন চাই। শান্তি ছাড়া উন্নয়ন হয় না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ভুটান ও নেপালের মডারেটরের ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সাথে আলোচনা ও কথা বলতে আমরা সহায়তা করছি। বাংলাদেশ অন্যের উপকার করা জাতি।’
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হওয়া বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অন্যতম একটি হলো আরএনপিপি। প্রকল্পটিতে সর্বশেষ প্রজন্মের ৩+ভিভিইআর ১২০০ চুল্লির দুটি ইউনিট থাকবে। এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট।