জামিন বিষয়ে গত ১০ মার্চ জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আসিফ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে, একই ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় গত ২১ অক্টোবর আসিফকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখে।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসন প্রকল্পে অস্বাভাবিক দামে বালিশসহ আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে দুটি মামলায় আসামি করা হয় আসিফ হোসেনকে। এখন দুই মামলায়ই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন তিনি।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। সেখানে প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৪৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ টাকা। একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৩০ টাকা। একটি বৈদ্যুতিক কেটলির দাম ৫ হাজার ৩১৩ টাকা এবং তা ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯৪৫ টাকা।