প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ওআইসি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ এ অনুরোধ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওআইসির মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত তারিগ আলী বাখেত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
৪৫ মিনিটের বৈঠকে বাংলাদেশ ওআইসি প্রতিনিধিদলকে আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গাদের ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অনুরোধ করে এবং জিসিসি ও ওআইসিকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার আহ্বান জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
মিয়ানমারে ওআইসির বিশেষ দূত রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম খায়রাত, ওআইসি সহকারী মানবিকবিষয়ক পরিচালক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি আইসিএইচএডি ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আলী এলখামলিচি, কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট, আফ্রিকা ও এশিয়া প্রকল্প বিভাগের প্রধান দানা আল মিসনাদ, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, কুয়েত জাকাত হাউস, ডা. মজিদ সুলেমান আল-আজমি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ, কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট তালাল আল বাকার এবং হাইকোর্টের সিনিয়র উপদেষ্টা, জিসিসি দেশগুলোর জন্য ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি খালেদ খলিফা, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ এবং সহকারী নির্বাহী ইউএনএইচসিআর,বাংলাদেশের জেসিকা ওয়াটস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন ও নবীর অবমাননা ঠেকাতে সম্মিলিত পদক্ষেপ চায় ওআইসি
ওআইসি মহাসচিবের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চায় বাংলাদেশ
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চেয়েছে।
রবিবার রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং তাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এসময় মুখ্য সচিব বলেন, এই সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মধ্যেই রয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একীভূত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশকে অবশ্যই পাইলট প্রকল্প স্থগিত করতে হবে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
তোফাজ্জেল হোসেন বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরিতে অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং অন্যান্য দাতা সংস্থার বরাদ্দ হ্রাসের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বৈঠকে সৌদি আরব, ইরান, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, কাতার, কুয়েত ও চীনের রাষ্ট্রদূতরা নিজ নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের যেকোনো উদ্যোগের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আলদুহাইলান, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আল হামুদি, কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী আল-কাহতানি, তুর্কি রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলী আহমেদ ইব্রাহিম আল-ধুফাইরি, ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার আলবুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস.ওয়াই. রামাদান, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, ইরাক দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ এ আর খালাফ আল-দাররাজি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ ও বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পেলিসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী ২৩ রোহিঙ্গার খাদ্য সহায়তা বন্ধ করল ইউএনএইচসিআর
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
১ বছর আগে
পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি নিয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি জানান, আগামী রবিবারের মধ্যে এ দুই কমিটির বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ের যে ভুলগুলো চিহ্নিত হচ্ছে সেটা খুব ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এ ভুলগুলো শনাক্ত করতে আমরা দুটি কমিটি করছি। একটি কমিটিতে আমাদের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। একই সঙ্গে পাঠ্যবই সংশোধনীতে একটি অনলাইন ফর্ম সরবরাহ করবে মন্ত্রণালয়। এ ফর্মে বিষয়ভিত্তিক বইগুলোর ভুল বা অসংগতি সম্পর্কে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে অবহিত করার সুযোগ থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া বিশেষজ্ঞরা নতুন করে সব বই পর্যালোচনা করবেন। বইয়ের মধ্যে যেসব ভুল চিহ্নিত হবে সেগুলো আমলে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সমাধান করবেন। সেসব সংশোধনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্য কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনসিটিবির প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হবে। পাঠ্যবইয়ে ভুল-ত্রুটি ও বিতর্ক উঠা বিষয়গুলো কেউ ইচ্ছাকৃত যুক্ত করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: দীপু মনি
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
১ বছর আগে
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের বিত্তশালী অংশকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ তার সরকার দেশের সব গৃহহীন মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। এটি আমাদের লক্ষ্য।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিত কাজ করুন: গ্লোবাল সাউথ সামিটে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বৈঠকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে ৩৬টি ব্যাংক মোট ১১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ইতোমধ্যেই ঘর দেয়া হয়েছে এবং বাকিরাও আবাস পাবে।
তিনি আরও বলেন, যারা আশ্রয়ণ বাড়ি পেয়েছেন তাদের হাসি ও তৃপ্তির চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, দুই দশমিক জমিতে আশ্রয়ণ বাড়ি পাওয়া অনেকেই সেখানে সবজি চাষ, মুরগি পালন, কুটির শিল্প ও দোকান খুলছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (স্বাভাবিক) জীবিকা নির্বাহের পথ খুঁজে পাচ্ছে।’
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে সচ্ছল অংশকে এগিয়ে আসতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শুধু সরকার নয়, আমরা সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদানের জন্য বিএবি ও ব্যাংকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার আপনাদেরকে (সহায়তা দেয়ার জন্য) বলারও দরকার নেই। আপনারা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসেন এবং যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটের সময় সাহায্য করেন।
বেসরকারি খাতে ব্যাংক খোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ফলে তিন লাখ গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান হয়েছে। ‘এটি একটি বড় বিষয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ কাটিয়ে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা বড় সমস্যায় নেই। আমরা এটা কাটিয়ে উঠছি।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সব সময় জাতির কাছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
আ.লীগের সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পিএমও’র শুভেচ্ছা
টানা দশমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনা জোরপূর্বক নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি ১৭ মে, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
১ বছর আগে
গ্রীষ্মের জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তথ্য সংগ্রহ করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের দাম বিষয়ে কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুটি বিভাগ এবং তাদের সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন গ্রীষ্মে একটি কঠিন সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিষয়গুলো আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকতে পারে- এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য পিএমও শিগগিরই সম্প্রতি স্থগিত হওয়া বৈঠকের পুনঃআবেদন করবে।
তারা বলেছে যে পিএমও ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি বৈঠক ডেকেছিল। বিদ্যুৎ বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৈঠক স্থগিত করা হয়।’
আরও পড়ুন: জাতীয় উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন সভা স্থগিত করা হয়েছিল সেদিন প্রধানমন্ত্রীর একজন নতুন মুখ্য সচিব ও একজন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমরা আশা করি শিগগিরই স্থগিত সভা ডাকা হবে যেখানে দুই শীর্ষ আমলা উপস্থিত থাকতে পারেন।’
তিনি বলেন যে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়টি প্রস্তাবিত বৈঠকে শীর্ষ অগ্রাধিকার পাবে। বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় নাম প্রকাশ করেননি।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন যে তার প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পিএমও ও বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছে।
সরকারি সূত্র বলছে, পাওয়ার সেক্টরের রাজস্ব সংগ্রহের বিশাল ত্রুটি ঢাকতে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের শুল্ক বাড়ানোর সরকারের পরিকল্পনার পটভূমিতে পিএমও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে।
বেসরকারি খাত থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকদের কাছে কম দামে বিক্রির কারণে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) লোকসান হয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা।
কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর পাইকারি বাজারে বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে লোকসান মাত্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমতে পারে।
অবশিষ্ট ক্ষতি পূরণের জন্য ছয় বিতরণ কোম্পানিকে বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের নিজ নিজ প্রস্তাবনা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে জমা দিতে বলেছে। তারা ইতোমধ্যেই বিইআরসিতে খুচরা বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
কিন্তু সরকারের খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজনে বিইআরসিকে এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি গণশুনানি অনুসরণ করতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: বিজিবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এমতাবস্থায়, কমিশনের গণশুনানি ও সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে সরকারকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়ার জন্য ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বিইআরসি অধ্যাদেশ ২০২২ এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে।
খুচরা বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য গণশুনানির আয়োজন করবে না-কি সরকার নিজেই খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে বিইআরসি এখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে পিএমও পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়, যাতে এটি ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে একটি নির্দেশ দিতে পারে।
কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে পরবর্তী গ্রীষ্মে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পিএমও সভা থেকে একটি নির্দেশনাও আশা করা হচ্ছে, যা সাধারণত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে অতিরিক্ত লোড দিয়ে শুরু হয়। সাধারণত প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াটের অতিরিক্ত লোড আগামী গ্রীষ্মে কৃষি সেচ খাত থেকে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা আগামী বছরের মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া রোজার মাসেও আরও তিন হাজার মেগাওয়াটের লোড পড়বে।
তবে প্রাথমিক জ্বালানি সংকটের কারণে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চাপে রয়েছে এবং আগামী বছরে একটি বড় ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই সমস্ত বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে যেখানে প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক বৈঠকে বলেছেন, উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হলেও সরকার ভর্তুকি মূল্যে সবাইকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কিন্তু বৈশ্বিক মন্দা বিবেচনায় কম দামে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত মূল্যই দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দামও বেড়েছে। দেশের ব্যবসায়ীসহ সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে এবং গ্যাসের (বর্ধিত) মূল্য ও পরিবহন খরচের জন্য ব্যয়িত অর্থ পরিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তা না হলে আমরা বিদ্যুৎ দিতে পারব না। আপনি যদি বিদ্যুৎ চান, তাহলে আপনাকে আসল দাম দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও জ্বালানির খরচ মিতব্যয়িতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব।
বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি, যেখানে প্রাথমিক জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন ১২ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ডাককে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নবীন অফিসারদের হতে হবে ২০৪১ সালের সৈনিক, যারা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
রবিবার চটগ্রামে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২১ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি, তাই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ এ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের প্রতি তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিচ্ছে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’। আমরা তা (বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি) স্পষ্টভাবে অনুসরণ করে চলছি এবং সে অনুযায়ী দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে আজ আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হতে যাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, মাতৃভূমি এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথের মাধ্যমে যে পবিত্র দায়িত্ব আপনাদেরকে অর্পণ করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করবেন।’
প্রতিটি দুর্যোগ ও কঠিন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের মাতৃভূমির সেবা করতে দেয়ায় নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (এআরটিডিওসি) এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে সজ্জিত মঞ্চ থেকে সালাম গ্রহণ করেন এবং প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে একটি চিত্তাকর্ষক কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।
তিনি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এসএম কামরুল হাসানের সঙ্গে একটি খোলা গাড়িতে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
ব্যাটালিয়নের ৮৩তম বিএমএ লং কোর্সের সিনিয়র আন্ডার অফিসার লাবিব জোহাইর নূর আনান সেরা অলরাউন্ড ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ পেয়েছেন। অন্যদিকে কোম্পানির সিনিয়র আন্ডার অফিসার এস এম জহিরুল ইসলাম নিলয় সামরিক বিষয়ে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ‘সেনা প্রধান স্বর্ণপদক’।
অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে ‘সোর্ড অব অনার’ ও ‘সেনা প্রধান স্বর্ণপদক’ তুলে দেন।
আরও পড়ুন: চলমান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করুন: সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিএনপি আমার কার্যালয় দখল করতে এলে চা দেবো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই বিএনপির নেতারা তার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কার্যালয় দখল করতে এলেও তিনি তাদের চা খাওয়াবেন এবং ধৈর্য ধরে তাদের কথা শুনবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের চা দেব, বসার জায়গা দেব। তারা যা বলতে চায় আমি তা শুনব। দেখুন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
শনিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বোমা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘কিন্তু, যদি তারা বোমা নিক্ষেপ করে এবং ভাংচুর করে তবে তারা উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা,’ তিনি বলেছিলেন।
বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করতে চাইলেও পথে ব্যারিকেড না দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলামোটরের ব্যারিকেড পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের (বিএনপি) মিছিলে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তারা যেখানে খুশি সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে পারে।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন আ.লীগের প্রধান। তিনি বলেন, ‘এখন কে দল চালাচ্ছে? বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী দলের নেতা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি তা করছে। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির একজন নেতা দেশ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে বসবাস করছেন।
সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সারাদিন কথা বলার পরে, তারা অভিযোগ করে যে তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিন্তু তারা অভিযোগ করে যে তাদের মিছিলে জনগণকে অংশ নিতে দেয়া হয় না। ‘কেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লোকেরা অংশগ্রহণ করবে,’ তিনি প্রশ্ন করেন।
২ বছর আগে
সরকারি অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত
ভবিষ্যতের জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সব সরকারি অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশ আইজিপির
সরকারের মিতব্যয়ী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বৈঠকে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. সব সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর জন্য সব মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
২. সংশ্লিষ্ট অফিসের জন্য বরাদ্দ করা জ্বালানির ২০ শতাংশ কম ব্যবহারের জন্য অর্থ বিভাগ একটি গেজেট প্রকাশ করবে।
৩. অনলাইনে সভা আয়োজন করতে হবে এবং জরুরি না হলে সশরীরে সভা এড়িয়ে যেতে হবে।
৪. অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করা।
৫. মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জোরদার করা এবং খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
৬. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরিবহনে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার যৌক্তিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
৭. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অর্থবছরের শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
৮. প্রতিটি মন্ত্রণালয় ক্রয় পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে রাজস্ব ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেবে।
বৈঠকে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম, অর্থ বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি: ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি জালিয়াতির অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজাহান ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমডোর (অব.) রবিউল আউয়ালসহ আটজনের বিরুদ্ধে সোমবার অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, অভিযোগগুলো দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় এবং ঢাকার একটি আদালত জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি তদন্তে দুদককে নির্দেশ দিলে কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দিন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর এম আব্দুস সালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
মামলা অনুসারে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য তিনজনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের একটি নথি কার্যালয় থেকে চুরি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের নির্দেশে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে পিএমওর কর্মী ফাতেমা নথিটি চুরি করে গত ১ মার্চ পিএমও গেট-৪ এর সামনে ফরহাদকে দেয়।
চার্জশিট অনুসারে, কে কোষাধ্যক্ষ হবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে জাল নথিটি ৩ মার্চ অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
২ বছর আগে