প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই বিএনপির নেতারা তার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কার্যালয় দখল করতে এলেও তিনি তাদের চা খাওয়াবেন এবং ধৈর্য ধরে তাদের কথা শুনবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের চা দেব, বসার জায়গা দেব। তারা যা বলতে চায় আমি তা শুনব। দেখুন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
শনিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বোমা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘কিন্তু, যদি তারা বোমা নিক্ষেপ করে এবং ভাংচুর করে তবে তারা উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা,’ তিনি বলেছিলেন।
বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করতে চাইলেও পথে ব্যারিকেড না দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলামোটরের ব্যারিকেড পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের (বিএনপি) মিছিলে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তারা যেখানে খুশি সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে পারে।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন আ.লীগের প্রধান। তিনি বলেন, ‘এখন কে দল চালাচ্ছে? বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী দলের নেতা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি তা করছে। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির একজন নেতা দেশ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে বসবাস করছেন।
সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সারাদিন কথা বলার পরে, তারা অভিযোগ করে যে তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিন্তু তারা অভিযোগ করে যে তাদের মিছিলে জনগণকে অংশ নিতে দেয়া হয় না। ‘কেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লোকেরা অংশগ্রহণ করবে,’ তিনি প্রশ্ন করেন।