দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুইডেনের আর্থিক সহায়তায় জাতীয় সহনশীলতা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেফ প্লাস দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জ্বালানির জন্য এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবুজায়নের জন্য ক্যাম্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও শাকসবজি চাষ করা হচ্ছে। সেফ প্লাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ভাসানচরে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিমন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করলে রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এছাড়া সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে শরণার্থীদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন এবং রাখাইন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ এবং এ বি এম শফিকুল হায়দার।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমুলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট সোনার বাংলা গড়তে চাই আমরা। পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচে কাজ করতে চাই। সুতরাং স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ার যাত্রায় আপনারাও অংশীজন।’
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যে সারা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পেয়েছে, সেটির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, ‘আপনারাও এই কৃতিত্বের অংশীদার। আমি আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক, কার্যকর ও জনমুখী করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা ‘আর্লি ওয়ার্নিং ফর অল’নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানলাম। এটিকে গতিশীল করতে রোড ম্যাপ প্রণয়ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও প্রস্তাবনা নির্ধারণ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এর অন্যতম লক্ষ্য হলো- সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়া।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ড্রোন টেকনোলজি গ্রহণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সেগুলোকে আধুনিক ও সম্প্রসারিত করার জন্য আমরা আরও পরামর্শ সভা করব। মোট কথা আমরা সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অংশীদার হতে চাই। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এমনভাবে গড়ে উঠবে, যাতে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগঘটিত সব বাধা দূর হবে।’
মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা প্রতিরোধ করতে পারব না, সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা যেন সর্বনিম্ন থাকে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগের শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসমূহকে দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নয়নকে টেকসই করা। এর পাশাপাশি দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলাও আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সেরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুশীলন অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের
জাতিসংঘ মহাসচিবের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) মামি মিজুতোরি সোমবার বন্যা, সাইক্লোন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সেরা কিছু অনুশীলন ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ দুর্যোগ সংক্রান্ত আইন, দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে; যখন জাতি সফলভাবে অন্তর্ভুক্তিকরণ অনুশীলন করছে, বিশেষ করে দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন মামি মিজুতোরি।
মন্ত্রী জাতিসংঘকে ভূমিকম্প প্রস্তুতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এসআরএসজি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যমেয়াদী স্টকটেকিং অনুশীলনে সরকারের অবদানের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ড. মোমেনের কৃতজ্ঞতা
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’- শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সভাপতি তপন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলবো। জাপানের সহায়তায় ভূমিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে ভবনগুলো সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর ইতোমধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করবো, যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সেগুলোকে শক্তিশালি করা হবে। নতুন যে ভবনগুলো এখন থেকে তৈরি হবে এগুলো তৈরি হবে বিএমডিসি কোড অনুযায়ী।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, অবশ্য এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঐতিহ্য ঘোষণা করা ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি বলেও জানান তিনি।
একই সঙ্গে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন,সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করবো। ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপ সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামুলক ভাবে ৪০ টি বসিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আসন্ন বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সঙ্গে মঙ্গলবার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যারই ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।
তিনি বলেন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)'র নারী ক্ষমতায়ন উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে 'এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ এ ভূষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যারা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০ শতাংশ নারী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুরো দেশ জুড়ে আধুনিক আবহাওয়ার রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা রয়েছে। উপকূলে পাঁচ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন একই সঙ্গে করোনা মহামারিতে দেশের জনগণকে নগদ টাকা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিরও প্রশংসা করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সন্ধান, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়েও প্রশংসা করেন যুকরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য ইউএসএইডের এম ডি ক্যাথরিন স্টিভেন্স, রিজিওনাল রিফিউজি কোর্ডিনেটর ম্যাকেঞ্জি রোয়ে ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের সম্ভব্য ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি সম্পন্ন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামে জেলা ও উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম। মজুদ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। তিনি ইউএনবিকে বলেন, জেলার আওতাধীন প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দামপাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরবাসীকে ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জনান।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৬৩০৭৩৯ অথবা ০৩১-৬৩৩৬৪৯।
বুধবার মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রধান কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম বলেন, নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা। এসব এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং দামপাড়ায় চসিকের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
বন্যার্তদের সহায়তায় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
চলতি বছরের বন্যা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে উল্লেখ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সব ধরণের সহায়তা করার জন্য প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে ৬০টি ‘রেসকিউ বোট’ দিচ্ছে নৌবাহিনী
বাংলাদেশ নৌবাহিনী'র নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে ৬০টি ‘মাল্টিপারপাস অ্যাক্সিসিবল রেসকিউ বোট’ সরবরাহ করবে।