মোহাম্মদ হোসেন
দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগার স্থাপনের উদ্যোগ
⏺ পাওয়ার সেল বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করেছে
⏺ এটি বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
⏺ এটি বিদেশি পরীক্ষাগারের উপর নির্ভরতা কমাবে
সক্রিয় পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্বমানের পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সার্টিফিকেশন পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগার স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষা ও সার্টিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশে কোনো স্বীকৃত বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগার (লো, মিডিয়াম বা হাই ভোল্টেজ) নেই।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেলের পক্ষ থেকে নিযুক্ত একজন ইতালীয় পরামর্শক ইতোমধ্যে পরীক্ষাগারের সম্ভাব্যতা, প্রযুক্তিগত ও আর্থিক দিকগুলোর বিষয়ে খসড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘যদি কনসালট্যান্টের রিপোর্ট নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হিসেবে গ্রহণ করা হয়, আমরা আশা করি তবে বৈদ্যুতিক পরীক্ষার গবেষণাগার স্থাপনের বিষয়ে আমরা বাস্তব পদক্ষেপ নিতে পারব।’
তিনি বলেন, এই গবেষণাগার শুধু দেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কেনা সরঞ্জামের মান ও গুণমান নিশ্চিত করবে না, এটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে লাগতে পারে আরও এক বছর
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণাগার থেকে সীমিত সেবা পাচ্ছি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দরদাতার কাছ থেকে পরীক্ষার লিখিত রিপোর্ট পেতে আমাদের হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হয়, যার ফলে একটি প্রকল্পের সামগ্রিক ব্যয় বেড়ে যায়।’
এ সংক্রান্ত একটি সরকারি নথি থেকে জানা যায়, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে সবার কাছে মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে প্রশংসনীয় অর্জন হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।
ভিশন ২০৪১ অর্জনের জন্য, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের বিশাল সম্প্রসারণসহ বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ খাতের প্রবৃদ্ধির ফলে বেসরকারি খাতের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে ট্রান্সফরমার, ব্রেকার, সিটি/পিটি ও সুইচগিয়ার তৈরির জন্য উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে উৎসাহিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতের প্রবৃদ্ধির জন্য ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন ইউটিলিটি প্রয়োজন। যাতে সংশ্লিষ্ট সুইচগিয়ার, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম ও লাইন আইটেমসহ শত শত এবং হাজার হাজার পাওয়ার ও ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার সংগ্রহ করা হয়।
স্বীকৃত বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগারের অনুপস্থিতিতে বৈদ্যুতিক ইউটিলিটি ও বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোকে বিদেশি বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগারের প্রশংসাপত্রের উপর নির্ভর করতে হয়, যার জন্য তাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত
বিদেশি পরীক্ষাগারের উপর নির্ভরতা কমাতে তাই দেশে একটি স্বীকৃত উচ্চ ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগার প্রয়োজন।
অফিসিয়াল সূত্র জানায়, পাওয়ার সেল এখন বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) অর্থায়নে তার ইতালীয় পরামর্শকের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।
পরামর্শদাতার কাজের মধ্যে রয়েছে- একটি বিশ্বমানের বৈদ্যুতিক পণ্য পরীক্ষার গবেষণাগার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা। এ ছাড়া একটি স্বাধীন মিডিয়াম-ভোল্টেজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রস্তাবিত লো-ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরীক্ষার জন্য প্রস্তাবিত গবেষণাগার হিসেবে হাই-ভোল্টেজের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশংসাপত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নকশা করা।
এটি পণ্য, কাজ ও পরিষেবার মূল্য অনুমান, যন্ত্রপাতি ও পরীক্ষা এবং পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নসহ একটি বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।
এটি ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রশাসনিক ও আইনি নথিও প্রস্তুত করবে এবং বিদ্যুৎ বিভাগের অন্যান্য উপযোগীদের দ্বারা বিদ্যমান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরীক্ষার ল্যাবরেটরি সুবিধাগুলোও পর্যালোচনা করবে।
এ ছাড়া প্রযুক্তিগত, আর্থিক, ব্যবস্থাপনা ও মানবসম্পদ প্রভৃতি বিষয়গুলো বিদ্যমান ল্যাবরেটরি সুবিধাগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে আরও ২০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করবে সরকার
১ বছর আগে
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন চেয়ে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের নামে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় গত বছরের ১২ মে বিচারিক আদালত রায় দেন। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার তিনশ’ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
ওই মামলায় মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এক কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জরিমানা স্থগিত করেন।
আর ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন খারিজের পর মোহাম্মদ হোসেন হাইকোর্টে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
১ বছর আগে
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে বিচারিক আদালতের দেয়া এক কোটি ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে এম সরোয়ার হোসেন বলেন, এ মামলায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং দেড় কোটি টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইতোমধ্যে তার দশ বছর সাজা ভোগ শেষ হয়েছে। এখন জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হলো। এ প্রেক্ষিতে এ মামলায় তার কারামুক্তি পেতে কোন বাধা নেই। তবে ডেসটিনি ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না। তবে এ মামলায় তার জামিনের আবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল আমিন।
মামলা দুটির মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলাটির বিচার শেষ হয়েছে গত ১২ মে। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনসহ ৪৬ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, কোম্পানি প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে কারামুক্তি পান, অনেকে কারামুক্তির পথে। এছাড়া ৩৯ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
অন্যদিকে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি বিচারিক আদালতে এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির এমডি’র আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
২ বছর আগে
জামিন পাননি ডেসটিনির রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন
মানিলন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের কারাবন্দী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে