পাঁচ দিনেও চালু হয়নি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট।
রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংযোগ সড়কের মাথা ধসে তলিয়ে র্যামসহ পন্টুনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ কারণেই রবিবার থেকে ঘাটটি এখনো বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে স্বস্তির ঈদ যাত্রা
ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক বা ঘাট তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং র্যামসহ পন্টুনের দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি)।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএর তিন থেকে চারজন শ্রমিক ইটের আদলা বস্তা ভর্তি করে সংযোগ সড়কের মাথায় ফেলছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পন্টুন এক পাশে কাত হয়ে আছে। ফলে ঘাট দিয়ে কোনো যানবাহন পারাপার করা যাচ্ছে না। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরিতে গাড়ি উঠানামা করছে। দৌলতদিয়ার ৭টির মধ্যে মাত্র দুটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর দাবি, পন্টুনটি সরিয়ে ফেলা হলে তিন দিনের মধ্যে ঘাটটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা সম্ভব। বর্তমানে ৩ ও ৪ নম্বর এই দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে।
অপেক্ষমাণ ঢাকাগামী জামান পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগে যখন অনেক গাড়ির চাপ ছিল তখন সব সময় চার থেকে পাঁচটি ঘাট চালু থাকত। এখন আগের মতো গাড়ির চাপ না থাকলেও নিয়মিত অন্তত তিনটি ঘাট সচল থাকা দরকার। সেখানে মাত্র দুটি ঘাট সচল রয়েছে। যে কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ি নদী পাড়ি দিতে ঘাটে এসে অপেক্ষা করতে হয়।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী খোরশেদ মন্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিন রাতে ঘাট বন্ধ হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় আমরা বেকার বসে আছি। গাড়ি বা যাত্রী পারাপার না হওয়ায় কোনো দোকানে বেচাকেনা নেই। যে কারণে ঘাটের প্রায় ২০টি দোকানের সবাই বেকার বসে আছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৭ নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কসহ পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে ঘাটটি দ্রুত প্রস্তুত করে দিতে অনুরোধ করেছি। ঘাট প্রস্তুত হলেই যানবাহন পারাপার শুরু হবে। তবে আমাদের পন্টুন সরাতে কিছু সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ইটের আদলা ও বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে সংযোগ সড়ক অনেকটা প্রস্তুত করেছি। পন্টুনটি না সরানোর কারণে অবশিষ্ট কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি তাদের পন্টুনটি সরিয়ে ফেললে মাত্র তিন দিনের মধ্যে আমরা ঘাটটি প্রস্তুত করতে পারব।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ