শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত ফেরি ব্যবস্থা থাকায় ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা খুব ভালভাবেই করতে পেরেছি। আল্লাহর রহমতে সারাদেশের মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছে। স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে ঈদের সময়ে মানুষ বাড়ি যেতে পেরেছে। তাই ঢাকামুখো মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরতে দৌলদিয়া ঘাট ব্যবহারের অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে ঈদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিমুলিয়া ফেরি বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছিলাম পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করার জন্য। কারণ পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সীমিত ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু এতো সুন্দর রাস্তা ও পদ্মা সেতু দেখার লোভ থামানো যায় নি। এখানে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি গেছে এ রুটে। আমি আবারও অনুরোধ জানাবো শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত ফেরি ব্যবস্থা রয়েছে তাই দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করলে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
মানুষ ঘরে ফিরতে পেরেছে ভালোভাবে তবে কর্মক্ষেত্রে আসাটা কেমন হবে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, যাওয়ার মতো ফেরার পথেও একই ধরনের ব্যবস্থাপনা করেছি। আমাদের নজরদারিও আছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ দায়িত্বরত অন্যরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। ঈদের আগেই ঘরে ফেরা এবং ঢাকায় আসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি ফেরারটাও স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষ আসতে পারবে।
প্রতি ঈদে নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এবার এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মানুষ যতো সচেতন এধরনের ঘটনা কমে আসবে। মানুষ আরও সচেতন হচ্ছে। যারা এ কাজগুলোর দায়িত্ব পালন করেন তারাও আর দায়িত্ববান হচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগে মানুষ পেট ভরে খেতে পারত না। এখন মানুষ খাওয়ার মান নিয়ে চিন্তা করে। আমরা সে দিকে এগিয়ে যাচ্ছি৷ আশা করছি সামনে এধরনের দুর্ঘটনা আরো কমে যাবে। আসরা সেভাবেই দেশ পরিচালনা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
ঘূর্ণিঝড় অশানি নিয়ে নৌখাতের নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে-জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে, নির্দেশনাও দেয়া আছে। ১নং ২নং,৩নং সিগনালে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে এগুলো আমাদের বলা আছে। লঞ্চসহ সকল নৌযান এবিষয়ে জানে এবং আমরাও প্রচার করছি। বাংলাদেশে বৈশাখ জৈষ্ঠ্যমাসে কালবৈশাখী ঝড় হবেই৷ এগুলো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। এগুলো মেনেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে, এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি। রোজাকে সামনে রেখে অনেকেই ভীতিকর পরিস্থিতির কথা বলেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবং সরকারের পদক্ষেপের কারণে কোনো কিছু হয়নি। মানুষ ভালমত ঈদ ও নামাজ আদায় করতে পেরেছে৷ সার্বিকভাবেই মানুষ ভালোভাবেই ঈদ উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলেছে