ফরিদপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিন বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে রায় প্রদানের সময় আসামি হেলাল ও জেসমিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল ২০০৪ সালে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে জ্যেৎস্না বেগমকে নির্যাতন করতেন হেলাল ও জেসমিন। স্থানীয় সালিশে জ্যেৎস্নার ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক ফুরাডন (বিষ) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী হেলাল ও তার সতিন জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের কৌঁসুলি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, সন্তান হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড