গুলিবিদ্ধ
মুন্সীগঞ্জে তরুণীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সহিদা বেগম নামে এক তরুণীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দোগাছি এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ফাঁকা গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত, আটক ৩
সহিদা রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।
এদিকে ওই গৃহপরিচারিকার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পিবিআইয়ের বিশেষ টিম।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে ওই নারীকে এক যুবকের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন তারা। এ সময় কথা কাটাকাটিও হয় তাদের মধ্যে। এছাড়া লাশের পাশেই ছিলো একটি মোটরসাইকেল। এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করায় এক্সপ্রেসওয়েতে অপরাধ বাড়ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আনিছুর রহমান বলেন, সাহিদার মা জরিনা খাতুন মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে খুব কাছ থেকে সাহিদাকে গুলি করে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে ৫ বাংলাদেশি আটক
৩ সপ্তাহ আগে
গুলিবিদ্ধ সেই সাবেক যুবদল নেতার মৃত্যু
নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হওয়ার ২৩ দিন পর সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজ বাসভবন থেকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুল মজিদ নওগাঁ শহরের সাহাপুর এলাকায় বাসিন্দা। সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
এর আগে, গত ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন মজিদকে গুলি করে। সেই সময় মজিদের দুই ভাই কাবিল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তারাও জখম হন।
সেদিন থেকেই আব্দুল মজিদ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসচাপায় জামায়াত নেতার মৃত্যু
এ ঘটনায় মামলা হলে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২ নভেম্বর রাতে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আব্দুল মজিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গুলিবিদ্ধ আব্দুল মজিদকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিৎকিসা দেওয়ার লক্ষ্যে স্বজনেরা সোমবার তাকে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর গতকাল রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মজিদের মৃত্যু হয়।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা ১২টায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি আরিফ দেওয়ানসহ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এছাড়া প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে সাহাপুরে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
৩ সপ্তাহ আগে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
আশুলিয়ায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউসার হোসেন নামে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও দুইজন শ্রমিক।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার টঙ্গীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাউসার হোসেন টঙ্গিবাড়ির ম্যাংগো টেক্স লিমিটেডের সুইং অপারেটর এবং গুলিবিদ্ধ শ্রমিক রাসেল মিয়া ও নয়ন অন্য পোশাক কারখানার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদর সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
শ্রমিকরা জানায়, সকাল থেকে ম্যাংগো টেক্স লিমিটেডসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। দুপুরে কাউসার, রাসেল ও নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক কাউসারকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার এনামুল বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আহত দুই জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুড়লে তিন শ্রমিক আহত হয়।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল থেকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইলে সড়ক অবরোধ করে রাখে বার্ডস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এ ঘটনায় মহাসড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে আশুলিয়ায় ২১৯ কারখানা বন্ধ
নিরাপত্তার আশ্বাসের পরও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, ২২টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
২ মাস আগে
গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু, বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
এদিকে, সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই দায়ী সকলের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘ফ্যাসিজমের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘টু জিরো টু ফোর, ফ্যাসিজম নো মোর’ ও ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, ‘সাজিদের অবস্থা খারাপ ছিল। ছেলেটা আর আমাদের মাঝে নেই। ওর বাবা-মা এই শোক কীভাবে সামলাবে! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিন আলম সান বলেন, ‘আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। সাজিদের মৃত্যুতে জড়িত সকলের বিচার চাই। হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত জবিয়ানরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
এর আগে, গত ৪ আগস্ট ইকরামুল রাজধানীর মিরপুরে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
৪ মাস আগে
পাবনায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিলবের করেন। মিছিল শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ী নিহত
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদু ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬), ফাহিম (১৭) নামে তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৫০ জন ভাই আহত হয়েছেন। তাদের আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। এ সময় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিক ও তার লোকজন শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা পিছু হটলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা যুবলীগের ওই নেতার অফিস ভাংচুর করে। এছাড়াও তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এসময় ৫০ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে তিনজন মারা যায়। পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সাঈদ চেয়ারম্যানের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে শহরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক আলাদাভাবে হামলা চালান। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-গণঅবস্থান, মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ী নিহত
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. শহীদ (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পার্কভিউ হাসপাতালে ওই ব্যক্তি মারা যান।
নিহত মো. শহীদ স্থানীয় মুদি দোকানের ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের মিছিল থেকে বহদ্দারহাটে মেয়র রেজাউল করিমের বাসায় হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ-যুবলীগ এসে গুলি চালায়। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে গুলি চালায়। তবে কার গুলিতে শহীদের মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
পুলিশ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহীদকে উদ্ধার করে স্থানীয় পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়েই তিনি নিহত হয়েছেন। তবে কী ধরনের গুলিতে শহীদের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বহদ্দারহাটে পুলিশ কোনো গুলি ছুড়েনি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে। ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চলছে সহিংসতা, ঢামেকে ভর্তি ২০
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৪, থানা-দুই সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা
৪ মাস আগে
খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৭, চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
শুক্রবার(২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) অবস্থায় সাত জনসহ ১১ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত আরও অনেককে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ৫০, আ. লীগ কার্যালয়ে আগুন
এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত পুলিশের গাড়ি চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর সিরাজুল ইসলাম, আবির, নীরব, নাবিল, মিজান, সৌরভ, আবদুল্লাহ, রায়েব সুলতানা রাইবা এবং রুবিনা ইয়াসমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা গুলি লেগেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল শাহরিয়ার দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ অহেতুক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঠিক সংখ্যা পরে জানানো যাবে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা থানার গেটে কিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। এতে কেউ আহত হয়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। বহু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।আরও পড়ুন: রাজধানীতে গণমিছিল, সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাসের সামনে আন্দোলনরত চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ওই শিক্ষার্থীদের গুলি করে আহত করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা যখন রায় সাহেব বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তখন একটি গলি থেকে গুলি ছোড়া হয়, এতে চার শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফেরদৌস আহমেদ ও অনিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা কাদেরের
আহতদের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি জোনের এএসপি নজরুল বলেন, ‘গুলির খবর শুনেছি। কিন্তু আমরা দেখলাম মাত্র একটি দল মিছিল করছে। আমরা হামলাকারীকে দেখিনি।’
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আরিফ জানান, গুলিবিদ্ধ চার শিক্ষার্থীসহ আরও একজনক আহতকে হাসপাতালে আনা হয়।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
৫ মাস আগে
কুমিল্লায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্র নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭, অস্ত্র-গুলি জব্দ
কুমিল্লা শাসনগাছা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত ২টি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৪টি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
পুলিশ সুপার জানান, গোলাগুলিতে অর্ণব নিহত হওয়ার ঘটনায় তার মা ঝরনা বেগম ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকেই কুমিল্লার ভারত সীমান্তবর্তী পাঁচথুবী এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষের সময়ে মূল অস্ত্রধারী ফজলে রাব্বি, মো. সুমন, রাশেদ, কাউছার, খলিলুর রহমান, রিয়াজ ও সোলেমানকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন শুটারের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছে অপর শুটার। তাকে ধরতেও অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ
মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
৯ মাস আগে
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অর্ণব নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে সংঘর্ষে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ!
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ময়নামতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত অর্নব (৩০) স্থানীয় মো. আজহারের ছেলে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গোলাগুলি শুরু করলে অর্ণব নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
নিহত ব্যক্তি কোনো গ্রুপের সদস্য ছিলেন কি না তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
৯ মাস আগে