জামাত
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নিরাপদ আগমনের দাবি তাবলিগ জামাতের কিছু অনুসারীর
মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতারা বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উলামায়ে মাশায়েখ আয়োজিত ইসলামী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশই দাওয়াত ও জামাতে অংশ নেননি।
এক লিখিত বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, 'দাওয়াত ও তাবলিগ জামাতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তারা ইস্যু সৃষ্টি করে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মাদ্রাজের ছাত্র ছিল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির নির্বিঘ্ন উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে উলামা-মাশায়েখ আয়োজিত মঙ্গলবারের ইসলামিক সম্মেলন শেষ হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
বক্তারা সম্প্রতি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকানোর দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
২০১৮ সালে টঙ্গীতে সাদ সমর্থককে হত্যা ও চার শতাধিক অনুসারী আহত করার অভিযোগে জুবায়েরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
দাওয়াত তাবলিগকে বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব দাওয়াত কার্যক্রমের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং খ্যাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সরকার ও প্রশাসনের ব্যাপক সহায়তায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
তাদের দাবি, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তথাকথিত 'জুবায়েরপন্থী' তাবলিগের একটি স্বার্থান্বেষী দল দেশের কিছু উলামাকে বিভ্রান্ত করে এবং তরুণ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে।
নেতারা আরও বলেন, মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে অসংখ্য মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
তবে তারা জানান, গত ৩ নভেম্বর জাতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের আলেমদের ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে জুবায়ের সমর্থক, কিছু অদূরদর্শী আলেম সমঝোতায় না এসে তাবলিগ ও বিশ্ব ইজতেমা ইস্যুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন এবং পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য মরিয়া হয়ে অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছেন।
দারুল উলুম দেওবন্দের মুখপাত্র মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী হাফিজুল্লাহ বলেন, ‘তাবলিগের দুই পক্ষই ঠিক। উভয় পক্ষের দারুল উলুম দেওবন্দ এবং উভয় পক্ষই দারুল উলুম দেওবন্দের অন্তর্গত। দূরত্ব কমান।’
পাকিস্তানের শায়খুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানীও কিছুদিন আগে বলেছিলেন, 'তাবলিগের দুই পক্ষই আমাদের ভাই। ঠিক যেমন হানাফী ও শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীরা। যে কেউ যাকে খুশি তাকে নিয়ে কাজ করতে পারে। এর আগে তিনি দুইবার বাংলাদেশের আলেমদের সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।’
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ৫৭ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বৈশ্বিক দাওয়া সংগঠন বা বিশ্ব ইজতেমা।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন: জামাত সকাল ৯টায়
২ সপ্তাহ আগে
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটের শাহী ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপন
জামাতে ইমামতি ও পরে দোয়া পরিচালনা করেন নগরের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি আবু হোরায়রা নোমান।
রবিবার ভোর ৪টা থেকে সিলেটে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৮টা পর্যন্ত চলা এ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মহানগরের অনেক এলাকা। রাস্তাঘাট ডুবে পানি ঢুকেছে অনেকেরই বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
এ অবস্থায় শাহী ঈদগাহে মুসল্লির উপস্থিতি ছিল অনেক কম। বেশিরভাগ মুসল্লি বাসার পাশের মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেছেন।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট রোড তলিয়ে গেছে। অনেক সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি।
এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জলাবদ্ধ এলাকাগুলোর মানুষগুলো। অনেকেই ঈদের জামাতে যেতে পারেননি।
অবশ্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল, ঈদের দিন সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা ও ত্রাণ পাঠিয়ে এশিয়াজুড়ে মুসলিমদের ঈদুল আজহা উদযাপন
৫ মাস আগে
কুমিল্লায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত জামায়াতের ইমামতি করেন কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম ক্বাদেরী।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
এসময় জামাতে অংশ নেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা ও ত্রাণ পাঠিয়ে এশিয়াজুড়ে মুসলিমদের ঈদুল আজহা উদযাপন
৫ মাস আগে
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন: জামাত সকাল ৯টায়
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ঈদুল আজহার জামাত নির্বিঘ্নে করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, ঈদগাহ কমিটির কর্মকর্তাদের তৎপরতা ও দিন-রাতের পরিশ্রমে নামাজের উপযোগী হয়ে উঠছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। এ মাঠে একসঙ্গে এক লাখের বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা ও টয়লেট। চলছে শোভাবর্ধনের কাজও।
তাছাড়া মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি, মেডিক্যাল টিম, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে এরই মধ্যে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দুটি মুসল্লি নিয়ে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে এসে নামাজের শেষে আবার ফিরে যাবে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জামাতের মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যেন মুসল্লিরা নিরাপদে জামাতে এসে নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারেন। জামাতে শুধু টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া কিছুই বহন করা যাবে না।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবারও অন্যান্য বারের চেয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাঠসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, নামাজের সময় ২ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব. আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এছাড়াও মাঠসহ প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। আর আকাশে উড়বে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। এর ফলে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। সে বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশ নেন বলে মাঠের নাম হয় “সোয়া লাখি মাঠ”। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে পরিণত হয়ে নাম হয়েছে আজকের শোলাকিয়া মাঠে। মাঠে একসঙ্গে দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে নামাজের ২৬৫টি কাতার রয়েছে। এবার এ মাঠে ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায়
পদ্মায় গোসলে নেমে তাবলিগ জামাতের সদস্যের মৃত্যু
৫ মাস আগে
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
আনুমানিক ৬ লাখ মুসল্লি কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ১০টায় এ ময়দানে ১৯৭তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে।
এদিকে চার স্তরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সকাল ৯টার আগেই ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান।
এ ঈদ জামাত পরিচালনা করেন স্থানীয় বড় বাজার মসজিদের ইমাম শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।
নামাজ শেষে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্মরণকালের বৃহত্তম এবারের ঈদ জামাতে আনুমানিক ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।’
রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে তিনবার বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে নামাজ শুরুর প্রস্তুতি নিতে সংকেত দেওয়া হয় এবং জামাত ও খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
ঈদ জামাতে দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া সব কিছু বহন এবং শহরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মুসল্লিদের সহায়তার জন্য মাঠে বিপুল স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করে।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবার চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নামাজের সময় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এছাড়া ময়দানে প্রবেশপথগুলোতে ছিল সিসি ক্যামেরা ও ৬ টি ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া আকাশে উড়েছে পুলিশের ৪টি ড্রোন ক্যামেরা। ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সনে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।
ওই বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ‘শোলাকিয়া মাঠে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে ২৬৫টি কাতার রয়েছে।
৭ মাস আগে
দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে একসঙ্গে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
৬ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঈদের এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও এই জামাতে এবার অংশ নিয়েছেন দূর-দূরান্তের মুসল্লিরা এবং তাদের জন্য চলাচল করেছে দুইটি বিশেষ ট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহন।
এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী।
নামাজ শেষে দেশ ও দেশের মানুষসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নামাজে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ স্থানীয়সহ আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে আসা মুসল্লিরা।
২৩ একর আয়তনবিশিষ্ট এই ঈদগাহে বৃহৎ পরিসরে ঈদের জামাত শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে।
৭ মাস আগে
বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামাত চেষ্টা করেছে ভোটকে ঘিরে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হওয়া উৎসাহ-উদ্দীপনাকে ম্লান করার জন্য। কিন্তু তাদের অপচেষ্টা ছাপিয়ে ভোট মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটের এই উৎসব আজ সারা বাংলাদেশে হচ্ছে এবং অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার আমেজের মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম ৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোটকে ঘিরে বিএনপির অপতৎপরতা ও অপচেষ্টাগুলো মানুষের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার এ উৎসবের মধ্যে ঢাকা পড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ও আশা করি, আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে বিজয় হবে। পরপর চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
হাছান বলেন, অনেক জায়গায় সকাল ৮টার আগে থেকে মানুষ লাইন ধরেছিল। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। এটি শুধু আমার নির্বাচনি এলাকায় নয়, সমগ্র দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামাতের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি তাদের কানে পৌঁছায় না?
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।’
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’র আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনজীবী খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোলবোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেনি, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরোনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
শোলাকিয়ায় এ বছরও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নেন।
ঈদের নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন ঈদগাহে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার আগেই ঈদগাহ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
এ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথা অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে গান স্যালুট দেওয়া হয়। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ও শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে।
আরও পড়ুন: বর্ষার বৃষ্টির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈদুল আজহা উদযাপন
১ বছর আগে
মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহে নির্বিঘ্নে জামাত আদায় হয়েছে: মেয়র তাপস
সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে বলেই ভোর হতে মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ সময় প্রথম দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও ডিএসসিসি মেয়র জানান।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘এই জাতীয় ঈদগাহ সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেজন্য ভোর থেকে তুমুল বৃষ্টি, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেও (ঈদের জামাত আদায়ে) কোনোরকম কোনো অসুবিধা হয়নি। সকল মুসল্লি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরেছে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি এবং আল্লাহর রহমতে আজকে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।’
ভবিষ্যতেও প্রতিকূল আবহাওয়া কথা মাথায় রেখে ঈদের জামাতের প্রস্তুতি রাখা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ স্বার্থে সক্ষম হয়েছি। বৃষ্টির কারণে অনেকে সমবেত হতে পারেননি। তারপরও যারা এসেছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। ভবিষ্যতেও আমরা এভাবেই প্রস্তুতি রাখব, যাতে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে ইনশাল্লাহ কোনো অসুবিধা না হয়।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
গতবারের চাইতে এবার বর্জ্য অপসারণে আরও বেশি সুফল দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, ‘কোরবানির ঈদ তথা ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে কোবরানির পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে আমাদের দুই সিটির ব্যাপক কর্মযজ্ঞ থাকে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের প্রায় সাড়ে তিনশর ওপর যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত আছে। বিভিন্ন বহির্বিভাগ থেকেও গাড়ি এবং যান-যন্ত্রপাতি এনেছি। প্রায় ১০ হাজার জনবল নিয়োজিত থাকবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে। আমরা আশাবাদী গতবারের ন্যায় এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। গতবারও যেভাবে সফল হয়েছি ইনশাআল্লাহ এবারও নির্ধারিত সমেয়ের মধ্যেই এই বর্জ্য অপসারণ করতে পারব, ঢাকাবাসীকে আরও বেশি সুফল দিতে পারব।’
শেখ তাপস এ সময় দুই দিনের মধ্যেই যেন পশু জবাইয়ের কাজ শেষ করা হয় এবং কোনোভাবেই যেন তৃতীয় দিন পর্যন্ত এটা না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সবার কাছে অনুরোধ করেন।
এ সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেও আসতে পেরেছি। আগে যেমন বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আটকে যেতাম। (কিন্তু আজকে) উত্তরা থেকে আসার সময় দেখেছি, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে রাস্তায় সে পরিমাণ জলজট হলেও পানি নেমে গেছে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করতে মেয়র তাপসের আহ্বান
যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘তাড়াতাড়ি বর্জ্য অপসারণ করতে এলাকাবাসীর সাহায্য দরকার। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যত্রতত্র যেন ময়লা না ফেলেন। আমরা প্রত্যেককে পলি দিয়েছি। বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেবেন। আমাদের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকদের সাহায্য করার অনুরোধ করছি।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘কোরবানি দিয়ে অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন। বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, যেসব পাত্রে পানি জমে তা উল্টে রেখে বাড়িতে যাবেন। এটা সবার জন্য সহায়ক হবে। অবশ্যই ছাদে যে পাত্র আছে -- যাতে বৃষ্টির পানি জমতে পারে- তা উল্টে যাবেন। আমাদের সব কর্মকর্তা মাঠে থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আপনারা সহযোগীতা চাইলে আমরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নিবো।’
প্রধান ঈদ জামাতে প্রধান বিচারপতি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ডিএসসিসি মেয়রের দুই সন্তান শেখ ফজলে নাওয়াল ও শেখ ফজলে নাশওয়ান অংশ নেন।
প্রধান ঈদ জামাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতিসহ উপস্থিত সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে