কমনওয়েলথ
বিএসএমএ-কমনওয়েলথের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভা
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সম্ভাবনাময় বাজারে বাংলাদেশের ইস্পাত রপ্তানি বাড়াতে স্টিলখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ অ্যানুয়াল সামিটে বাংলাদেশের স্টিল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার প্রক্ষিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
এফবিসিসিআইর গুলশানে অফিসে (আকাশ টাওয়ার) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন, স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি জেনারেল ড. সুমন চৌধুরীসহ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমান গড় মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার হয় ৪৮ কেজি।
তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বেশিভাগই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অবকাঠামোতে প্রয়োজনীয় স্টিল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করে ডলারের উপর চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব। স্টিল ম্যানুফ্যাকচারারদের শুধু গুণগত মান খেয়াল রাখতে হবে।
আলোচনায় ড. সুমন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এটি সর্বমোট ২০ মিলিয়ন টন হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের পরে বাংলাদেশে অবকাঠামো, নির্মাণ কাজ দ্রুত বাড়তে থাকলে ইস্পাতের চাহিদাও একই হারে বাড়ে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশের অনেক বড় বড় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ সময়, লৌহ ও লৌহজাত পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকাত চান ব্যবসায়ীরা।
এরমধ্যে রয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে লৌহ ও লৌহজাত পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আংশিক বন্ড সুবিধা, নগদ সহায়তাসহ রপ্তানি অন্যান্য সহযোগিতা, রপ্তানিমুখী ইস্পাত কারখানায় জ্বালানি মূল্যে সুযোগ-সুবিধা, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতকরণসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন নুরানী, মেট্রোসেম ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক শুনিল কুমার অধিকারীসহ ইস্পাত শিল্পের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল ও সার আমদানির অনুমোদন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির
জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ২ কমিটির সদস্য নির্বাচিত
বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে ২০২২-২০২৪ মেয়াদের জন্য কমনওয়েলথ বোর্ড অব গভর্নরদের নির্বাহী কমিটির (এক্সকো) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এই কার্যনির্বাহী কমিটিতের সদস্য সংখ্যা ১৬। যার আটটি সর্বোচ্চ অবদানকারী সদস্য রাষ্ট্র। বাকি আটটি সদস্য রাষ্ট্র নির্বাচন করা হয় ভিন্ন চারটি অঞ্চল থেকে।
শুক্রবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, এশিয়া-ইউরোপ অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ কার্যনির্বাহী কমিটির (ইসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এই কমিটিকে বাধ্যতামূলকভাবে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের অর্থ, মানবসম্পদ এবং প্রশাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলো তদারকি করতে হয়। কমিটি কমনওয়েলথের জন্য নীতিগত সুপারিশও করে থাকে।
এছাড়াও বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে ২০২২-২০২৩ মেয়াদের জন্য কমনওয়েলথ অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সদস্যও নির্বাচিত হয়েছে। এই কমিটি কমনওয়েলথ সচিবালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির (এক্সকো) একটি উপ-কমিটি হিসেবে কাজ করে। যা আট সদস্য নিয়ে গঠিত। এই কমিটির অন্যান্য সদস্য হল- অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, ঘানা, গ্রেনাডা ও ফিজি। এ কমিটি কমনওয়েলথের নতুন ও অনুমোদিত সংস্থার সদস্যপদ যাচাই করে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিটিতে নির্বাচিত বাংলাদেশ
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কার্যনির্বাহী ও অ্যাক্রিডিটেশন কমিটিতে বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হওয়া কমনওয়েলথের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার, অবদান ও নেতৃত্বের প্রতিফলন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে কমনওয়েলথে সদস্যপদ লাভ করেছিল বাংলাদেশ।
উভয় কমিটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও কমনওয়েলথ বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য সাইদা মুনা তাসনিম।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা নিরসনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ও কমনওয়েলথ এর সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে অনুঘটক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার কপ-২৬ এর কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়ানে জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বে সিভিএফ-কমনওয়েলথ এর উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ও আন্তসীমান্তীয় বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর গুরুতর প্রভাব থেকে কোনো দেশই সুরক্ষিত নয়।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কমনওয়েলথ এর সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও অবদানের ইতিহাস সুদীর্ঘ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিভিএফের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্য কমনওয়েলথ এরও সদস্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সিভিএফ ও কমনওয়েলথ এর সদস্যরা অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: স্কটল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সমস্যা নিরসনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কমনওয়েলথকে অনুন্নত দেশের দারিদ্র্যতা এবং জলবায়ুগত দূর্বলতা কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এশীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ প্রধানের সাথে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে তিনি বলনে, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উন্নত ভবিষ্যৎ এর জন্য স্থায়ী এবং প্রাকৃতি সমাধান নির্ণয়ে কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
আরও পড়ুন: ইসরায়েল সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুইন দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স অফ ওয়েলস চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ এই গোলটেবিল বৈঠকের আহ্বান করেন।
শেখ হাসিনা কমনওয়েলথের সদস্য এবং সিভিএফের সভাপতি হিসেবে সিওপি২৬ এর জন্য তিনটি পদক্ষেপ প্রস্তাব করেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী বনায়ন বা বৃক্ষরোপণ এবং স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রচার এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার জন্য বিনিয়োগের ব্যবস্থা।
অন্য দুটি পদক্ষেপ হলো- ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে কার্বন নিঃসরণ মাত্রা কমিয়ে প্রাকৃতিক প্রযুক্তির ওপর জোড় দেওয়া এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর মাঝে জ্ঞান এবং প্রযুক্তির স্থানান্তর ও জলবায়ুগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্থিক সাহায্য পায় সে ব্যাপারে সাহায্য করা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর অভিযোজন এবং জলবায়ুগত স্থিতিস্থাপক্তার জন্য আমাদের সম্পদ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থের উন্নতিকল্পে এবং আঞ্চলিকভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে এবং নদী ভাঙন ও অন্যান্য ক্ষতিকর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যারা গৃহহীন হয়েছেন তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারেটি ইনেসিয়েটিভ’গ্রহণ করেছে।
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে কমনওয়েলথকে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সোমবার বলেছেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে কমনওয়েলথকে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, `বিশ্বায়নের যুগে মানবজাতি অনেকগুলো উদীয়মান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কোভিড পরবর্তী নিওনরমাল পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা, নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমনওয়েলথকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সাথে নিয়ে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে৷ যে সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাদেরকে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত প্রয়োজন।’
ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন, ইয়ুথ পলিসি এবং ডেইলি স্টারের উদ্যোগে 'রিডিসকভারিং কমনওয়েলথ ফর ডেলিভারিং এ কমন ফিউচার' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান প্যানেলিস্ট হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:সংসদ প্রাঙ্গণে 'পিতা' প্রদর্শনীর আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ: স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, `সদস্য দেশগুলোর কল্যাণের জন্য সাধারণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে কমনওয়েলথ বৈশ্বিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের দিকে কমনওয়েলথকে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
স্পিকার বলেন, `বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথ সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৫ এর মে মাসে জ্যামাইকার কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশগুলোর মাঝে অর্থনৈতিক অসমতা নিরসনে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনে কমনওয়েলথ কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর সমষ্টিগত শক্তিকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।’
আরও পড়ুন:ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্পিকার
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সবুজ ও নিরাপদ পৃথিবী বিনির্মানে গুরুত্বারোপ করেন। তার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে জাতি উন্নীত হয়েছে। কোভিডকালীন সময়ে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও দুরদর্শিতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন যা অনুকরণীয়।
স্পিকার বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে থাকে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ২০১৪ সালে তিন বছরের জন্য সিপিএ নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল যা ছিল অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও অনন্য অভিজ্ঞতা। কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং কমনওয়েলথ বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের গৃহ দেয়া মানবাধিকারের অনন্য মাইলফলক: স্পিকার
ওয়েবিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, অধ্যাপক সালিমুল হক, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন। এ সময় ওয়েবিনারে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
কমনওয়েলথের অনুপ্রেরণাদায়ী ৩ নারী নেতার একজন শেখ হাসিনা
কমনওয়েলভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নারী নেতার একজন নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দায়মুক্তি অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সম্ভাবনা কম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের অস্বীকৃতি, বিচারহীনতা এবং ভূ-রাজনৈতিক তুষ্টি অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
করোনা পরবর্তী টেকসই পুনরুদ্ধারে কমনওয়েলথের সহায়তা চায় ঢাকা
কানেকটিভিটি ও সমিল্লিত উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা পরবর্তীতে টেকসই পুনরুদ্ধারে কমনওয়েলথের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঢাকায় হবে কমনওয়েলথ বিটুবি সম্মেলন
ঢাকা, ১২ অক্টোবর (ইউএনবি)- মুজিব বর্ষ চলাকালে ২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ কমনওয়েলথ বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) কানেকটিভিটি সম্মেলনের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।