বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে ববির শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া, মঙ্গলবার (১৩) দুপুর ২ টার মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে পুরো দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চলমান একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। ২৮ দিন ধরে চলমান এই আন্দোলনের কোনো পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অথচ শেষ মুহূর্তে এসে ফেসবুক লাইভে আসছেন। আমাদের স্পষ্ট কথা, তার মত ফ্যাসিস্ট উপাচার্য আমরা চাই না।’
আরও পড়ুন: ভিসি অপসারণের দাবিতে ববিতে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মেনে নিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেব।’
আরেক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত আমাদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’
এদিকে, সোমবার শিক্ষার্থীদের ডাকা একাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনে ববিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগে পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়নি।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও একাংশ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়াও চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মশাল মিছিল ও অবরোধ, উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগানো, সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
২০৬ দিন আগে
ভিসি অপসারণের দাবিতে টানা তৃতীয় দিন ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রতিবাদী গানের পাশাপাশি ভিসি-বিরোধী বক্তব্য দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি পূরণে ব্যর্থতা, চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীকে অর্থ সহায়তা না দেওয়া, ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদের দোসরদের লালন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন উন্নয়নখাতে দুর্নীতির অভিযোগে ভিসির অপসারণ দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম এই উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দালন চলবে।
আরও পড়ুন: ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
দাবি না মানা হলে ভিসির বাসভবনে তালা দেওয়াসহ বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং রাজধানীর সঙ্গে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, সোমবার (৫ মে) ভিসি ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ববির শিক্ষার্থীরা।
সে সময় তারা জানান, আগে ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও উপাচার্য তা মানেননি। বরং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের চেষ্টা করেছেন। এ কারণে বর্তমানে ভিসির অপসারণই তাদের একমাত্র দাবি।
২১১ দিন আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আধা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবি জানিয়েছে এবং এটি পূরণ না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২টি দাবি বাস্তবায়ন না করা, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় তার অপসারণ দাবি করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ছয় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় ববি প্রশাসন মামলা কোনো মামলা করেনি অথচ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করেছেন বর্তমান উপাচার্য। তিনি ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুনর্বাসন করছেন। এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অংশিজন শিক্ষার্থীদের দাবির কথা তিনি আমলে নিচ্ছেন না।’
আরও পড়ুন: ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনরত ববি শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তার আবেদন করেও তা পায়নি। মাসের মাস সময় আবেদনের কপি দপ্তরে পড়ে থাকলে সই করেননি উপাচার্য। অবশেষে সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যু ঘটেছে জিমির। আমরা তার সহপাঠী হয়েও কিছুই করতে পারলাম না। এমন অমানবিক উপাচার্য আমরা চাই না।’
আশিক আহমেদ বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ অদক্ষ এই উপাচার্য দায়িত্ব পালনের অধিকার হারিয়েছেন। তাই তিনি দ্রুত পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চলে যাবেন। তা না করলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। ববির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সচল রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন দাবিতে গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান আন্দোলনের গত রবিবার উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। এ আন্দোলনে ববি সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।
২১২ দিন আগে
ববি উপাচার্যের অপসারণে এক দফার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে এক দফা আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৪ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২টি দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণ দাবি করেন।
অবিলম্বে উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল শাটডাউন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চলমান আন্দোলন ও সার্বিক বিষয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান। শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে এক দফার ঘোষণা দেয়।
এ ছাড়াও ক্যান্সার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তা চেয়েও না পেয়ে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা তুলে তীব্র প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এক দফার আন্দোলনে ববির সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: অপসারণ দাবিতে ববির রেজিস্ট্রারের কক্ষে তালা, কুশপুতুল দাহ
শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু ৬ মাস কেটে গেলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। অথচ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে আওয়ামী কায়দায় একের পর এক মামলা দিচ্ছে ববি প্রশাসন। এসব কারণে উপাচার্য তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।’
শিক্ষার্থী সুজয় শুভ আরও বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন করে চলেছেন। পাশাপাশি যারা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক আন্দোলনে করে আসছেন তাদের কারও কথায় কর্ণপাত করেননি তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীর সাহায্যের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত করেন। কিন্তু পাঁচ মাসে উপাচার্যের সই মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণতান্ত্রিক পরিষদে ওনার মতো স্বৈরাচারী লোক থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। যদি অবিলম্বে এ স্বৈরাচার উপাচার্যকে অপসারণ না করা হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ শাটডাউন করে দেওয়া হবে। এখানে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় চলমান এ বিষয় নিয়ে উপাচার্য তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বসার কথা বলেন।
২১৪ দিন আগে
অপসারণ দাবিতে ববির রেজিস্ট্রারের কক্ষে তালা, কুশপুতুল দাহ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা রেজিস্ট্রারের কুশপুতুল পুড়িয়ে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে কক্ষে তালা দেওয়ার সময় রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, রেজিস্ট্রারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষের তালা খোলা হবে না। এছাড়া ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহালের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, ‘রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তালা খুলব না। রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধীতাকারীদের মধ্যে অন্যতম।’
আরও পড়ুন: ববিতে ছাত্রলীগের নেত্রীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল
এ সময় ববি উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষকদের পুনর্বাসন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক কমিটিতে বসানোর অভিযোগ তোলেন আন্দোলনরতরা। ওইসব শিক্ষকদের ববির লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণসহ তাদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্যের অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় গত ১৩ এপ্রিল অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনকে আইন ভেঙে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, রেজিস্ট্রার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুলের ইসলামের নানা অপকর্মের পরও তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে স্বপদে বহাল রেখেছেন উপাচার্য।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এসব কর্মকাণ্ড জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বিজয় অর্জন করা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেনে নেওয়া হবে না। এছাড়া, অবিলম্বে অধ্যাপক মুহসিননের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাকে পুনর্বহাল করতে হবে। সেটি করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
২২১ দিন আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে ২ শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের তিনটি কক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র দুই শতাধিক জিআই পাইপ, ১৩টি রড, দু’টি দা উদ্ধার করেছে হল কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৩ জুন) বিকালে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকালে হলটির ২০০৬, ৩০০৫ এবং ৫০০৯ নম্বর কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া। বিষয়টি তিনি ওই দিন রাত ১০টার দিকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, কক্ষগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদ জামান নাভিদ এবং একই বর্ষের ইংরেজি বিভাগের তানজিম মঞ্জুসহ তাদের অনুসারীরা অবস্থান করে থাকেন। অভিযানকালে কক্ষগুলো থেকে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রুম্মান ইসলাম জানান, হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাভিদ, মঞ্জু এবং আরও কয়েকজনকে শুক্রবার গভীর রাতে হলে অস্ত্র ঢুকাতে দেখে। পরে শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ২০০৬ নম্বর কক্ষে তালা লাগিয়ে প্রভোস্টকে খবর দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি টের পেয়ে কক্ষটিতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা জানালা দিয়ে দুইটি দা নিচে ফেলে দেয়। পরে প্রভোস্ট এসে তালা খুলে এই কক্ষ থেকে দুই বস্তাবন্দী ২৫টি জিআই পাইপ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও তিনজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ২০০৬ নম্বর কক্ষে অভিযান পরিচালনা করার পর ৩০০৫ এবং ৫০০৯ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়। সেই কক্ষ দুইটি থেকে দেড় শতাধিক জিআই পাইপ, বেশকিছু রড উদ্ধার করা হয়। এসব কক্ষগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নাভিদ এবং মঞ্জু নিয়ন্ত্রণ করতো।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
সন্ধ্যায় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ইরাজ রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা নানাভাবে গড়িমসি করেছে। আমরা চাই বিশ্বিবদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখতে এবং সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, বিকালে একটি কক্ষ তালা দেবার খবর পেয়ে দ্রুত আমি হলে যাই এবং শিক্ষার্থীদের সামনে ২০০৬ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করি। সেখান থেকে ২৫ টি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। কক্ষটিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিদ মনজু, তাহমিদ জামান নাভিদ থাকে৷
তিনি আরও বলেন, এরপর আরও দুটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে কিছু রড, দা ও জিআই পাইপ পাওয়া গেছে। দাগুলো আগে আনা ছিল হয়তো।
এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার পর কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
৯১৫ দিন আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকেরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত ও জিএম ফাহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী হলের আবাসিক ছাত্র জিয়া বলেন, ফজরের আযানের পর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি হেলমেট পরে হলে প্রবেশ করে। এরপর তারা সব রুম বাইরে থেকে আটকে দেয়। পরে তারা ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতকে রুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে হাতুড়ি পেটা করে এবং জিএম ফাহাদের হাত ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি তাকে কুপিয়ে জখম করেছে। এরপর আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল (শেবামেক) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত জিএম ফাহাদ বলেন, হামলাকারীরা সকলেই হেলমেটধারী ছিল। তবুও তাদের সনাক্ত করতে পেরেছি। হামলাকারী আলীম সালেহী, অমিত হাসান রক্তিম, রিয়াজ মোল্লা, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও বাকিকে সনাক্ত করতে পেরেছি। এরা সকলেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লা বলেন, সিফাতের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা সিফাতের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে তাকে প্রতিহত করেছে বলে আমার ধারণা।
আরও পড়ুন: কালিয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
এছাড়া সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। বহু মানুষ তার ওপর ক্ষিপ্ত। এখন মূলত কারা তার ওপর হামলা করেছে সেটা বলতে পারবো না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতের নানা অপকর্ম নিয়ে অতিষ্ঠ ছিল শিক্ষার্থী ও তার গ্রুপেরই ছাত্রলীগের কর্মীরা। আর শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঞ্চারিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই হামলা। কেননা সিফাতের ওপর হামলায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে আলীম সালেহী, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও রিয়াজ মোল্লা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী। পাশাপাশি অমিত হাসান রক্তিম পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখ শামীমের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়া আধিপত্য বিস্তারের একটি বিষয় রয়েছে এখানে।
এদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত সিফাতের শরীরে ফোলা জখম রয়েছে এবং ফরহাদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়াসহ তার হাতও ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সুস্থ হলে আরও ভালোভাবে মূল ঘটনা জানতে পারবো। হামলাকারী কারা সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি আহতরা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর বলেন, ম্যাথম্যাটিক্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র সিফাতও লোকপ্রশাসন ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র ফাহাদের ওপর অতর্কিত হামলায় তারা গুরুত্বর আহত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছে।
আরও পড়ুন: ফাইনাল উপলক্ষে পিকনিক, আর্জেন্টাইন সমর্থককে কুপিয়ে জখম
১০৪৫ দিন আগে
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সহপাঠীর অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের এ অবরোধের কারণে এরই মধ্যে মহাসড়কের দুইপ্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার মাধবপুরে সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থী আবু মাসুম বলেন, কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু আইনগত কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তারা প্রতিবারই পার পেয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা ঘাতক চালকসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট যাদের গাফিলতিতে এ দুর্ঘটনা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন: বরিশালে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
১১২২ দিন আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসে। সেইসঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠন হয়নি। যে যার মতো করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলাদা আলাদা কর্মসূচিও পালন করে আসছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রায়ই বিবাদে জড়ায় পক্ষগুলো। এর ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসেও আলাদা কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় তারা। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নীচতলায় রক্তিম-ইভান এবং সিফাত-রিদম ছাত্রলীগের আলাদা দুটি গ্রুপ বিবাদে জড়ায়। যা কথা থেকে হাতাহাতি ও মারামারি পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থক সিফাত ও স্থানীয় সাংসদ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখের অনুসারী রক্তিম দুটি গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মো. খোরশেদ আলম বলেন, কর্মসূচি পালন নিয়ে মারামারি নয়, তবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো। তখন আমাদের এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুইগ্রুপকে দু’দিকে বিভক্ত করে দেয়া হয়।
বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাস পর ভিসি পেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৫৮ দিন আগে
পরীক্ষা স্থগিত: রাজশাহী, বরিশাল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
১৭৪৩ দিন আগে