অ্যামাজন
আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে অ্যামাজন
অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন খরচ বাঁচাতে আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছে।
বিশ্বব্যাপী ১৫ লাখ কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ক্লাউড কম্পিউটিং ও বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ছাঁটাই কমবে।
এতে কোন কোন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা না বললেও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উক্ত পদগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যান্ডি জেসি বলেছেন যে এটি একটি ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’, তবে এতে দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির জন্য সেরাটাই হবে।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় রোবোট্যাক্সির সফল পরীক্ষা চালাল অ্যামাজনের জুক্স
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে যে কোম্পানিটি ইতোমধ্যে জানুয়ারিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে।
জেসি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যামাজনের ব্যবসার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘ভূমিকা’ যোগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যাইহোক, আমরা যে অনিশ্চিত অর্থনীতিতে বাস করি এবং নিকট ভবিষ্যতে বিদ্যমান অনিশ্চয়তার কারণে আমরা আমাদের ব্যয় ও হেডকাউন্টে আরও সুশৃঙ্খল হতে বেঁছে নিয়েছি।’
অনেক প্রযুক্তি জায়ান্টের মতো অ্যামাজনও মহামারির সময় বিক্রয় বৃদ্ধি দেখেছে। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের কারণে ভোক্তারা কম ব্যয় করায় সম্প্রতি এর বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
১ বছর আগে
অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
বাংলাদেশি নির্মাতা আহমেদ তাহসিন শামস নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দেহস্টেশান’ মুক্তি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ওটিটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে। জুলাই থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের জন্য মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
নির্মাতা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের দর্শকদের জন্যও উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।
সামাজিক বিয়োগাত্মক ঘরানার চলচ্চিত্রটিতে একজন যৌনকর্মী ও তার সন্তানের জীবন সংগ্রাম ও সমাজ বাস্তবতায় তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যাত্রার পরিণতির চিত্রও ফুটে উঠেছে।
চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী মৌমিতা মিত্র। আরও রয়েছেন বাংলাদেশের শাহাদাত হোসাইন, প্রয়াত এস এম মোহসিন, হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল, আহমেদ রানা, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ফারহানা ইভা, সৈকত সিদ্দিকি প্রমুখ।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না পেলেও চলচ্চিত্রটির গান ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ইউটিউবে। চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, তানজির তুহিন, শামায়লা বেহরোজ রহমান, নশিন শর্মিলি। সংগীত পরিচালনা করেছেন নীল কামরুল।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা আহমেদ তাহসিন শামস বলেন, নীরিক্ষাধর্মী সিনেমাটি গল্প, চরিত্রায়ণ ও অভিনয়শিল্পীদের সংলাপে চরিত্রের অস্তিত্ব সংকটটি ফুটিয়ে তুলেছি কিছুটা উত্তরাধুনিকরূপে। যৌনকর্মীদের জীবনের বিষন্নতা ফুটিয়ে তুলতেই এর রং রাখা হয়েছে সাদা কালো। আমাদের দেশীয় বাস্তবতায় প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের কথা ভাবিনি। তাই এটি মুক্তি পেল আন্তর্জাতিক এ প্লাটফর্মটিতে। আশা করছি বিশ্ব চলচ্চিত্রের দর্শকদের পাশাপাশি দেশের দর্শকরাও চলচ্চিত্রটি শিগগিরই উপভোগ করবেন।
অভিনেত্রী মৌমিতা মিত্র মনে করেন, আমার চরিত্রটি এমন যে সে কখনো স্নেহময়ী মা, পতিতা এবং বড় বোন। প্রতিটি চরিত্রই এত স্বতন্ত্র ছিল যে, বিশ্বাসযোগ্যভাবে চরিত্র ফুটিয়ে তোলা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবেই চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিককালে ইউটিউবে ঝড় তোলা জনপ্রিয় সব বাংলা নাটক
ভিডিও নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন তুষি
২ বছর আগে
ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
প্রাণবন্ত প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র সাথে। তা না হলে কেনই বা বসন্ত বরণের সাথেই সময়রেখায় পদচিহ্ন রাখতে হবে! ঝরা পাতার ধুসর বিসর্জনের মুক্তি মেলে গাছে গাছে সবুজ পাতার হৈচৈ-এ। যেন দুঃখময় স্মৃতিগুলোকে চোখ রাঙিয়ে নতুন এক ভালবাসার দিন শুরুতে তৃপ্ত বাতাসে নৌকার পাল ছেড়ে দেয়া। তাতে বৈঠা হাতে হাজারো মানব-মানবীর পরিণয়ের উপাখ্যান। এমনি বিশেষ দিনটিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে পারে প্রাণখোলা হাসি, শুভকামনা আর উপহার। ভাবনার রাজপথ জুড়ে প্রিয় মানুষটির অবিরাম পদচারণার টোটেম হিসেবে কাজ করা সেরকমি কয়েকটি ডিজিটাল উপহার নিয়ে আজকের ফিচার।
ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার ২০২২
ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন
ইন্টারনেটের বদৌলতে টিভি-রেডিওর জায়গাটি এখন দখল করে নিয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলো। এখন নিজের পছন্দ মতই বেছে বেছে উপভোগ করা যাচ্ছে সাম্প্রতিক মুভি ও সিরিজগুলো।
মুভি ও নাটক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিদেনপক্ষে প্রতিটি স্ট্রিমিং সাইট এখন সব ধরনের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রচার করছে তাদের নিজ নিজ অরিজিনাল কন্টেন্টগুলো।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
বিশ্ববিখ্যাত ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) সাইট নেটফ্লিক্সের কন্টেন্টগুলোর জন্য প্রত্যেকেই মুখিয়ে থাকে। এর ৭.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৬৮৭ টাকার বেসিক প্যাকেজটি এক মাসের জন্য একটি যুগোপযোগী উপহার হতে পারে। আর ৯.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৮৫৯ টাকার স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যানটিতে পুরো মাস জুড়ে এমনকি অনেক দূরে থাকলেও দুজনেই উপভোগ করা যাবে নিজ নিজ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কন্টেন্ট-এর জন্য হৈচৈ-এর গিফ্ট কার্ড দেয়া যেতে পারে। এর ৬ মাসের প্যাকেজটি ৩১৭ টাকা।
ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক
বিভিন্ন উপলক্ষে কার্ড পেতে সবাই ভালবাসে। ভ্যালেন্টাইন ডে তে নানা গিফ্ট শপগুলো আকর্ষণীয় নকশায় তৈরি করে থাকে কার্ডগুলো। কিন্তু স্ক্র্যাপবুক এই কার্ডের ধারণাকে দিয়েছে এক অভাবনীয় মাত্রা। কার্ডের নকশা ছাড়াও এখানে জুড়ে দেয়া যায় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা বিভিন্ন আকারের ছবি। আর এর ডিজিটাল ভার্সনটির নয়নাভিরাম কন্টেন্টগুলো গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমত মন্ত্রমুগ্ধতা সৃষ্টি করে। ফটোশপ সহ ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফটো ইডিটরগুলোর জন্য দারুণ স্ক্র্যাপবুকগুলো এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারিদের অনেকেই সেই গ্রাফিক্যাল কন্টেন্টগুলো রীতিমত নিয়ম করে কালেকশানে রাখে। তাই ভ্যালেন্টাইন ডে’র উপহার হিসেবে এটি একটি সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
এগুলো কেনা যেতে পারে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে। তবে একটু সৃজনশীলতা খাটালে নিজে নিজেই বানিয়ে নেয়া যায় মনোমুগ্ধকর কিছু স্ক্র্যাপবুক। ইন্টারনেটের যে কোন একটি ইমেজ ইডিটর দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ক্যানভা। এর স্যাম্পল টেমপ্লেটগুলো ইডিট করে প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহুর্তের ছবিগুলো একত্রিত করে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় স্ক্র্যাপবুক। সাথে সাথে শেয়ারও করে দেয়া যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনলাইন জুকবক্স
শুধুমাত্র একটি স্থির চিত্র দিয়ে পটভূমিতে একসাথে অনেক গুলো গান বাজতে দেখা যায় জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে। এটি ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগের এ্যালবামে গান শোনার নস্টালজিয়া দেয়। মূলত অনলাইনে বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউবেরই বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সংগৃহীত গানের প্লেলিস্ট দিয়ে সাজানো হয় এই ডিজিটাল জুকবক্সগুলো।
ইউটিউবে এরকম প্লেলিস্ট তৈরি করা খুবই সহজ। যে কোন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও ঠিক নিচেই সেভ বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রদর্শিত ছোট্ট স্ক্রিণটি থেকে ক্রিয়েট নিউ প্লেলিস্টে ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে প্লেলিস্ট। অতঃপর একে একে প্রিয় গানগুলোর ভিডিওতে যেয়ে সেগুলোকে এই প্লেলিস্টে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। তারপর ইউটিউবের হোম পেজ থেকে বা দিকে প্রদর্শিত সদ্য তৈরিকৃত প্লেলিস্টে ক্লিক করলে প্লেলিস্টটির নিজস্ব পেজ প্রদর্শিত হবে। আর ব্রাউজারের একদম উপর থেকে এই পেজটির ঠিকানা কপি করে নিয়ে শেয়ার করা যাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
ভিডিও ডায়েরি
এটাকে বলা যেতে পারে ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুকের ভিডিও ভার্সন। প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহূর্তগুলোর ফুটেজ নিয়ে বানানো যেতে পারে এই ভিডিও ডায়েরি। ছোট-খাট একটা ফিল্মে পরিণত হবে ভিডিও ডায়েরিটা। ভিডিও ইডিটিং-এর মত বড় কাজ মনে হলেও এই ভিডিও তৈরি মোটেই তা নয়। ভিডিও বানানোর কারিগরি জ্ঞান থাকলে ভালো, তবে না থাকলেও তৈরি করা যাবে একদম নিখুঁত মানের ভিডিও। অনলাইনে খুঁজলে এমন অনেক ভিডিও ইডিটর পাওয়া যাবে, যেখানে ক্যামেরা দিয়ে তোলা ফুটেজগুলো পরপর বসিয়ে বানানো যাবে দারুণ একটি ভিডিও। জলছাপকে ঝামেলা মনে হলে কিনে ফেলতে হবে সেই ভিডিও ইডিটরটির সাবস্ক্রিপশন। তবে এক্ষেত্রে জলছাপ উপেক্ষা করে কন্টেন্টে জোর দেয়াটাই উত্তম। এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ভিডিও টেমপ্লেট পাওয়া যায় রেন্ডারফরেস্ট-এ। এত উন্নত মানের, প্রোফেশনাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ টেমপ্লেট অনলাইনে নেই বললেই চলে। এখানকার স্লাইডশোগুলোও বেশ চমৎকার। এর প্রোফেশনাল ইন্ট্রো ও ইন্ডিং ভিডিও সংযোজন করার পর তৈরিকৃত ভিডিও ডায়েরিটিকে মনে হতে পারে পরিপূর্ণ একটি শর্টফিল্ম।
পরিশেষে
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। একই পাত্রে রঙ বদলেছে প্রয়োজনীয়তাগুলো। এর মাঝেও মানুষ আগলে রেখেছে তাদের আদিম ও অকৃত্রিম অনুভূতিগুলোকে। ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার দেয়ার মাধ্যমগুলো যেন তারই জানান দিচ্ছে। হাত দ্বারা স্পর্শনীয় বস্তুগুলো বর্তমানে শুধু দর্শনেন্দ্রিয় ও শ্রবণেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা বস্তুতে রূপান্তর হলেও, শুভকামনা দেয়ার ছলে অটুট রয়েছে যত্ন নেয়ার ভনিতাটি।
২ বছর আগে
বন উজার বন্ধে ১২৪ দেশের চুক্তি, নাম নেই বাংলাদেশের
২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধ করতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিশ্বের ১২৪টি দেশ। এই সংক্রান্ত চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে দেশগুলো। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ এখনও একাত্মতা প্রকাশ করেনি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, বন রক্ষায় সবার ঐক্যের সাথে বাংলাদেশও একমত। ২৬তম কপ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিশ্বের বনভূমি রক্ষা করা। এতে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পৃথিবীর বন রক্ষায় ঐক্যমতে আসে প্রভাবশালী দেশগুলো। পাশাপাশি এজন্য তহবিলও ঘোষণা করা হয়েছে।
অ্যামাজন বন ধ্বংসের অভিযোগ যে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে, বন রক্ষার উদ্যোগে তারাও একমত হয়ে স্বাক্ষর করেছে। তালিকায় নাম লেখানো দেশগুলোর দখলে আছে পৃথিবীর মোট বনের ৮৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বলছেন, দেশের সংবিধানেই বন রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা আছে। সেই আলোকে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। কাজেই তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বন রক্ষায় ১৪ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন,পরিবেশ রক্ষা করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ শিল্পায়ন হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন থেকে অনেক দূরে রয়েছে। নতুন নতুন যে সকল প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে সেগুলো পরিবেশ রক্ষা করেই বাস্তবায়ন করা হবে। শিল্পায়নের জন্য যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয় সে বিষয়গুলো আলোচনায় তুলে ধরছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন,শুধু প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষা নয়, জলবায়ু মোকাবিলায় শহরগুলোতে সামাজিক বনায়ন বাড়ানোর প্রস্তাবও এসেছে সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সংবিধানে বন রক্ষায় যে আইন রয়েছে তা অনুযায়ী বন রক্ষা করতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত বন রক্ষা করে চলছি বরং বিভিন্ন এলাকায় বনের সংখ্যা আরও বাড়ছে। উপকূলীয় বনসহ সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি যেহেতু একটি ঘোষণাপত্র আমাদের আরও ভাবার জন্য সময় রয়েছে। আমরা বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করে দেখবো।
এদিকে বাংলাদেশের এমন অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতাকাল বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধে বিশ্বের ১২৪টি দেশের ঘোষণার সাথে বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশ না করা চূড়ান্ত হতাশাজনক। বিশেষ করে, ব্রাজিলসহ আফ্রিকার বহুদেশ এই ঘোষণায় যুক্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাড়া না দেয়া অবিশ্বাস্য।
জলবায়ু সম্মেলনে গ্লাসগোতে অবস্থানরত বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক যে বাংলাদেশে যেখানে জলবায়ু মোকাবিলায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে বিশ্বের কাছে, বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে প্রশংসিত হচ্ছে, সেখানে এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্রের সাথে একমত হচ্ছে না। এর ফলে এই ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করা দেশগুলো ক্ষতিপূরণ পাবে সেই ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশ পাবে না। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশ বন উজাড় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে না।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বই বনাম কিন্ডল: আপনার জন্য কোনটি সেরা?
ওয়েবসাইটগুলো প্রাক-ইন্টারনেট যুগের চেয়ে সম্ভবত আরও বেশি পড়তে বাধ্য করেছে সাধারণ মানুষজনকে। সামাজিক মাধ্যমের ব্যাকরণগত ভুল মন্তব্য থেকে শুরু করে গবেষণার কাগজপত্র সহজলভ্য হয়ে উঠছে কেবলমাত্র পর্দায় একটি ট্যাপের মাধ্যমে। মানুষ পড়তে এত সময় ব্যয় করছে যে কন্টেন্ট সামগ্রীর কাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। টুইটার পোস্টগুলোতে লেটার ক্যাপ এবং নিবন্ধগুলোতে শব্দের সংখ্যা হ্রাস করা হয়েছিল অনলাইন পাঠকদের ক্রমহ্রাসমান মনোযোগের দিকটি পূরণ করতে। ডিজিটাল যুগ সবে শুরু হয়েছে, তবে মনোমুগ্ধকর উপন্যাসগুলো এখনও প্রকাশিত হচ্ছে এবং ব্যবহারকারীরা আসতে চলতেই আগ্রহী, তারা কন্টেন্টগুলো গ্রহণ করছেন প্রথাগতভাবেই। কিন্ডল চতুরতার সাথে বই এবং ডিজিটালের মেলবন্ধনের প্রয়াসে হয়ে উঠেছে ক্লাসিক বইয়ের প্রত্যক্ষ প্রতিযোগী। তবে কীভাবে তারা একে অপরের বিকল্প এবং আপনার জন্য কোনটি ভালো?
৩ বছর আগে
অ্যামাজনে বন উজাড় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ব্রাজিলের অ্যামাজনে বন উজাড় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ।
৪ বছর আগে