কসমস সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রদর্শনী দেখলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
কিন্ডলের জনপ্রিয়তা
অ্যামাজন কোনো ই-রিডার (বা ই-বুক) ধারণার পথিকৃৎ না হলেও, ২০০৭ সালে কিন্ডল চালু করার পর থেকেই বাণিজ্যিক বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছিল তারা।
ডিভাইসটি কেবলমাত্র ই-উপন্যাসগুলো পড়ার উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছিল, যার অর্থ হলো এর প্রযুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে ডিজাইন করা হয়েছিল এমন ধারণা থেকে যাতে গ্রাহকরা কিন্ডলের পর্দার দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নজর রাখেন যেমন তারা কোনো নিয়মিত বই নিয়ে সময় কাটান।
এটি কোনো গোপন বিষয় নয় যে নিয়ন্ত্রিত না হলে পর্দার ওভার এক্সপোজারের মাধ্যমে চোখের ক্ষতি হয়, তবে এলইডি এবং এলসিডি লাইটের বদলে এই ই-বুক রিডারটিতে ব্যবহার করা হয় একটি ই-ইংক স্ক্রিন। কঠিন সূর্যের আলো বা পুরোপুরি অন্ধকার জায়গায় বসেও যেন ই-ইংক ব্যবহার করা যায় তা নিশ্চিত করেছে কিন্ডল। তবে এই প্রযুক্তি কোনোভাবেই সম্পূর্ণরূপে চোখের জন্য নিরাপদ নয়।
এবার খুলনায় ‘বই বাগানের’ যাত্রা শুরু
এখন পর্যন্ত কিন্ডলের সবচেয়ে বড় সেলিং পয়েন্ট হলো এটি ব্যবহারের নানা সুবিধা। অ্যামাজনের এই ই-বুক রিডারের মাধ্যমে শুরুর দিকে শুধু বই পড়া গেলেও এখন এটির সাহায্যে বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকা পড়া এবং অনেক কিছু ক্রয় ও ডাউনলোড করা যায়।
অ্যামাজন স্টোরে রয়েছে ই-বুকের বিশাল সম্ভার যেখান থেকে গ্রাহকরা পোর্টালে তাদের পছন্দসই যেকোনো কিছু কিনতে পারেন এবং বইগুলো তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ডিভাইসে সহজলভ্য হয়ে উঠে।
গ্রন্থমঙ্গল: বইপ্রেম এবং নীলক্ষেতের প্রতি আমাদের ঋণ
আট জিবির কিন্ডলে ২ হাজার ৭৫০টি এবং ৩২ জিবি মডেলটিতে ২২ হাজার ই-বই রাখা সম্ভব। এই ছোট ডিভাইসের বড় স্টোরেজ ক্ষমতা এটিকে করে তুলেছে উপযুক্ত ভ্রমণ সঙ্গী। হ্যান্ড লাগেজের ওজন সীমাবদ্ধতা বা দীর্ঘ ট্রেন যাত্রাসহ ফ্লাইটগুলোতে ডিভাইসটি মূল বইয়ের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
মূল বইগুলো টিকে থাকবে?
আসল বইয়ের যুগে বসবাসকারী প্রজন্মগুলোর মতে কোনো প্রযুক্তিই মূল বই পড়ার অভিজ্ঞতা প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। বইয়ের নতুন পৃষ্ঠার গন্ধ থেকে শুরু করে কাগজের গঠনবিন্যাসে প্রকৃত বইগুলো কয়েকশো বছর ধরেই নির্ভরযোগ্য, তবে তর্কাতীতভাবে এই দিনগুলোতে যা বিলাসবহুল হয়ে উঠেছে। তবে অন্যগুলোর মধ্যে বইয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কিন্ডলের তুলনায় এটি সাশ্রয়ী।
মাত্র ২০ ডলারেও পাঠকরা এমন একটি বই বাছাই করতে পারেন যা সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকলে সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস বসেও শেষ করা যেতে পারে।
আসল বইয়ের ক্ষেত্রে অব্যবহৃত থাকলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনাক্রমে হাত থেকে পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো উদ্বেগের কিছু নেই। এছাড়া প্রকৃত বইয়ে আগ্রহী পাঠকরা পৃষ্ঠা উল্টানোর অভিজ্ঞতা, বুকমার্কিং এবং পাঠ হারিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো উপভোগ করেন।
ই-বইয়ের চেয়ে কাগজের বইয়ের চাহিদা বেশি
সিদ্ধান্ত
যারা নিয়মিত পড়েন না তাদের জন্য: অফিসের কাজ বা পারিবারিক জীবনের কারণে যারা সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকেন তাদের জন্য ভালো পছন্দ হতে পারে একটি আসল বই। কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বিবেচনায় একটি কিন্ডলের দাম অবশ্যই অসংযত। একটি নিয়মিত বই আপনার সময়ের জন্য উপযুক্ত হতে পারে যদি দিনে গড়ে এক ঘণ্টা পড়াই আপনার জন্য সর্বাধিক হয়।
ঘন ঘন ভ্রমণকারীদের জন্য: যারা প্রচুর ভ্রমণ করেন তাদের জন্য কিন্ডল উপযুক্ত। কাজ বা অবসরের জন্য, কমপ্যাক্ট এই ডিভাইসটি আপনার ব্যাগের স্থান এবং ওজন সাশ্রয় করে।
আগ্রহী পাঠকের জন্য: এটি নির্ভর করে পছন্দের ওপর। যদি আপনি কয়েক ঘণ্টা পড়ার জন্য কোনো ক্যাফে বা পার্কের পাশে বসে আপনার হাতে থাকা সময় ব্যয় করতে চান, সেক্ষেত্রে বই এবং কিন্ডল উভয়ই কার্যকরভাবে কাজ করে। তবে যদি আপনার প্রযুক্তি থেকে আলাদা থাকার প্রয়োজন হয়, বইয়ের একটি হার্ডকপি হবে ভালো পছন্দ। আর আপনি যদি স্বাচ্ছন্দ্যে কিছু পড়ার সামগ্রী চান, বেছে নিতে পারেন কিন্ডল।