হতাশা
বাইপোলার ডিসঅর্ডার: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
একটি সুস্থ মানসিক অবস্থা একটি উন্নত জীবনযাত্রার রূপকল্প। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ক্রমশ বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে নিত্য দিনের জীবনধারাকে। শুধু তাই নয়, গুরুতর রোগের মতোই তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে মানবদেহের ওপর। বাইপোলার ডিসঅর্ডার মনস্তত্ত্বের ঠিক তেমনি একটি অবস্থা, যেখানে মেজাজের স্বাভাবিক কার্যকলাপে দেখা দেয় অসংলগ্নতা। চলুন, মানসিক এই সমস্যাটির কারণ ও লক্ষণ জানার পাশাপাশি এ থেকে উত্তরণের উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাইপোলার ডিসঅর্ডার কি
মেজাজের ভারসাম্যহীনতার মাধ্যমে যে মানসিক সমস্যার প্রকাশ ঘটে সেটি বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বিপ্রান্তিক ব্যাধি নামে পরিচিত। ‘বাইপোলার’ শব্দটির মাধ্যমে মেজাজের দুই বিপরীত মেরুকে বোঝানো হয়, যার একটি উন্মাদনা, এবং অন্যটি বিষণ্নতা। উন্মাদনার মাধ্যমে ব্যক্তির মাঝে উচ্ছ্বাসের অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি বিরাজ করে। অন্যদিকে, বিষণ্নতা মুহূর্তগুলোতে ব্যক্তি গভীর দুঃখ ও হতাশার ভেতর দিয়ে সময় কাটান।
বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগের কারণ
বাইপোলার ডিসঅর্ডার মূলত কতগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সমষ্টি, যা ধীরে ধীরে ব্যক্তিকে অসামঞ্জস্য আচরণের দিকে ধাবিত করে। প্রধানত তিনটি কারণে এমন অবস্থার অবতারণা ঘটে। এগুলো হলো-
জিনগত কারণ
বাবা-মা এবং ভাইবোনদের মধ্যে একজনের এ সমস্যা থাকলে পরবর্তীতে অন্যজনের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ওয়েবএমডি অনুসারে, বাবা বা মা যে কোনো একজনের এই ব্যাধি থাকলে তাদের সন্তানদের এই ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ। আর দুজনেরই থাকলে এই সম্ভাবনা ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়। যমজ ভাইবোনের মধ্যে একজনের এই ব্যাধি থাকলে অন্যজনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ।
আরো পড়ুন: অটিজম কী? অটিজম সচেতনতা ও সহমর্মিতা কেন জরুরি?
জীবনের কোনো স্পর্শকাতর ঘটনা
যাদের পরিবারের পূর্বে কারো দ্বিপ্রান্তিক ব্যাধি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী ঘটনাগুলো ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে। তাছাড়া জিনগত বৈশিষ্ট্য না থাকলেও ট্রমাজনিত অভিজ্ঞতাগুলো এই ব্যাধির দিকে ধাবিত করতে পারে। যেমন শৈশবের কোনো অপ্রিয় ঘটনা, প্রিয়জনের মৃত্যু, জীবনের বড় পরিবর্তন, চাকরি, সম্পর্ক বা আর্থিক চাপ উন্মাদনা বা বিষণ্নতার দশাগুলোর সূচনা ঘটাতে পারে।
মাদকাসক্তি
উত্তেজক রাসায়নিক, ওষুধ বা অ্যালকোহল নেওয়া মেজাজের ভারসাম্যতাকে বিনষ্ট করে। শুধু মাদকের নেশাই নয়, প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘন ঘন সেবনের ফলেও মেজাজের অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও অনেক বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেদের অবস্থার উন্নতির জন্য নিজে থেকে ঔষধ সেবনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এতে তাদের ব্যাধির উপসর্গগুলো উল্টো বেড়ে গিয়ে মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগে কারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়
জিনগত কারণগুলো থেকে এই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ। শৈশবের কোনো অপ্রিয় ঘটনা এবং প্রিয়জনের ক্ষতি থেকে সৃষ্ট ট্রমা সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করে। মাদক সেবন থেকে এই মানসিক স্বাস্থ্য জটিলতার ক্ষেত্রে সর্বাধিক বিপদের মধ্যে রয়েছে তরুণরা।
আরো পড়ুন: রক্তের গ্রুপ: কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগের লক্ষণ
মেজাজ ও কার্যকলাপের মাত্রার নাটকীয় পরিবর্তনটা দৃশ্যমান হতে শুরু করে উন্মাদনা ও বিষণ্নতা এই দুই ভিন্ন পর্যায়ে।
উন্মাদনাকেন্দ্রিক উপসর্গ
এই উপসর্গগুলোর মাধ্যমে মূলত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতা ও কার্যকলাপের মাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর হয়।
· উচ্ছ্বাস বা বিরক্তি: কোনো কোনো সময় ব্যক্তি অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস অনুভব করেন বা নিজেকে সর্বাধিক সুখী মনে করেন। এই অনুভূতির আরেক নাম ইউফোরিয়া। কিছু সময় (অনির্দিষ্ট) পরেই তিনি আকস্মিকভাবে প্রচণ্ড ক্রোধ অনুভব করেন। বিশেষ করে যখন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন তখন তিনি রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় অবস্থান নেন।
· চিন্তা ও কথাবার্তায় দ্রুততা: এ ধরনের ব্যক্তিরা একাধিক বিষয়ের চিন্তায় নিমজ্জিত থাকে। অথচ নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। তার বহিঃপ্রকাশ তাদের কথাবার্তায়ও দেখা যায়। প্রতিটি বাক্য খুব দ্রুতগতিতে বলার কারণে প্রায় পুরোটা সময় শ্রোতাদের কাছে তা দুর্বোধ্য মনে হয়।
· আবেগপ্রবণতা এবং যে কোনো কিছু ভুলভাবে বিচার করা: এ সমস্যার ভূক্তভোগীরা আর্থিক সিদ্ধান্ত, সম্পদের অপব্যয় বা বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের মতো বিষয়গুলোতে আবেগের বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া জীবনের নানা লেনদেন বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় সবকিছুকে ভুল ব্যাখা দাঁড় করান।
· অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুম: এ সমস্যায় জর্জরিত ব্যক্তিদের কখনো স্বাভাবিকের চেয়ে কম ঘুমের দরকার হয়। আবার কখনো দেখা যায় যে, দীর্ঘক্ষণ যাবত ঘুমের পরেও জেগে থাকতে (বিশেষ করে দিনের বেলা) সমস্যা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
বিষণ্নতার উপসর্গ
মানসিক অবস্থার এই পর্যায়ে মেজাজ এবং আচরণের অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়।
· ক্রমাগত দুঃখ বা হতাশা: এক্ষেত্রে ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে হতাশার মাঝে নিমজ্জিত থাকেন এবং সর্বদা দুঃখী অনুভব করেন।
· আগ্রহ বা আনন্দ কমে যাওয়া: এক সময় যে বিষয়গুলো অত্যন্ত উপভোগ্য ছিল, সেগুলোর প্রতি আর ভালো লাগা কাজ করে না।
· ক্লান্তি: প্রতিদিনের সাধারণ এবং সহজ কাজগুলোতে অত্যধিক ক্লান্তি অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে স্পৃহা না থাকায় সব মিলিয়ে সামগ্রিকভাবে কর্মদক্ষতা লোপ পায়।
· মনোযোগ নিবদ্ধ করতে অসুবিধা: সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে মনোযোগে অপারগতা দেখা দেয়। এর ফলে ব্যক্তি যথেষ্ট প্রচেষ্টার পরেও যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন।
মিশ্র উপসর্গ
অধিকাংশের মধ্যে এই বিষণ্নতা এবং উন্মাদনা একই সঙ্গে শুরু হয়। এতে করে এমন এক মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, যেখানে ভুক্তভোগী অযাচিত কোনো ভুল করে বসেন বা বড় কোনো ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। মনের এই মিশ্র অবস্থা সবথেকে গুরুতর, কেননা চরম পর্যায়ে এটি ওই ব্যক্তিকে আত্মহত্যার দিকেও ঠেলে দিতে পারে।
আরো পড়ুন: এমপক্সের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
জিনগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে বাইপোলার ডিসঅর্ডার এড়ানোটা জটিল। তবে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা না গেলেও এর ক্ষতির মাত্রা কমানো যেতে পারে। যে পদক্ষেপগুলো এখানে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে সেগুলো হলো-
· নিয়মিত সঠিক ব্যায়াম, ইয়োগা ও ধ্যান করার অভ্যাস করা
· প্রতিদিনই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো
· যে কোনো মূল্যে মাদক থেকে বিরত থাকা
· মেজাজে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন ওষুধ এড়িয়ে চলা
· নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি বজায় রাখা
· সুষম খাদ্যাভ্যাস চালু রাখা
· সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত হওয়া
· ইতিবাচক সম্পর্ক লালন করা
আরো পড়ুন: অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগ প্রতিকারের উপায়
শারীরিক ব্যাধির মতো এই মানসিক অবস্থার আসলে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক নেই। তবে জীবনযাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনসহ কিছু থেরাপিতে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে মানসিক অবস্থার উন্নতি করা যায়। এই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে-
ওষুধ
এ ক্ষেত্রে সাধারণত যে ওষুধগুলো গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয় সেগুলো হলো- মুড স্টেবিলাইজার, অ্যান্টিসাইকোটিক্স ও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট্স। এখানে লিথিয়ামের মতো মুড স্টেবিলাইজারগুলো মিশ্র উপসর্গগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, অ্যান্টিসাইকোটিকগুলো উন্মাদনাকে নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। এখানে খেয়াল রাখা উচিত যে, ওষুধগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ডোজ সেবনে উল্টো উন্মাদনাকে ত্বরান্বিত করতে পারে। তাই এগুলো ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সাইকোথেরাপি
জ্ঞানগত-আচরণগত থেরাপি (সিবিটি) ব্যক্তির চিন্তাভাবনা এবং আচরণগত অসামঞ্জস্যতাগুলোর চিকিৎসায় বেশ কার্যকর। ইন্টার্পাসনাল ও সোশ্যাল রিদম থেরাপি দৈনন্দিন রুটিন বজায় এবং সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে। এই কৌশলগুলো ব্যক্তির ঘুম, খাবার ও অন্যান্য কার্যকলাপের সময়সূচি স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: এসির বাতাসে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে
জীবনধারার পরিবর্তন
এই ডিসঅর্ডার থেকে আরোগ্য লাভের সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হলো জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। তবে এটি বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নিয়মিত ব্যায়াম দীর্ঘ মেয়াদে মেজাজকে স্বাভাবিক ও আবেগকে স্থিতিশীল রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার সর্বাঙ্গীনভাবে মানসিক সুস্থতাকে বিকশিত করে।
মানসিক সমর্থন
জীবনধারাকে পরিবর্তিত করতে যে বিষয়টি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে তা হলো পরিবার, বন্ধু ও থেরাপিস্টের মানসিক সমর্থন। দ্বিপ্রান্তিক ব্যাধির মূল চিকিৎসাটিই হচ্ছে এই সমর্থন নিশ্চিত করা। এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তির মনস্তত্ত্বে অনেকটা সাপ্লিমেন্টের মতো কাজ করে।
শেষাংশ
বাইপোলার ডিসঅর্ডার সনাক্ত করার জন্য এর কারণ ও লক্ষণগুলো গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই করা প্রয়োজন। মানসিক সমস্যাটির নেপথ্যে রয়েছে জিনগত বৈশিষ্ট্য, মানসিক আঘাত ও মাদকাসক্তি। লিঙ্গ বা বয়স নির্বিশেষে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই উপসর্গগুলোকে সূচনালগ্নেই খেয়াল করা উচিত। এর ফলে প্রাথমিক অবস্থাতেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
অপরদিকে, এরইমধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওষুধ ও থেরাপির পাশাপাশি দরকার মানসিক সমর্থন। উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারা বজায় রাখার সার্বিক প্রচেষ্টাকে সফল করে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর? সাবধানতা ও করণীয়
২ মাস আগে
বরিশালে চাকরি না পাওয়ায় হতাশা, প্রকৌশলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরিশালে শুভদ্বীপ কর্মকার (২৬) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে নগরীর ঝাউতলা দ্বিতীয় গলিতে তার বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত যুবক শুভদ্বীপ কর্মকার ঝাউতলা এলাকার রনজিৎ কর্মকারের একমাত্র
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
শুভদ্বীপের বড় বোন স্বর্ণা বলেন, ‘আমার ভাই শুভদ্বীপ প্রকৌশলে পড়ালেখা শেষ করে চাকরি পাচ্ছিল না। সে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছে। এ কারণে শুভদ্বীপ হতাশায় ভুগছিল। সে কারণেই আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে।’
শুভদ্বীপের মা বলেন, শনিবার সবাই খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। সকালে শুভদ্বীপের রুমের দরজায় নক করলে তার কোনো সাড়া পাইনি। তখন দরজার ফাঁক দিয়ে শুভদ্বীপকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তখন চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রি বলেন, শুভদ্বীপকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভদ্বীপকে মৃত ঘোষণা করে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
৯ মাস আগে
অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে, কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিলো কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বিশ্বব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই।
যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না।
এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন- এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে।
এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছে। তাহলেই মানুষ বুঝতে পারবে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন।
মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।
মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সেই ব্যাপারে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালি ইনফ্ল্যাশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে পাচ্ছে।
আয়কর আদায়ে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবে। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন তারা। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের পর কোমর ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। আমরা চাই তারা (বিএনপি) হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিক গবেষক মুহা. মীযানুর রহমানের ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ এবং কবি রেবেকা শিল্পীর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘বিমূর্তর’ মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি, বিএনপি হতাশা কাটানোর জন্য লিফলেট বিতরণ ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যেই থাকবে। পেট্রোল বোমা নিয়ে মানুষের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে না।
এর আগে গ্রন্থেরমোড়ক উন্মোচনকালে ড. হাছান বলেন, একুশের বইমেলা প্রাণের মেলা, বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর, যুবা, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ সবাই মেলায় আসেন একটু নি:শ্বাস ফেলা, বইয়ের পাতা উল্টানো, বই কেনার জন্য।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটি মানবিক সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়া এবং সেই লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আজকের দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশের সঙ্গে আজকের অনেক পার্থক্য। আবার আজকের সঙ্গে আগামী ১০ বছর পরের বাংলাদেশেরও অনেক পার্থক্য হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেলে ভ্রমণ, নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল- এসব অভাবনীয় উন্নতি এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি আমরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
১০ মাস আগে
বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
অভিনন্দন বার্তায় জি এম কাদের বলেন, বিজয়ের মাসে এই বিজয় প্রত্যাশিত ছিল। বোলিং, ব্যাটি ও ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তা অসাধারণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পরবর্তী টেস্টেও টাইগারদের বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
আরও পড়ুন: টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
১ বছর আগে
চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে এক ব্যক্তি টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুমন আলী (২৬) নিমতলা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
গ্রেপ্তার সানাউল্লাহ (৪৫) একই এলাকার মৃত মহসিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কীটনাশক পান করে ২ কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, উপজেলার কলাদিয়ার এলাকায় একটি আম বাগানে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে; এমন খবর পেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবক সুমন লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে সানাউল্লাহ একটি বিশেষ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সুমন আলীর কাছ থেকে আট লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়। এরপর চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চায় সুমন। কিন্তু সানাউল্লাহ টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকায় হতাশায় সুমন আলী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
২ বছর আগে
হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবাদীদের সব ভুল ধারণাকে ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরে, ইউএনসিডিপি ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
বুধবার জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশাবাদীদের সকল ভুল ধারণা দূর করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকার এবং বাণিজ্য চুক্তির ওপর একটি কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০টি দেশ এবং তিনটি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে একটি পিটিএ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, এই ১০টি দেশ হলো- ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন ও মালয়েশিয়া।
এছাড়াও, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, কেনিয়া এবং জিসিসি দেশগুলির সঙ্গে পিটিএ, এফটিএ বা সিইপিএ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
লকডাউনে চাকরি হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
রাজশাহীর পুঠিয়ায় লকডাউনের কারণে চাকরি হারিয়ে হতাশায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছে তাঁর পরিবার। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম খোকন হোসেন (২৬)। তিনি ওই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মেহেদীর রঙ না মুছতেই গৃহবধূর আত্মহত্যা
কামাল হোসেন বলেন, ‘ সকালে ঘরের দরজা না খোলায় খোকনকে অনেক ডাকাডাকি করি। ভেতর থেকে কোনো সাড়া আসছে না বলে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখার চেষ্ঠা করি। এ সময় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।‘
আরও পড়ুনঃ মায়ের কাছে চিঠি লিখে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
তিনি জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করতো। সেখানে একটি মেয়েকে সে পছন্দ করে বিয়ে করে। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে। লকডাউনে চাকরি হারিয়ে বাড়ি আসলে তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এতে সে দিশেহারা অবস্থায় ছিল। আর সে কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের সাতদিনের মাথায় আত্মহত্যা
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ওই পরিবারের দাবির কারণে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
উদ্বিগ্ন এবং হতাশ থাকলে মানুষের মস্তিষ্ক আরও বড় হয়: অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা
পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক প্রচলিত মনোরোগ ‘হতাশা’ মস্তিষ্কের আকার সংকুচিত হওয়ার সাথে সম্পর্কিত।
৪ বছর আগে