স্বাধীনতাবিরোধী
স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা চেষ্টা করলেও ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, আর এখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা নেতাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (স্বাধীনতাবিরোধীরা) জাতির পিতার নাম মুছে দেওয়া হয়, তার ছবি দেখানো যেত না, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়।’
জাতির পিতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশকে তিন বছর সাত মাসের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধীরা পছন্দ করেনি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
তিনি বলেন, ‘আর দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তা পছন্দ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি, বরং তার নিজের দেশের কিছু মানুষ তাকে হত্যা করেছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি দেশবাসীকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশ এতদিনে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
স্বাধীনতাবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও দেশের অভিন্ন শত্রু বলেও জানান কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সবাইকে সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে; যাতে করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদীদের প্রেতাত্মারা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অতীতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ এবং সব ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতায় তা কঠোরভাবে দমন করা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়ন: আমাদের প্রত্যাশা’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী অসাম্প্রায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আবহমান কাল থেকে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের জনগণ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও ধর্ম পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বসবাসরত সব ধর্মের জনগণের প্রতি সমান সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপালের লুম্বিনী কনজারভেশন এলাকায় প্রায় ২ একর জমির উপর বাংলাদেশ প্যাগোডা ও বুড্ডিস্ট কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ বিশ্বে অসাম্প্রদায়িকতার নির্দশন হিসেবে ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যাবলীকে আরও বিস্তৃত করে এর কার্যক্রমকে গতিশীল ও ব্যাপকভাবে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ট্রাস্টের অধ্যাদেশকে ২০১৮ সালে আইনে পরিণত করা হয়েছে। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সংখ্যা ৮ থেকে ১২ জনে উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনও পাস করা হয়েছে। এটাও শেখ হাসিনার সরকারের অসাম্প্রদায়িক আদর্শের অনন্য উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন, হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্য হিন্দু পারিবারিক আইন এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের জন্য খ্রিম্টান ধর্মীয় আইন প্রচলিত আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমতলীয় বৌদ্ধধর্মের মানুষের জন্য কোনো পারিবারিক আইন নেই, এটা চিন্তার বিষয়। বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়নে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, শিক্ষাবিদ ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, ড. নীরু বড়ুয়া, ট্রাস্টি ববিতা বড়ুয়া প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের ৫১ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিরা বিজয়ের আনন্দকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
আবার স্বাধীনতাবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আবার একটি দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপর্যস্ত-বিপন্ন বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল তখন আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
এছাড়া একবার আল জাজিরা কাহিনী শুরু করা হয়েছিল। এখন আবার আয়না ঘর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে যাদের গণ্য করা হয় সে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা না থাকলে সমৃদ্ধ, আধুনিক ও মুক্তিযুদ্ধের এ বাংলাদেশ থাকবে না, যোগ করেন শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাংগঠনিকভাবে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সে ভূমিকা আমরা রাখতে পারিনি। শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারত না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দাম্ভিকতা চূর্ণ হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না, লাল-সবুজের পতাকাকে শ্রদ্ধা জানানো হতো না, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনা হতো না। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে বাংলাদেশ নাম থাকলেও এ দেশ পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে কট্টর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হওয়ার শঙ্কা ছিল।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি। এটি ছিল পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা জানার পর যারা প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অথবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি যারা ছিল, হত্যার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও ঘটনায় তারা যে যুক্ত ছিল, সেটা আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে খণ্ডিত বিচার হয়েছে, এ খণ্ডিত বিচার থেকে আত্মতুষ্টির কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান 'গো অ্যাহেড' বলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র নয় দিনের মাথায় তিনি হয়ে সেনা প্রধান হয়েছিলেন। তিনি যে নাটের গুরু, তিনি যে মাস্টারমাইন্ড, তিনি যে ষড়যন্ত্রকারী সে সময় সেটা আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে গঠিত আন্তর্জাতিক কমিশনকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি জিয়া। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন করেছে জিয়াউর রহমান। বাঙালি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসনে এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করে দেয়ায় সবচেয়ে বড় কাজ করেছে জিয়াউর রহমান। তাকে সহায়তা করেছিল দেশি-বিদেশি চক্র।
খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক সাজু রহমানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাহুল রাহা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, বৃহত্তর খুলনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ প্রমুখ। খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ তুলে ধরতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
২ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি: ড. রাজ্জাক
১৯৭৫ এর আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও চেতনাকে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘৭৫ থেকে ‘৯৬ ইতিহাসের কালো অধ্যায়। এই সময়ে স্বাধীনতার ইতিহাসকে সুপরিকল্পিতভাবে বিকৃত ও ছিন্নভিন্ন করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক চেতনাকে সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।’
সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহিদদের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ একইসূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা, নেপথ্যের কারিগর ও উপকারভোগীদের মুখ জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে একটি কমিশন গঠনের ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির উত্থানকে প্রতিহত করতে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হবার পরপরই বাঙালির উপর প্রথম আগ্রাসনটি ছিল সাংস্কৃতিক। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপর আগ্রাসন চালিয়ে সাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল পাকিস্তান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এখনও দেশে পাকিস্তানের সেই ধারা ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির উত্থান ও জঙ্গিবাদ-ধর্মান্ধদের রুখতে জনগণের মাঝে ব্যাপকহারে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাট্যজন ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা এমপি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান ও জোটের বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ধর্মান্ধদেরকে দেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয়দাতাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যে অপশক্তি স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে, সেই বিএনপি-জামাতচক্র এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না, এর একটি ফয়সালা হওয়া প্রয়োজন।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি প্রধান আলোচক হিসেবে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
‘জিয়ার লাশ নিয়ে কথা বলে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ মনে করে এবং দলিল বলে আপনারাই প্রতারণাটা করেছেন। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মেয়ের জামাই রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন চেয়ারম্যান জহির এবং বর্তমান চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন দু’জনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে জিয়াউর রহমানের কথিত লাশ দাফনের প্রত্যক্ষদর্শী। তারাও বলেছেন যে তারা কোনো লাশ দেখেননি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর এটি সমগ্র বাংলাদেশে প্রচার করা হয় এবং চট্টগ্রামে তৎকালীন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওতে বারবার প্রচার করতে থাকেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের কর্মচারী নূরুল হক ২৬ মার্চ গোলাগুলির মধ্যে সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে জীবন বাজি রেখে রিকশায় করে স্বাধীনতার ঘোষণা মাইকিং করেন। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমানকে ধরে এনে ঘোষণা পাঠ করতে দেয়া হলে প্রথমে ভুল করেন ও পরে শুদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষণাটি পাঠ করেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টা চালানো হয় এবং স্বাধীনতার খলনায়কদেরকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়।’
এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের মাধ্যমে দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজকে পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল, আজ তারাই ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা স্বার্থান্বেষী মহল এখন ব্যর্থ।
৩ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির চক্রান্ত থেমে যায়নি: কাদের
দেশে এখনও স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির চক্রান্ত থেমে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৪ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: এলজিআরডিমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে বসবাস এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা সত্ত্বেও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
৪ বছর আগে