পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় সুযোগের দাবিতে আন্দোলন, আটক ২
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী দুইজন হলেন- নটরডেম কলেজের আলভী মাহমুদ ও মাইলস্টোন কলেজের মোহাম্মদ সানি।
শনিবার বিকালে আলভী ও সানিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান।
তারা জানান, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন আলভী মাহমুদ ও মোহাম্মদ সানি। পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের ডেকে নিয়ে গেলেও আটক করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২৩ মে
১ বছর আগে
মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন সরকার যখন অনলাইনে ক্লাস চালুর চেষ্টা করেছিল, সেসময় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভার্চুয়াল বা অনলাইন ক্লাস চালুতে পিছিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাকে দুঃখজনক কিছু কথা শেয়ার করতে দিন। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহামারি চলাকালীন শিক্ষায় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির ছিল। তারা অনেক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়)পিছিয়ে ছিল।’
সোমবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
আইসিটি বিভাগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত তা (অনলাইন ক্লাস) শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল তা পারেনি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও (তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হয়নি)।’
তিনি বলেন, বারবার অনুরোধের পর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাস চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যখন একটি ব্যবস্থা আমাদের জন্য উপকারী,আমরা কেন তা গ্রহণ করব না?’
তিনি জানান যে তিনি শুধু ভাবছিলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ না থাকলে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কী হতো! ‘সবকিছু স্থবির হয়ে যেত।’
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও শেকলে বাঁধা কামরুজ্জামানের স্বপ্ন!
তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কামরুজ্জামান। যেখানে অনেকে ভর্তির সুযোগই পায়না, সেখানে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকার পরও দুশ্চিন্তা আর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারার শঙ্কায় দিন কাটছে তার। সামনে উচ্চ শিক্ষা আর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি থাকলেও পরিবারের অভাব-অনটন তাকে পেছন থেকে টেনে ধরেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের বর্গাচাষি মোখলেসুর রহমান ও কামরুন নাহারের ছেলে কামরুজ্জামান। স্কুলজীবন থেকেই মেধাবী ছাত্র কামরুজ্জামান এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ-৫। সংসারে চরম আর্থিক কষ্টের সঙ্গে লড়াই করে তাকে পড়াশোনা করতে হচ্ছে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৬৭তম স্থানে রয়েছেন তিনি।একই সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে জাহাঙ্গীরনগরে পড়ার স্বপ্ন থাকলেও অনেকটাই দুঃস্বপ্ন দেখছেন এখন।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখি কোনো একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। সাফল্যও এসেছে। কিন্তু এখন আর্থিক সমস্যার কারণে সে ইচ্ছে পূরণ হবে কি না, জানি না।
কামরুজ্জামানের বাবা মোখলেসুর রহমান ১০ বছর আগেই স্ট্রোক করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। চলাফেরা করতে অক্ষম মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘অভাবের সংসারে আমাদের কোনো রকমে খাবার জোটে। বাড়তি কোনো টাকা নেই যে সেই টাকা দিয়ে ছেলেকে ভর্তি করাব। নিজের জমিজমাও নেই যা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করবো। ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগান দিতে না পেরে খুবই কষ্ট লাগছে।’
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান হাবীব বলেন, ‘ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী, এখন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারের দারিদ্র্য। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারতো সে।’
তবে আশার কথা শুনিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ছেলেটির উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
পড়ুন: বাগেরহাটে অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বৃদ্ধি, মিলমালিকদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
২ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে চাইনিজ কর্ণার উদ্বোধন
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো ‘চাইনিজ কর্ণার’–এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালচার এন্ড এডুকেশন এ্যাফেয়ার্স- এ্যাম্বাসি অব চায়না, বাংলাদেশের কাউন্সিলর মি. লিউয়েন ইউ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই চাইনিজ কর্ণার উদ্বোধন করেন।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ৩১ মার্চ
শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই চাইনিজ কর্ণারটি পরিচালিত হবে। এতে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাবুল হক। এছাড়াও সহকারী সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাখরুছ ছালাম, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল ভূঁইয়া, সহকারী অধ্যাপক মোছা.তাহমিনা আক্তার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় সভায় একাডেমিক ভবন-"এ"- এর ৪০৮ নম্বর রুমে চাইনিজ কর্ণার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে চিন দূতাবাস চাইনিজ কর্ণার প্রতিষ্ঠার জন্য ২৭৩ টি ইংরেজী বই, দু’টি বুকসেলফ, একটি ডেক্সটব কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যানার
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটিই প্রথম চাইনিজ কর্ণার। এই চাইনিজ কর্নারের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী যেমন উপকৃত হবে তেমনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
এছাড়া প্রতি বছর চিন সরকার কর্তৃক উক্ত চাইনিজ কর্ণারের মাধ্যমে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপও দেয়া হবে।
২ বছর আগে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবির ২২ শিক্ষক
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাতের ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাঁচ বিভাগের ২২ জন শিক্ষক।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। মনোনীত শিক্ষকরা তাদের প্রকল্প অনুযায়ী সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন। এবছর ৬৩৮টি গবেষণা প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে নির্বাচিত এক হাজার ২৭৬ জন গবেষকের তালিকাও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ইন্টার ডিসিপ্লিনারি, পদার্থবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল ও ফলিত বিজ্ঞান এই ছয় ক্যাটাগরিতে প্রতিটি গবেষণার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা করে পাবেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: স্বল্প মূল্যের ইলেক্ট্রনিক ব্রেইল ডিভাইস উদ্ভাবন শাবিপ্রবির ৬ শিক্ষার্থীর
শাবিপ্রবি থেকে ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী অধ্যাপক মো. হাম্মাদুল হক।
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ, অধ্যাপক ড. রওশন আরা, সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমেষ সরকার ও সহকারী অধ্যাপক এএসএম সায়েম।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. মো. তামেজ উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক মো. শফিউল হোসেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান।
এছাড়া রসায়ন বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম নিজাম উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক মাসুম তালুকদার, অধ্যাপক ড. আহমেদ জালাল ফরিদ উস সামাদ, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান, সহযোগী অধ্যাপক বেলাল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন ও রামকৃষ্ণ সাহা মনোনীত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বা গবেষণারত এমএস, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করেছি: শাবিপ্রবি উপাচার্য
দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়: শাবিপ্রবি উপাচার্য
২ বছর আগে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২৩ মে
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমিতি (এইউবি) জানিয়েছে, আগামী ১৭ মে (সোমবার) থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং ২৩ মে (রবিবার) থেকে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। এইউবি কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা কাজ করে যাচ্ছে।
এইউবি সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্যের সভাপতিত্বে বুধবার (৫ মে) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই সংগঠনের এক ভার্চুয়াল সভার পরই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তিনি বলেন, সরকার যেহেতু পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বদলায়নি, তাই আমরা যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত অভিভাবকরা
তবে এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খোলার আগে অবশ্যই শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাদের টিকাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সমন্বিত ভর্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে চুয়েট উপাচার্য জানান, প্রশ্ন তৈরি এবং ছাপানোর জন্য সময় প্রয়োজন, যা শেষ হতে ১৯ জুন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই ঈদের পর সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৩ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত ও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একই সময়ে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুনতাসীর মাহমুদ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
এ আদেশের ফলে আগামী ২ এপ্রিলই এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মেডিকেলে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এই তারিখ পেছানোর দাবিতে গত রবিবার রিট আবেদন দায়ের করেন ঝালকাঠির নলছিটির বাসিন্দা তাইমুর খান বাপ্পী।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রিট দায়েরের পর তার আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান জানিয়েছিলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে সার্কুলার হয়। তখন কিন্তু করোনার প্রকোপ এ রকম ছিল না। এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এছাড়া এখনো কেনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়নি। তাই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত এবং করোনার প্রকোপ কমলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একই সময়ে নেওয়ার কথা রিটে বলা হয়েছে।
আবেদনে শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মেডিকেল এডুকেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সেখানে সেনিটাইজার থাকবে। ভেন্যুতে অন্য কাউকে ঢুকতে দেবো না, অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। এবার ২ এপ্রিল পরীক্ষা নেয়া হবে। এবার ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারাদেশে ৫৫টি সেন্টার আমরা নির্ধারণ করেছি, প্রয়োজন হলে বৃদ্ধি করা হবে।
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে। এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সাথে নিতে পারব।
৩ বছর আগে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় শাবিপ্রবি শীর্ষে
গবেষণার ক্ষেত্রে ২০২০ সালে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
৩ বছর আগে
স্মার্টফোন ক্রয়ে ইউজিসির ঋণ পাচ্ছেন শাবির ৭০৩ শিক্ষার্থী
করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে সুদবিহীন ঋণ পাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০৩ শিক্ষার্থী।
৩ বছর আগে
শুন্য পদে ভিসি নিয়োগের লক্ষ্যে ভিসি পুল গঠন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে শুন্য পদে ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিসি পুল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
৪ বছর আগে