শিশু হত্যা
কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় শিশু রাশেদ হোসেনকে (১৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে ১৫ বছর বয়সী দুই শিশুকে এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। (প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে বয়স হওয়ায় শিশু দুটির নাম প্রকাশ করা হলো না)
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। মামলার বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই শিশুর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রাশেদ কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইবার লিমিটেড ফ্যাক্টরির টুস্টিং বিভাগের শ্রমিক ছিল। সে সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল দুপুরে রাশেদ কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩ নম্বর গলিয়ারার ফুলতলীর একটি পুকুর থেকে রাশেদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন এ ঘটনায় নিহতের বোন মোসাম্মত নীপা আক্তার বাদী হয়ে দুই শিশুকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
১১ মাস আগে
কঠোর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পান ধ্বংসস্তূপ ও শিশু হত্যার চিহ্ন
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন কমান্ডার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া পুড়ে যাওয়া একটি বাড়ির সামনে থামলেন। এক সময়ের দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির সামনের দেয়াল এখন আর নেই। তিনি বললেন, দেখুন হামাস সশস্ত্র বাহিনীরা কী করেছে! এই ঘনবসতি সম্প্রদায়টি কিছুদিন আগেও প্রাণে চঞ্চল ছিল।
মেজর জেনারেল ইতাই ভেরুভ বলেন, ‘যে ঘরে শিশুরা ছিল, সে ঘরেই কেউ এসে তাদের মেরে ভেলেছে। ১৫ জন ছিল মেয়ে ও কিশোর বয়সী। তারা তাদের একই ঘরে রেখে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং সব শেষ হয়ে যায়।’
ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পূর্ব ইউরোপে ইহুদিদের ওপর নৃশংস হামলার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘এটি জঘন্য ঘটনা, এটি গণহত্যা।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষে ৯ মার্কিন নাগরিক নিহত: এনএসসি
গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের সুরক্ষিত সীমান্ত থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি সশস্ত্র বাহিনীদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বুধবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক সাংবাদিকসহ একদল সাংবাদিকের নেতৃত্বে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই গ্রামটি পরিদর্শন করে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর জয়ের আগে হামলাকারীরা ১০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক আক্রমণের অংশ হিসেবে শনিবার ভোরে ২০টিরও বেশি শহর ও গ্রামে হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি মানুষের বসতি বে’ইরি অন্যতম।
প্রতিষ্ঠারও দুই বছর পূর্বে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা শুরু হওয়া বে'ইরি অঞ্চলে অন্যান্য স্থাপনার মধ্যে একটি বড় মুদ্রণ প্ল্যান্ট ছিল, যা ইসরায়েলি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়। যা এখন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহ প্রতীকে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ এবং গাজায় প্রায় ১ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল ইজিপ্টএয়ার
সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়া ভেরুভকে আবারও আক্রমণের কবলে পড়া শহরগুলো উদ্ধার করতে আবারও শনিবার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, হামাস যোদ্ধারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অবস্থান নিয়েছিল, ছোট ছোট দলে লুকিয়ে ছিল এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের চমকে দিয়েছিল। কারণ বাড়ি বাড়ি গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা ভেবেছি যে আমরা অঞ্চলটি পরিষ্কার করেছি এবং সবকিছু নীরব ছিল, হঠাৎ করে আরও ১২ বা ২০ জন বেরিয়ে এসেছে।’
দোতলা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী গ্রেনেড দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের হত্যা করেছে। সৈন্যরা তাদের হাত বাঁধা অবস্থায় অন্যান্য বাসিন্দাদের লাশ খুঁজে পেয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিদর্শনের সময়, একজন প্রতিবেদক কিছু বাড়ির পাশে ফাঁকা গর্ত এবং গাড়িতে আগুন দিতে দেখেছিলেন। ধ্বংসাবশেষের মাঝখানে একটি বাচ্চাদের ব্যাকপ্যাকসহ পরিবারের ফ্রেমযুক্ত ছবিগুলো সেখানে পড়ে ছিল।
বুধবার সূর্যাস্তের একটু আগে যখন সাংবাদিকদের নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে উদ্ধারকর্মীরা নিহত বেশিরভাগ বাসিন্দার লাশ সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন সশস্ত্র বাহিনীর লাশ ছিল এবং বাতাসে প্রচণ্ড মৃত্যুর গন্ধ ছিল।
ভেরুভ বলেন, ‘আমরা গাজায় আঘাত হানব। আমরা হামাসকে আঘাত করব। এবং আমরা ধ্বংস করব।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সমর্থনে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
১ বছর আগে
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুকে হত্যার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
নিহত আদিল মোহাম্মদ সোহান (৮) পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও তালুকদার বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার আবদুল আহাদ (১৭) একই এলাকার শরীফ তালুকদারের ছেলে। সে এই বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার বলেন, আদিল গত ১৫ মে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। মসজিদ থেকে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে পরদিন ১৬ মে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন তার বাবা। ১৯ মে সকালে প্রতিবেশি আবদুল মতিন জমি থেকে আদিলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা আনোয়ার হোসেন ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশের একটি টিম মামলাটির তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মঙ্গলবার (২৩ মে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং জানায় ভারতীয় সিরিয়াল সিআইডি দেখে সে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আদিলকে অপহরণ করে এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সে তার মায়ের মোবাইল ব্যবহার করে আদিলের মার কাছে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য কল দেয়। কিন্তু আদিলের মা তার সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে মোবাইল ফোন ঘরে রেখে যান। যে কারণে ফোন রিসিভ হয়নি। এরপর সে নিজেও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। এরপর গভীর রাতে প্রতিবেশি আবদুল মতিনের জমিতে আদিলের লাশ পুঁতে রাখে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচ এম আহসান উল্লাহসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকায় ৮ বছর পলাতক যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে শিশুকে হত্যা করলেন বাবা!
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কন্যা শিশুকে হত্যা করলেন বাবা। তবে স্থানীয়রা বলছেন যে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়কের হাজী মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
শিশু রুবেনা রহিম মিঝির মেয়ে। তিনি চর কালকিনি ইউনিয়নের ওয়ার্ডের শাহাব উদ্দিন মিঝির ছেলে।
জানা গেছে, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাবা রহিম মিঝিকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। অন্যদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, আটক ১
স্থানীয় মো. রাশেদ বিল্লাহ জানান, রাত ৮টার দিকে ওই বাবা তার এক বছর বয়সী শিশুটিকে রাস্তায় এনে আছাড় দেয়। এতে শিশুর চিকৎকার স্থানীয়দের কানে গেলে অনেকে আশপাশ থেকে ছুটে আসলে বাবা দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ওঠে যায়। পরে লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এ ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাবাকে আটক করে নিয়ে আসে।
ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা রহিম মিঝিকে অপ্রকৃতস্থ বলে জানিয়েছে। তবে চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুসারে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। অন্যদিকে সন্তান হত্যার দায়ে বাবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগ আরেক শিশুর বিরুদ্ধে
১ বছর আগে
বগুড়ায় শিশু হত্যা, কূপ থেকে লাশ উদ্ধার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে আব্দুল মুমিন নামের ওই শিশুর লাশ গ্রামের টয়লেটের কূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ এখন পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আব্দুল মুমিন নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতামাজগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের স্কুল শিক্ষক ইদ্রিস আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় নিজের ঘর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পরিবারের সদস্যরা জানায়, আব্দুল মুমিন বুধবার সকাল ১০টার দিকে খেলার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে তার মা। বেলা ১২টার দিকে গ্রামের জাহিদুল ইসলামের টয়লেটের কুয়ার ঢাকনা সরানো দেখতে পেয়ে লোকজন সেখানে যায়।
তারা দেখতে পান কুয়ার মধ্যে একটি শিশুর লাশের মাথা নিচে এবং পা ওপরের দিকে।
খবর পেয়ে কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে লাশ হেফাজতে নেন।
কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাথায় আঘাত করে হত্যার পর লাশ টয়লেটের কূপে গুম করার উদ্দেশে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে বাসচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
পারিবারিক শত্রুতার জেরে বগুড়ায় পাঁচ বছরের শিশু রোমান হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ। যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামির নাম আব্দুর রাজ্জাক।
আসামিরা বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর দক্ষিণ পাড়া ও ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকলেও যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অতিরিক্ত পিপি জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিশু রোমানের পরিবারের সঙ্গে খালেক ও মাজেদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে তারা শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ কাজের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে আট হাজার টাকা দেন।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন আসামি আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড ও আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেন এপিপি বিনয় কুমার দাস বিশু ও নাসিম আহমেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে খালেক ও মাজেদ দুইজন মিলে রোমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ওই শিশুকে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতর গুম করে রাখে।
পরে ২৮ আগস্ট রোমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহত রোমানের বাবা মাহবুবুর রহমান শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ একযুগ পর সোমবার এই রায় ঘোষণা করে আদালত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
দিনাজপুরে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, আটক ১
দিনাজপুরের খানসামায় এক বাড়ির আঙিনার মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় অপহৃত এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম নামে একজন কলেজছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার রাত ১২ টার দিকে উপজেলার পাকেরহাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুজ্জামান (৮) খানসামার খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর ডাক্তারপাড়ার আতিউর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় চেহেলগাজী কিন্ডারগার্ডেনের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: টুকরো করে শিশু হত্যা, অভিযুক্তের বাবা-মা ৩ দিনের রিমান্ডে
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে মাঠে খেলতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয় শিশুটি। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শিশুটিকে হত্যা করে অপহরণকারী। বিকালে খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজের পর তার সন্ধান করছিল স্বজন ও প্রতিবেশিরা। রাত ৮ টার দিকে শিশুর বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারী। এব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুরটির বাবা।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গোয়ালডিহী বিএম কলেজের কম্পিউটার ট্রেডের ছাত্র শরিফুল ইসলামকে আটক করেন তারা। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রবিবার রাত ১২ টার দিকে পাকেরহাটের একটি চাউল কলের পাশে আব্দুস সালামের বাড়ির আঙিনার মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় অপহৃত শিশু আরিফুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করেন তারা। ওই বাড়িতে দিনের বেলা ব্যবহার করত অভিযুক্ত কলেজছাত্র শরিফুল।
ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
টুকরো করে শিশু হত্যা, অভিযুক্তের বাবা-মা ৩ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের ইপিজেডে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে ছয় টুকরা করে হত্যার পর খালে ও সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনায় আসামি আবীর আলীর মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালত পিবিআইয়ের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আবিরের পিতা-মাতাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
তিনি বলেন, আসামি আবীর আলীকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মঙ্গলবার তার বাবা-মাকেও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে ছয় টুকরা করে কেন সাগরে ফেলা হলো এবং শুধু মুক্তিপণ আদায় নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা জানা যাবে।
এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বন্দরটিলার বাসা থেকে আবির আলীর পিতা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম ও মা আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে বলে জানায় পিবিআই।
উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৫)। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় ২৪ নভেম্বর রাতে শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় আবীরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায় পুলিশ।
রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থান থেকে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবীর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইমন (৬) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তরুণীকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-বেলকুচি উপজেলার চক মকিমপুর গ্রামের সোহেল (২৮), কাউছার (৩০), হীরন (৩২), আল-আমিন (৪০) ও ওসমান (৩৮)।
সেইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আলহাজ ও গোলামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
উক্ত আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজ করনী লকেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. চাঁন মিয়া ও মোছা. মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের সাত দিন পর ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একই উপজেলার মাইঝাইল গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে শিশু ইমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বেলকুচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত চলাকালে আসামি আল-আমিন ও মো. ওসমান জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
মাগুরায় শিশুর লাশ উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত হিরা খাতুন উপজেলার হিরু মোল্যার মেয়ে।
আরও পড়ুন: ছোটমনি নিবাসে বালিশচাপা দিয়ে শিশু হত্যা, আয়া আটক
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. কলিমুল্লাহ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেথুলিয়া গ্রামের বাড়ির পাশে হিরার বাবা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
বাবার সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জের ধরে শিশুটিকে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত,আটক ৪
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুর থানার ওসি।
২ বছর আগে