হিন্দু সম্প্রদায়
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এসময় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক বাণীতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়। এটি এখন সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের পূজা এ উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সবার। এই দেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার নিরাপদ আবাসস্থল।
বাংলাদেশের সব নাগরিকের অশান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্তরিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২ মাস আগে
হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবির ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
৪ মাস আগে
দেশজুড়ে সরস্বতী পূজা পালিত হচ্ছে আজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ, উৎসব ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে আজ।
সরস্বতী পূজা বাংলা মাস মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়। দিনটিকে বলা হয় 'বসন্ত পঞ্চমী'।
হিন্দু ভক্তরা বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা দেবী সরস্বতীর পূজা করে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে পূজা উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর পূজা মণ্ডপের বরাদ্দকৃত ২০০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ১
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটি ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজার আয়োজন করছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: জেলায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত
দুর্গাপূজা উদযাপন বিঘ্ন করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
ভয়কে পেছনে ফেলে চট্টগ্রামে আদিবাসীর সাজে হাজির দুর্গা!
গত বছরের সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষত ও আতঙ্ককে জয় করে বন্দরনগরীর হিন্দু সম্প্রদায় এ বছর ধুমধাম ও সৃজনশীল থিমের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে।
শহরজুড়ে ২৮২টি মণ্ডপের মধ্যে একটি মণ্ডপ সবচেয়ে বেশি ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। আদিবাসী নারীর সাজে এখানে আবির্ভূত হয়েছেন দেবী দুর্গা।
দক্ষিণ নালাপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদ তার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনে এই অনন্য থিম নিয়ে এসেছে। ‘পার্বণ’ (উৎসব) নামের মণ্ডপটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে।
দুর্গা ও তার চার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের পোশাকে দেশীয় সংস্কৃতির উদযাপন দৃশ্যমান হয়ে ওঠেছে। পুরো মণ্ডপটি বাঁশ, বাঁশের কারুকাজ করা দেয়াল এবং আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবন থেকে অনুপ্রাণিত অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এক মণ্ডপে ১৫১টি প্রতিমা: দুর্গার পরিবারে আমন্ত্রিত যারা
থিম পরিকল্পনাকারী রাজিব বিশ্বাস রাজা বলেন, এবার পূজার থিমের নাম হচ্ছে পার্বণ। আদিবাসীদের জীবনধারা ও কর্মযজ্ঞ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে এখানে। বাঁশ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজা মণ্ডপকে। মণ্ডপে প্রায় ১৪ হাজার বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। ভাবনা ও সৃজনে রয়েছেন বিশ্বজিৎ আইচ। পাঁচ মাস আগে থেকে আমরা এই কাজ শুরু করেছিলাম। দিন-রাত কাজ চালিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি দর্শনার্থীদেরও কাছে আমাদের এই আয়োজন দৃষ্টিনন্দন হবে।
দুর্গা নিজেও মাথায় আদীবাসীদের মুকুট পরেছেন, বাঁশের তৈরি অলঙ্কার এবং তার শাড়ির মোটিফও দেশীয় ঐতিহ্য থেকে বেছে নেয়া হয়েছে। দেব-দেবী ছাড়াও অন্যান্য চরিত্র ছিল উপজাতীয় পুরুষ, মহিলা এবং শিশু। এদেরও উপজাতিদের পোশাক 'পিনন হাদি' পরানো হয়েছে। পূজা মন্ডপে বাদ্যযন্ত্রসহ নাচের মাধ্যমে উদযাপন করা হচ্ছে এ 'পার্বণ'।
দুর্গার নান্দনিক ও আদিম রূপের আভাস পেতে ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীরা মণ্ডপে ভিড় করতে শুরু করেছেন।
এ বছর চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় মোট দুই হাজার ৬২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে চট্টগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন।
২ বছর আগে
জন্মাষ্টমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে বিএনপির শুভেচ্ছা
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি অন্য সকল ধর্মের মানুষকে অন্যায় ও বৈষম্য দূর করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
৪ বছর আগে