এক বার্তায় দলটি বলছে, পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সকল ধর্মের মানুষ বহু শতাব্দী ধরে বাংলাদেশে বাস করে আসছেন।
এতে বলা হয়, ‘আমরা সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ঘৃণা, তিক্ততা, হিংসা বিদ্বেষ, সহিংসতা, অন্যায় এবং অবিচারকে নির্মূল করে সমাজকে শান্তিপূর্ণ করে তুলতে আমাদের সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।’
এতে আরও বলা হয়, হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে শ্রীকৃষ্ণ সত্য ও সৌন্দর্য প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে এসেছেন কারণ তিনি অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সমাজে ন্যায়বিচার ও কল্যাণ নিশ্চিত করেছিলেন।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে সোমবার রাতে পাঠানো বার্তায় দলটি বলছে, ‘সকল ধর্মের ধর্মীয় উত্সবের মূল বিষয় হল মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের পরিধি বাড়ানো।’
ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সকল ধর্মের মানুষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বাসী।
তারা জন্মাষ্টমীর এই শুভ উপলক্ষে সবার সুখ, শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন।
যথাযথ ধর্মীয় উদ্দীপনা নিয়ে দেশজুড়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উত্সব জন্মাষ্টমী আজ (মঙ্গলবার) পালিত হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।