মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ-গণহত্যা: শেখ হাসিনা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আইসিটির
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা (আইসিটি)।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবির এবং মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তানিম অভিযোগগুলো দায়ের করেন।
মামলার আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো.হারুন অর রশিদ।
এসব অভিযোগে অজ্ঞাতনামা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, পুলিশ ও র্যাবের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন। সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, কোটা সংস্কার ও পরে হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শান্তিপূর্ণ, নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তিদের নির্দেশেই এই সহিংসতা চালানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা বিক্ষোভকারীদের আংশিক বা পুরোপুরি নির্মূল করার চেষ্টার সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
অভিযোগপত্রে ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের অন্যান্য নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ওই বক্তব্যগুলোকে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মোকাবিলায়’ছাত্রলীগই যথেষ্ট এবং কারফিউ চলাকালীন দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আইসিটি সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত শত শত হত্যাকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংস্থাটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতাউর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার(১৫ আগস্ট) তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। গণহত্যার অভিযোগ যেহেতু সাম্প্রতিক ঘটনা, তাই প্রমাণ পেতে সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘মামলার অনেক আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ফলে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের তাড়াহুড়ো করতে হবে না। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও এই মামলায় একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং সংস্থাটি ঘটনার সময় পত্রিকা সংগ্রহ করে পর্যালোচনা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের
৩ মাস আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেরপুরের নকলার তিন রাজাকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের বিচারপতি) মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এ রায় দেন।
তিন রাজাকার হলেন- এ কে এম আকরাম হোসেন, এস এম. আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেছুর রহমান ওরফে তারা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন সাজার রায় হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নকলার মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
তারা বলছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর কলঙ্কমুক্ত হলো নকলার মাটি ও মানুষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগে নকলার রামেরকান্দি বিবিরচর ও মজিদ বাড়ি গ্রামে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
আর দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে নকলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান ও বাজারদি গ্রামের শাহজাহান আলী ওরফে সাজুসহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের আপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তিনটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তবে চার নম্বর অভিযোগে জোর করে শ্রম আদায় বা কাজে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় এ অভিযোগ থেকে তিন আসামিকেই খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর চার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ গঠনের পর ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান আসামি মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনে ৩০ জানুয়ারি এ আসামির নাম মামলা থেকে বাদ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৩ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষী ছিল না। সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলে ২০২২ সালের ৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি।
এ দিনই মামলাটি রায়ের জন্য আপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার রায়ে তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে বিলম্বের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও অমানবিক বক্তব্যের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি।
বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) 'আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্রসিডিউর'-এর আওতায় গৃহীত এক সিদ্ধান্তে কমিটি বলেছে, সাত দিনের 'বিরতির' পর চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর অধিকৃত গাজা উপত্যকায় নৃশংস শত্রুতা পুনরায় শুরু হওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
অধিকৃত গাজা উপত্যকা জুড়ে আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে তীব্র, নৃশংস এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অধিকৃত গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি সামরিক স্থল অভিযানের সম্প্রসারণে এটি গভীরভাবে মর্মাহত করে। ইসরায়েলি এই সামরিক অভিযানের ফলে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এতে বলা হয়, অধিকৃত গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক সংকট মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েল ও অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারেদ বর্ণবাদী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সহিংসতা ও গণহত্যার উসকানি এবং ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে অমানবিক বক্তব্যের বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
কমিটি গত কয়েক সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক প্রাণঘাতী অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বৃদ্ধি, বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনিদের আটকসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
একই সঙ্গে কমিটি অধিকৃত গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক ও টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
এতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর এবং পূর্ব জেরুজালেম ও ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে তাদের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের অন্তত ১৩৬ জন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কমিটি। ইসরায়েলকে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন নথিভুক্ত করতে বলেছে সংস্থাটি। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই কমিটি।
কমিটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি চলমান সশস্ত্র সংঘাতের অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
১১ মাস আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামালপুরের শামসুল হকের (বদর ভাই) সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
শামসুল হকের খালাস চেয়ে করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর নভেম্বর শামসুল হকের (বদর ভাই) খালাস চেয়ে করা আপিলের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
আসামি শামসুল হকের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক।
এর আগে, গত ১২ জুলাই তার আপিলের উপর শুনানি শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রায় দেন আদালত।
২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে জামালপুরের ৮ জনের বিচার শুরু হয়।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এ মামলার রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে আট আসামির মধ্যে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- জামালপুরে আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা আশরাফ হোসাইন, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারী। আর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক শরীফ আহম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, হারুন, আবুল হাশেম, মো. শামসুল হক ওরফে বদর ভাই ও এস এম ইউসুফ আলীকে।
দণ্ডিতদের মধ্যে কেবল শামসুল ও ইউসুফ কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। অন্য ছয়জনকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলার বিচার শেষ করা হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শামসুল ও ইউসুফ। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ইউসুফের মৃত্যু হয়।
পরে গত ১২ জুলাই শামসুল হকের আপিলের শুনানি শুরু হয়। এ মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: ৭ আসামির সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড
১ বছর আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।
রবিবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসে মো. আমজাদ ও তার সহযোগীরা বাঘেরপাড়া এলাকার মো. মঈনুদ্দিনকে অপহরণ করে প্রেমছড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় যেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য ড. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাস, সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন- ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক আছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
আরও পড়ুন: প্রেমিকসহ স্ত্রীকে খুন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৫ সালের ১৯ মে জাতীয় পাটির এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আটজনকে।
আসামিরা হচ্ছেন-এম এ হান্নান, এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
একই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেপ্তার হন বাকি তিনজন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর মধ্যে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা গেছেন। বাকি জীবিত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন কারাগারে বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শেষে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। আর ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড
১ বছর আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে ঢাকার দক্ষিণখান ও সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুল।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান জানান, সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আজ দুপুরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে রাজধানীর সাভার থেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান (৬৮) নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের নবী হোসেনের ছেলে।
বুধবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি দল সাভারে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে খলিলুরকে আটক করে।
এএসপি ইমরান জানান, খলিলুর ২০১৫ সাল থেকে পলাতক এবং গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলেও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তার সাথে যোগাযোগ করে টাকা ও অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করত।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে খলিলুর রহমানসহ নেত্রকোণার পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাঁচ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
তাদের বিরুদ্ধে ২২ জনকে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য চার আসামি বিচার চলাকালীন মারা যান।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছর করে দণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুর রহমানকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। এর আগে ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, এ মামলার চার আসামির মধ্যে বিচার চলাকালেই তিনজনের মৃত্যু হয়। একজন আসামি বেঁচে আছেন। তিনিও পলাতক। আজ তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছর করে দণ্ড
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
শুরুর দিকে এ মামলায় পাঁচ আসামি ছিল। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাকি চারজন হলেন-নেত্রকোণার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী ও জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ। তবে বিচার চলাকালে বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ: মোহাম্মদপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগপত্রে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দু’জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। পরবর্তীতে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ কে আমিনুল হক ওরফে রজব আলীর বাড়ি (৬৯) কিশোরগঞ্জে।
র্যাব সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা বাহিনী ও র্যাব-২ এর একটি দল রজব আলীকে আটক করে।
২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার জন্য রজব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এ সময় ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও অপহরণে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা
তিনি ভৈরবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকায় ‘আল-বদর’ বাহিনী গঠন করেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর রজব আলী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান, কারণ তিনি মাত্র ১০ বছর কারাবাসের পর রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা পেয়েছিলেন।
পরে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পালিয়ে গিয়ে কয়েকবার পাকিস্তানে যান। ১৯৯৭ সালে রজব আবার ঢাকায় আসেন।
২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর তদন্তকারী সংস্থা রজব আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেয়, তারপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের মৃত্যু, সাড়ে ৫ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্ত হাজী সেলিম
চট্টগ্রামে স্বামীকে ফাঁসাতে ইয়াবা ক্রয়, নারী আটক
২ বছর আগে