শরণার্থী
রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য ইইউ’র ৬.২ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা অনুমোদন
কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের জন্য ছয় দশমিক দুই মিলিয়ন ইউরো সাহায্য পুনরায় অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ এর সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশন ডিপার্টমেন্ট ডিজি ও ইকোর মাধ্যমে এই সহায়তা আসছে।
সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অব্যাহত সুরক্ষা এবং সহায়তায় উদার অবদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য ডিজি ইকো ইউএসিএইচআর -এর অন্যতম প্রধান দাতা।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, ‘ইসিএইচও-এর অবদান আমাদেরকে সমন্বিত এবং জবাবদিহিমূলকভাবে মানসম্পন্ন সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক প্রতিক্রিয়া যখন ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করছে, তখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং ভাসান চরে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকসই সমর্থন অমূল্য রয়ে গেছে’।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক কর্মসূচির তত্ত্বাবধানকারী আনা অরল্যান্ডিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্রমাগত ভয়ানক পরিস্থিতিতে বসবাস করছে এবং আমাদের অটল সমর্থনের প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন এটি সুরক্ষার ক্ষেত্রে আসে।’
আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্যবশত শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নেই: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
‘শরণার্থীদের জন্য এই অবদান নিশ্চিত করবে ইউএনএইচসিআর, বিশেষ করে সবচেয়ে ভয়ানক এবং ঝুঁকিপূর্ণ যারা তাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং সুস্থতা উন্নত করতে পর্যাপ্ত এবং অর্থপূর্ণ সুরক্ষা পরিষেবা সরবরাহ করা হয়েছে’।’
ইউএনএইচসিআর-এর অন্যতম অপরিহার্য অংশীদার এবং বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম দাতা ইকো-এর এই অবদান শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির উপর নজরদারিতে সহযোগিতা করবে, যেখানে শরণার্থীদের
আইনি সহায়তার সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ নিশ্চিত করবে। শিশুদের জন্য সুরক্ষা এবং সহায়তা পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতা করবে।
মিয়ানমারে সহিংসতা ও নৃশংসতার কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পাঁচ বছর পর বর্তমানে ৯ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজারে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আরও ৩০ হাজার শরণার্থী ভাসানচরে বসবাস করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আর কোন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শনিবার চা-শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে তারা বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে না।’
মোমেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে দেশটির জান্তা বাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র দলের মধ্যে সংঘাত চলছে।
এসব ঘটনার সময় মিয়ানমারের নাগরিকরা নৃশংসতার ভয়ে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে।
মোমেন বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ইতোমধ্যে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
শনিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলি বিজিবি বিওপি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি বিমানকে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ছোড়া হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে গুলির খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
শনিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম ইউএনবিকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে ডেকে ওই ঘটনার জন্য কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গেল আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দুইবার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে ডেকে পাঠায় এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপের একদিন পরই কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ঢাকা
আইসিজে’র রায়ে মিয়ানমারের আবেদন খারিজ, গতি পাবে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ: ওআইসি
আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা (ওআইসি) বলেছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত কর্তৃক মিয়ানমারের আপত্তিকে খারিজ করে দেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে।
মুসলিম বিশ্বের সমন্বিত স্বরের সংগঠনটি বলছে, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের এই রায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্রমাগত কষ্ট লাঘবের সমাধানে আরো বেশি অবদান রাখবে। ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গাদের দুর্দিনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংগঠনটির মহাসচিব হোসেইন ইব্রাহিম ত্বহা শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন শনিবার ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং রাজধানীর একটি হোটেলে তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বর্বর অভিযান চালায়। এসময় তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে লাখ লাখ মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে।
ওআইসি বলছে, পাঁচ বছর পরও রাখাইনের রোহিঙ্গারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগের ঘাটতি রয়েছে।
আরও বলা হয়, ‘এই বর্ষপূর্তি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, নিরাপত্তা, আতিথেয়তা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানায় ওআইসি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ওআইসি মহাসচিবের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য।
ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস পুর্নব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দুর্দশাগ্রস্থতের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার প্রচেষ্ঠাকে দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান। এর মধ্যে- তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদান, তাদের পক্ষে নিরাপত্তার শর্ত নিশ্চিত, ত্রাণকার্যক্রম, সম্মান, স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের তাদের নিজভূমিতে ফেরত নেয়া।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ওআইসির অব্যাহত সমর্থন চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা সঙ্কট: আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ওআইসি
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনামানের উন্নয়ন ঘটাতে পারে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, এর মাধ্যমে শরণার্থীরা বাংলাদেশে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে এবং স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর তাদের সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে এবং সর্বোপরি তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই তহবিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
২০২০ এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা চাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত যার মাত্র ৪৯ শতাংশ তথা ৪২৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
একইসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা যাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে না থাকে। এবং স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে রাজনৈতিক সংলাপ ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য দ্বিগুণ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে ২৬ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার অপরাধে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহতের নাম নুরুল আমিন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বর্ণের বারসহ রোহিঙ্গা মা-ছেলে আটক
সোমবার রাতে ক্যাম্প-৪ এর মধুরছড়া এলাকায় এ কথিত অপরাধের ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, বেসরকারি সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা নিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। আমরা সন্দেহ করছি তারা তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
১৯ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা আজ রবিবার একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে যাচ্ছে। শরণার্থী শিবিরে হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন সহ মোট ১৯ দফা দাবি নিয়ে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি বলে জানা গেছে।
২০ জুন ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে এই বিক্ষোভ করা হবে।
সূত্রমতে, আগামীকালও বিক্ষোভের আয়োজন করবে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০টায়। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর ফুটবল মাঠে পাঁচটি ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
এ ব্যাপারে বারবার চেষ্টা করেও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ইউনিট-৮ (৮এপিবিএন) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন বলেন, তারা জানতে পেরেছেন যে রোহিঙ্গারা তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তারিত জানার পর আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর ও মানবিক সংস্থাগুলোর আহ্বান
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কর্মকাণ্ডের পঞ্চম বছরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও অংশীদার সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগণের কল্যাণে দৃঢ় ও টেকসই আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের জন্য ২০২২ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) প্রস্তাবিত হচ্ছে।
কক্সবাজার ও ভাসান চরে অবস্থিত প্রায় ৯ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশে-পাশে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি মিলিয়ে মোট প্রায় ১৪ লাখ মানুষের সহায়তার জন্য এই জেআরপিতে প্রায় ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ২০২২ সালের জেআরপি অনুযায়ী কাজ করবে ১৩৬টি সংস্থা, যার মধ্যে ৭৪টি বাংলাদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রত্যাবাসনে নিহিত: পররাষ্ট্র সচিব
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার কয়েক দশক ধরে উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। বর্তমানে যখন বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইউএনএইচসিআর ও অংশীদার সংস্থাগুলো নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যেন পৃথিবী রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটকে ভুলে না যায়। সেজন্য শরণার্থীদের ও তাদের আশে-পাশে থাকা স্থানীয় জনগণের প্রয়োজন মেটাতে চলমান অর্থায়ন ও সহায়তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক৷
ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করলে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এ বছরের জেআরপি তাই পুনঃবনায়ন ও জ্বালানি সহায়তা সহ দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের জন্য বর্ধিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।
শরণার্থী প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইউএনএইচসিআর ও অংশীদার সংস্থাগুলো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের উপস্থিতি বজায় রাখছে। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে ফিরতে না পারছে, ততদিন তাদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সহায়তা অতীতের মতই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আবারও ‘বাঙালি সম্প্রদায়’ বলল মিয়ানমার
বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন নিরাপদ মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। এর পাশাপাশি তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নেরও প্রয়োজন আছে, যেন তারা ভবিষ্যতে টেকসই প্রত্যাবাসনের পর তা কাজে লাগাতে পারে।
এই প্রথমবার জেআরপিতে ভাসান চরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ২৪ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেখানে স্থানান্তর করেছে। স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, পুষ্টি, শিক্ষা, জীবিকা ও দক্ষতা তৈরিসহ চরে চলমান প্রয়োজনীয় মানবিক সেবাসমূহ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জেআরপি উত্থাপনের এই অনলাইন অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ
রুশ আগ্রাসনের কারণে ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ লাখ লোক শরণার্থী হিসেবে ইউক্রেন ছেড়েছে। তবে সম্প্রতি শরণার্থীর ঢল কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির বর্ডার গার্ড ও বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া দেশের পক্ষে যুদ্ধ করতে কিছু ইউক্রেনীয়কে তাদের দেশে আটকে রাখা হয়েছে, কেউ কেউ আবার নিজেদের বাড়ি ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ কোনদিকে আগায় তা বোঝার জন্য দেশের অন্য প্রান্তে বসে অপেক্ষা করছে। কিছু বয়স্ক ও অসুস্থব্যক্তি এবং কিছু মানুষ নিজ ইচ্ছায়ই এখনও নিজেদের বাড়িতেই রয়ে গেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের পর বোমা হামলা থেকে বাঁচতে প্রথম দুই সপ্তাহেই ইউক্রেনের যুদ্ধ-পূর্ব জনসংখ্যার চার কোটি ৪০ লাখের মধ্যে প্রায় ২৫ লাখ দেশ ছেড়ে চলে যায়।
সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ঘোষিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৩০ লাখ ৮৭ হাজারে পৌঁছেছে।
তবে, আগের ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র ৪৫ হাজার মানুষ ইউক্রেনের সীমানা অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
পোলিশ সীমান্ত রক্ষীদের একজন মুখপাত্র আনা মিচালস্কা বলেন, যারা যুদ্ধ শুরু হলে চলে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল তারা প্রথম দিকেই দেশ ছেড়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে খারাপ শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করেছে এই যুদ্ধ। পোল্যান্ড, রোমানিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়ায় বিপুল সংখ্যক ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছে। শুধুমাত্র পোল্যান্ডেই ২৩ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে রোমানিয়ায় রয়েছে প্রায় ছয় শরণার্থী। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সিরিয়ায় ১১ বছর ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধেও এত দ্রুত, এত অধিক সংখ্যক শরণার্থী সংকট তৈরি হয়নি।
পোল্যান্ডে ইউএনএইচসিআর-এর জ্যেষ্ঠ জরুরি সমন্বয়কারী অ্যালেক্স মুন্ড বলেছেন, আমরা আশা করি নতুন করে শরণার্থীর ঢল হ্রাস পাবে। তবে আমি বিশ্বাস করি যুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত, এটা হওয়ার কোনও গ্যারান্টি আছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) অনুমান করেছে, ইউক্রেনের আরও ৬৫ লাখ মানুষ রুশ আগ্রাসনের ফলে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে, কিন্তু তারা দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দোহা ফোরামে জেলেনস্কির ভিডিও বার্তা
রাশিয়াকে থামাতে বিলম্ব করেছে ইউরোপ: জেলেনস্কি
২০ লাখ শরণার্থী ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের তথ্যমতে, রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় গণঅভিবাসন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক টুইটে বলেছেন, ‘আজ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছেছে।’
এদিন বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার নতুন প্রচেষ্টা হিসেবে নিরাপদ করিডোর বরাবর ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথটি ছিল রুশদের অনুমোদিত পাঁচটি পথের মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ করিডোর দিয়ে ইউক্রেন ছাড়ছেন বেসামরিক নাগরিকেরা
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট ইউক্রেনে যুদ্ধে আটকে পড়া সব বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদে চলে যাওয়ার ব্যাপারে জোর দেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ব্যাশেলেট জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলকে আরও বলেছেন, তার অফিস ইউক্রেনপন্থী কর্মীদের পূর্ব ইউক্রেনের অঞ্চলে নির্বিচারে আটক করার খবর পেয়েছে, যে অঞ্চলটি সম্প্রতি ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে’ এসেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রুশপন্থী বলে বিবেচিত লোকদের মারধরের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যেমন আছে নারী ও শিশুরা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আদালতে শুনানি শুরু
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই ত্বরান্বিত করতে সম্মত বাংলাদেশ-মিয়ানমার
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ে বিলম্ব হওয়ার কারণ চিহ্নিত করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের যাচাইয়ের জন্য নবগঠিত কারিগরি স্তরের অ্যাড-হক টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রিজওয়ান হায়াত এবং মিয়ানমারের অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক ইয়ে তুন উও নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ প্রতিনিধির কার্যকর ভূমিকা চায় বাংলাদেশ
আরআরআরসি শাহ রিজওয়ান হায়াত অসংখ্য বাধা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রাখাইন থেকে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষকে অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়ার ধীরগতিতে হতাশা প্রকাশ করেন এবং তা দ্রুত সম্পন্ন করতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রস্তাব দেন।
কারিগরি অসুবিধা ও তথ্যের ঘাটতির বিশদ বিবরণ দিয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল প্রক্রিয়াধীন যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
টাস্কফোর্স যাচাই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়ক হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়েছে ২৯ ঘর
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে তুরস্ক: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী